প্রথম দফার পঞ্চায়েত ভোটের আর বাকি নেই এক সপ্তাহও। তবে রাজনৈতিক সংঘর্ষ থামছে না রাজ্যে।
শুক্রবার রাতে তৃণমূল ও কংগ্রেসের কর্মী-সমর্থকদের সংঘর্ষে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে পূর্ব মেদিনীপুরের নন্দীগ্রাম। নন্দীগ্রাম ১ ব্লকে মহম্মদপুর পঞ্চায়েতের পুরুষোত্তমপুর গ্রামে তৃণমূল ও কংগ্রেসের কর্মী-সমর্থকদের সংঘর্ষে দু’জন আহত হন। ওই রাতে তৃণমূল ও কংগ্রেসের সমর্থকদের মধ্যে বচসা বাধলে স্থানীয় পঞ্চায়েতের কংগ্রেস প্রার্থী খাসিয়ার রহমান সহ দলীয় সমর্থকরা সেখানে গিয়েছিলেন। সে সময় তাদের সঙ্গে তৃণমূল সমর্থকদের সংঘর্ষ বাধে। আহত হন খাসিয়ার রহমান ও স্থানীয় এক তৃণমূল সমর্থক শ্রীকান্ত দোলই। আহতদের প্রথমে নন্দীগ্রাম ব্লক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে তাঁদের তমলুক জেলা হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। নন্দীগ্রাম থানার পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। ওই ঘটনায় তৃণমূলের অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ শেখ ফারুক নামে এক কংগ্রেস কর্মীকে গ্রেফতার করেছে। শুক্রবার সন্ধ্যায় তৃণমূলের সঙ্গে নির্দল প্রার্থী স্বরূপ দাসের সমর্থকদের সংঘর্ষ বাধে নন্দীগ্রাম ২ ব্লকের আমদাবাদ ১ পঞ্চায়েতের টাকাপুরা গ্রামে। আহত হন ছ’জন। সকলেই রেয়াপাড়া গ্রামীন হাসপাতালে ভর্তি।
বীরভূমে এক মহিলা তৃণমূলকর্মীকে মারধর ও তাঁর শ্লীলতাহানি করার অভিযোগ উঠেছে দুই সিপিএম কর্মীর বিরুদ্ধে। শনিবার সকালে সিউড়ির খটঙ্গা পঞ্চায়েত এলাকার কেন্দুলি গ্রামের ঘটনা। ওই মহিলা সিউড়ি সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। শনিবার দুপুরে সিউড়ি থানায় করা লিখিত অভিযোগে তিনি জানান, সকালে দলের কয়েকজনের সঙ্গে তাঁর স্বামী বেরিয়ে যান। তিনি একাই বাড়িতে ছিলেন। তাঁর অভিযোগ, সেই সময় পাড়ায় সক্রিয় সিপিএম কর্মী বলে পরিচিত উজ্জ্বল গড়াই এবং শানু গড়াই নামে দুই যুবক তাঁর বাড়িতে ঢুকে তাঁর উপর চড়াও হয়। কেন সিপিএম না করে তৃণমূল করছি সেই আভিযোগ তুলে বেধড়ক মারধর ও শ্লীলতাহানি করে। সেই সময় তাঁর স্বামী বাড়ি ফিরে আসায় তারা পালিয়ে যায়। তৃণমূলের খটঙ্গার অঞ্চল সভাপতি সুজিত রায় বলেন, “ওই মহিলা তৃণমূল করেন বলেই সিপিএমের লোকেরা এ ভাবে তাঁকে আক্রমণ করেছে। আমরা ঘটনায় জড়িতদের উপযুক্ত শাস্তি চাই।” সিপিএমের সিউড়ি জোনাল সম্পাদক দেবাশিস গঙ্গোপাধ্যায় অবশ্য বলেন, “একটি গরু কেনাকে কেন্দ্র করে ওই ঘটনাটি ঘটেছে। পারিবারিক বিবাদে রাজনীতির রং লাগিয়ে আমাদের কর্মীদের ফাঁসানোর চেষ্টা করা হচ্ছে।” ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। এ দিন সিউড়ি থানাতেইএক নির্দল প্রার্থী নবরঞ্জন ঘোষ তাঁর নির্বাচনী ফেস্টুন পুড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগ জানান।
বাঁকুড়ায় তৃণমূলের পঞ্চায়েত সমিতির এক প্রার্থীকে মারধরের ঘটনায় শনিবার গ্রেফতার হলেন সিপিএমের ইঁদপুর জোনাল কমিটির সম্পাদক সুনীল গোস্বামী ও সিপিএম সদস্য মনসারাম দাস। এ দিন তাঁদের খাতড়া মহকুমা আদালতে তোলা হলে অভিযুক্তদের ১৪ দিন জেল হাজতে রাখার নির্দেশ দেন বিচারক। যদিও সিপিএম নেতৃত্ব ওই ঘটনায় জড়িত নয় বলেই দাবি করেছেন। বৃহস্পতিবার রাতে ওই তৃণমূল প্রার্থী অসিত পাঠককে মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। তিনি বাঁকুড়া মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। |