রথের মেলায় স্টল বণ্টন নিয়ে ঝামেলার জেরে যুব তৃণমূলের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়াল তৃণমূল যুবা। দুর্গাপুরে ইস্পাতনগরীর রাজীব গাঁধী ময়দানে রবিবার দুপুরের ঘটনা। তৃণমূলের দু’জন এবং তৃণমূল যুবার তিন জন জখম হয়ে হাসপাতালে ভর্তি। দু’পক্ষই পরস্পরের বিরুদ্ধে পুলিশে অভিযোগ করেছে। পুলিশ জানায়, তদন্ত চলছে।
তৃণমূল সূত্রে জানা গিয়েছে, রাজীব গাঁধী ময়দানে আসন্ন রথের মেলায় সাইকেল স্ট্যান্ড গড়া শুরু হয়েছে। স্ট্যান্ডের দখল নিয়ে দু’পক্ষের মধ্যে অশান্তি হয় দিন তিনেক আগে। তৃণমূল যুবার তরফে পতাকা লাগিয়ে স্ট্যান্ডের দখল নেওয়া হয়। পর দিন যুব তৃণমূলের তরফে সেগুলি খুলে ফেলে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। সমস্যা সমাধানে দু’পক্ষকে ডেকে পাঠান শহরের মেয়র তথা তৃণমূলের জেলা (শিল্পাঞ্চল) সভাপতি অপূর্ব মুখোপাধ্যায়। ঠিক হয়, দু’পক্ষ পাশাপাশি দু’টি আলাদা স্ট্যান্ড গড়বে। ফের অশান্তি হলে দু’পক্ষ বসে তা মেটাবে বলেও সিদ্ধান্ত হয়। কিন্তু অশান্তির রেশ যে কাটেনি, রবিবারের সংঘর্ষই তার প্রমাণ।
এ দিন তৃণমূলের এক সমর্থক পদ্ধতি মেনে একটি স্টল নিতে যান। স্থানীয় ৫ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর কৃষ্ণেন্দু আচার্যের অভিযোগ, “তৃণমূল যুবার নাম করে কয়েক জন তাঁকে বাধা দেন। প্রতিবাদ করায় মারধর করা হয়। |
ওয়ার্ডের তৃণমূল কর্মীরা আক্রান্তের পাশে দাঁড়ালে ওরা মাঠে পড়ে থাকা ডেকরেটরের বাঁশ, লাঠি নিয়ে আমাদের কর্মীদের মারে।” জখম হন তৃণমূল কর্মী পার্থপ্রতিম মিত্র, মনসা তেওয়ারি। দু’জনকেই দুর্গাপুর মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। তৃণমূল যুবার পক্ষে তন্ময় দুবের অভিযোগ, “সাইকেল স্ট্যান্ডের একতরফা দখল না পেয়ে এ দিন আমাদের উপরে হামলা চালায় তৃণমূলের স্থানীয় কিছু কর্মী। আমি-সহ তিন জন জখম হই।” তিন জনকে ভর্তি করানো হয়েছে দুর্গাপুর ইস্পাত হাসপাতালে।
দু’পক্ষই দুর্গাপুর থানায় পরস্পরের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ করেছে। তৃণমূল যুবার নামে কয়েক জন এলাকার শান্তিশৃঙ্খলা বিঘ্নিত করছে বলে স্থানীয় কয়েক জন তৃণমূল নেতার দাবি। সিপিএমের অফিস দখল করে তৃণমূল যুবার অফিস তৈরি হয়েছে বলেও তাঁদের দাবি। কৃষ্ণেন্দুবাবুর বক্তব্য, “আমার ওয়ার্ডের পরিবেশ বরাবর শান্তিপূর্ণ। বাইরে থেকে এসে এ ভাবে অশান্তি ছড়ানোর চেষ্টা কোনও ভাবে মেনে নেওয়া হবে না।” তৃণমূল যুবার তরফে অবশ্য এ সব অভিযোগ অস্বীকার করা হয়েছে। সংগঠনের এক নেতা বলেন, “আমাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ তুলে কোনও লাভ হবে না। অন্যায় দেখলে আমরা তার প্রতিবাদ করি, বিপক্ষে যেই থাকুন না কেন। বিষয়টি সংগঠনের উচ্চ নেতৃত্বকে জানিয়েছি।” পুলিশ জানায়, অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু হয়েছে। |