সিলিং ফ্যানে গলায় ওড়নার ফাঁস বাঁধা এক শিশু ও তার মায়ের দেহ উদ্ধার হল বীরভূমের ইলামবাজারে। শনিবার ইলামবাজার থানার শুকবাজারের ঘটনা। মৃতেরা হলেন তমিজা বিবি (২৬) ও শিমরন খাতুন (৪)। শ্বশুরবাড়ির নির্যাতনে ওই বধূ আত্মঘাতী হয়েছেন বলে তাঁর ভাই পুলিশের কাছে জামাইবাবু-সহ ছ’জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন।ইলামবাজার থানার আকোনা গ্রামের তমিজার সঙ্গে বর্ধমান জেলার লাউদহ থানার আরতি গ্রামের মতিউর রহমানের বিয়ে হয়েছিল বছর ছয়েক আগে।
প্রথমদিকে তমিজা শ্বশুরবাড়িতেই স্বামীর সঙ্গে থাকতেন। তমিজার ভাই কিবরিয়া শেখের অভিযোগ, “বিয়ের পর থেকে স্বামী-সহ শ্বশুর বাড়ির লোকজন দিদিকে নির্যাতন করত। দিদি সে জন্য মাস ছ’য়েক আগে শ্বশুরবাড়ি ছেড়ে ভাগ্নিকে নিয়ে শুকবাজারে ভাড়াবাড়িতে উঠে আসে। কিন্তু এখানেও জামাইবাবু মাঝেমধ্যে আসত। অশান্তি তৈরি হত। জামাইবাবু-সহ শ্বশুরবাড়ির ৬ জনের নির্যাতনে দিদি আত্মহত্যা করেছে।” পুলিশ জানিয়েছে, তিনি ওই ছ’জনের বিরুদ্ধে ইলামবাজার থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে খবর, এ দিন ভোরে তমিজা ও তাঁর মেয়ের সঙ্গে পড়শিদের স্বাভাবিক কথাবার্তাও হয়। কিন্তু ঘণ্টাখানেক পরে তাঁরা তমিজার ঘরে ঢুকে দেখেন ওই দু’জনের দেহ ঝুলছে। খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে দেহ দু’টি নামায়। বাসিন্দারা পুলিশের কাছে অবিলম্বে অভিযুক্তদের গ্রেফতার করার দাবি জানান। পরে পুলিশ আশ্বাস দিলে তাঁরা শান্ত হন। ইলামবাজার থানার পুলিশ জানিয়েছে, ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পাওয়ার পরে মৃত্যুর কারণ জানা যাবে। অভিযুক্তদের গ্রেফতার করার জন্য তারা বর্ধমান জেলা পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করবে। |