পুর-কর বৃদ্ধির প্রতিবাদ কংগ্রেসের
গরতলা পুর-এলাকায় ‘সম্পদ-কর’ বৃদ্ধির প্রতিবাদে মাঠে নামছে কংগ্রেস।
দলীয় সূত্রের খবর, আগামীকাল প্রদেশ কংগ্রেসের নেতৃত্বে দলের সমর্থক, কর্মীরা পুরসভায় গণ-ডেপুটেশন দেবে। প্রদেশ কংগ্রেসের নবনিযুক্ত কার্যনির্বাহী সভাপতি আশিস সাহা আজ সাংবাদিকদের বলেন, ‘‘শাসক এবং বিরোধী দলের কাউন্সিলরদের সঙ্গে আলোচনা না করেই পুর-কর্তৃপক্ষ যে ভাবে সম্পদ-কর বাড়িয়েছে, তা গ্রহণযোগ্য নয়। ওই বর্ধিত সম্পদ-কর প্রত্যাহার করার দাবিতে বিক্ষোভ কর্মসূচি চালাবে কংগ্রেস।’’ তাঁর বক্তব্য, ‘‘পুরসভার চেয়ারম্যান জানিয়েছেন, সম্পদ কর ৭ শতাংশ থেকে ১২ শতাংশ করা হয়েছে। কিন্তু ওই হিসাব সঠিক নয়, অঙ্কের নিয়মে সম্পদ কর আসলে বাড়ছে ৭০ শতাংশ।’’
সম্প্রতি, আগরতলা পুরসভা ২০১৩-১৪ সালের বাজেট ঘোষণা করে। যেখানে মোট আয় দেখানো হয় ৪১ কোটি ৪৩ লক্ষ টাকা। ব্যয়ের পরিমাণ ৪১ কোটি ৯৭ লক্ষ টাকা। তাতে ঘাটতি থাকছে প্রায় ৫৪ লক্ষ টাকা।
পুরসভার চেয়ারম্যান প্রফুল্লজিৎ সিনহা বলেন, ‘‘৩০ বছর পর আগরতলা পুর-এলাকায় সম্পদ কর বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ৭ শতাংশ থেকে বেড়ে তা হবে ১২ শতাংশ।’’ ১৯৮৪ সালের পর থেকে আগরতলা পুর এলাকায় সম্পদ-কর বাড়ানো হয়নি, এ কথাও জানান প্রফুল্লজিৎবাবু। তিনি বলেন, “যে ভাবে পুরসভার ঋণ এবং ব্যয় বাড়ছে, তাতে সম্পদ কর না বাড়িয়ে উপায় নেই।’’ কর বাড়িয়ে যে আয় বাড়বে, তাতে পুর বাজেটের ঘাটতি না-মিটলেও, তার পরিমাণ কমবে বলে পুর-চেয়ারম্যানের আশা।
পুর এলাকার নাগরিক পরিষেবার বিষয়ে প্রদেশ কংগ্রেস নেতৃত্ব বামফ্রন্ট পরিচালিত আগরতলা পুর কর্তৃপক্ষের তীব্র সমালোচনা করেছে। কংগ্রেস নেতা আশিস সাহার অভিযোগ, শহরবাসীর উপর করের বোঝা চাপানো হচ্ছে। অথচ পুরসভার যে নাগরিক পরিষেবা দেওয়া উচিত তার ক্রমশ অবনতি হচ্ছে। শহরের চারদিকে জঞ্জালের স্তূপ, পানীয় জলের অভাব, বৃষ্টি হলেই জল জমছে শহরে। পুর কর্তৃপক্ষের উদাসীনতায় পার্ক বা বিনোদনের জায়গার অভাব, ফুটপাথ জবরদখলের অভিযোগও তুলেছে কংগ্রেস।
পুর চেয়ারম্যান বলেন, পাঁচ বছর ধরে পুর এলাকায় জেএনএনইউআরএম প্রকল্পের কাজ চলছে। ওই প্রকল্পেই সম্পদ কর বাড়ানোর উল্লেখ করা হয়েছে। এ ধরনের কেন্দ্রীয় প্রকল্পের একটা বাধ্যবাধ্যকতা থাকে। সম্পদ-কর বাড়ানোর ক্ষেত্রে ওই বাধ্যবাধকতাও একটা শর্ত হিসেবে কাজ করেছে। তিনি বলেন, ‘‘কেন্দ্রীয় প্রকল্পের শর্ত পূরণ না-হলে, পরবর্তী সময়ে ওই সব প্রকল্পে টাকা পেতে অসুবিধা হতে পারে।’’
প্রদেশ কংগ্রেস নেতৃত্বের অভিযোগ, পুরসভার কাউন্সিলরদের সঙ্গে আলোচনা না করে, পুর কর্তৃপক্ষ একতরফা ভাবে সম্পদ-কর বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আশিস সাহার অভিযোগ, পুর-বাজেটে সম্পদ কর বাড়ানোর উল্লেখ নেই। তা অস্বীকার করেছেন প্রফুল্লজিৎ সিনহা। তিনি বলেন, ‘‘বাজেটে স্পষ্ট উল্লেখ করা হয়েছে, ঘাটতি পূরণ করার চেষ্টা করবে পুরপরিষদ। অর্থাৎ কর বসিয়ে আয় বাড়ানোর ইঙ্গিত ছিলই।’’ তা ছাড়া, পুর এলাকায় কর বাড়ানোর ক্ষেত্রে পুর কর্তৃপক্ষের (‘চেয়ারম্যানস কাউন্সিল’) আইনি ক্ষমতা রয়েছে, ১৯৯৪ সালের ত্রিপুরা পুর-আইনে সে কথা স্পষ্ট ভাবে উল্লেখ করা রয়েছে বলেও তিনি জানান।


First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.