জঙ্গলমহলের শান্তি রক্ষায় জঙ্গলমহলের মানুষকেই এগিয়ে আসার আহ্বান জানালেন তৃণমূল সাংসদ শুভেন্দু অধিকারী। শনিবার বাঁকুড়ার জঙ্গলমহল রাইপুরে দলের নির্বাচনী সভায় এসে তিনি দাবি করেন, “এখন জঙ্গলমহলের ছেলেমেয়েরা লেখাপড়ায় ভাল ফল করছে। জনজীবনও স্বাভাবিক হয়েছে। তাই এলাকার মানুষকে সজাগ, সতর্ক থেকে চোখের মণির মতো এখানকার শান্তিকে ধরে রাখতে হবে।”
রাইপুরের হলুদকানালিতে এ দিন শুভেন্দু আসেন বিকেল সওয়া চারটে নাগাদ। তাঁর সভার জন্য এলাকায় ব্যাপক পুলিশি নিরাপত্তা ছিল। প্রায় ২০ হাজার মানুষের ভিড় মাঠ ছাপিয়ে নেমে গিয়েছিল রাস্তায়, এমনকী গাছেও বসে ছিলেন বহু লোক। শুভেন্দু বারবার মনে করিয়ে দেন, তৃণমূল সরকারের আমলেই জঙ্গলমহলে শান্তি ফিরেছে। তিনি বলেন, সিপিএমের দুষ্কৃতীদের শিবির, যৌথবাহিনী, আর মাওবাদীদের বকলমে জনসাধারণের কমিটি, এই তিনের আক্রমণে জঙ্গলমহলে প্রতিদিন খুনখারাপি, রাস্তা অবরোধ, বন্ধ লেগে ছিল। সাধারণ মানুষের জীবন-জীবিকা দুর্বিষহ হয়ে উঠেছিল। এখন রাত পর্যন্ত দোকান-বাজার খোলা থাকছে কি না, শুভেন্দু প্রশ্ন করতে জনতা বেশ উৎসাহের সঙ্গে সাড়া দেয়। |
বাঁকুড়ার জঙ্গলমহলে সিপিএমের নেতা-কর্মীদের সঙ্গে তৃণমূলেরও কয়েকজনকে মাওবাদীরা খুন করেছিল, মনে করিয়ে দেন শুভেন্দু। ২০০৯ সালে রাইপুরেই তৃণমূলের শ্যামসুন্দরপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের সদস্য সমীর পাল খুন হন। ২০১০ সালে পাশের সারেঙ্গা ব্লকে তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতি অজিত পাত্র, ও ওই বছরেই রানিবাঁধে তৃণমূল কর্মী স্বপন সিংহ সর্দারকে মাওবাদীরা খুন করে। শুভেন্দু বলেন, “পরিস্থিতি বদলেছে। কিষেনজির যা প্রাপ্য ছিল, তিনি তা পেয়েছেন।”
তৃণমূল সরকার এলাকার ছেলেমেয়েদের জন্য কনস্টেবল, ভিলেজপুলিশ, হোমগার্ডের কাজের সুযোগ তৈরি করে দিয়েছে, মনে করিয়ে দেন শুভেন্দু। এরপরেই তিনি যোগ করেন, “কিছু অশুভ শক্তি তবুও এ রাজ্যকে আবার বিষাক্ত করে তোলার চেষ্টা করছে। পড়শি রাজ্য ঝাড়খণ্ড, ওড়িশা থেকে মাওবাদীরা ফের এ রাজ্যে অশান্তি পাকানোর চেষ্টা করছে। আমরা কেন্দ্র সরকারকে বলব এই শান্তি বজায় রাখার জন্য যা যা করার তার ব্যবস্থা করতে হবে।”
|