কাজ বনধ তিনিসুকিয়ার কারখানায়
বনধ, বিক্ষোভে তেল সংস্থার লোকসান ২০০ কোটি টাকা
জানি অসমের তিন জেলায় ক্রমাগত বনধ-বিক্ষোভে গত অর্থবর্ষে সংস্থার ২০০ কোটি টাকা লোকসান হয়েছে-—দিনতিনেক আগে এমনই ঘোষণা করেছিল অয়েল ইন্ডিয়া লিমিটেড (অয়েল)।
আজ তেল উৎপাদক সংস্থার ওই ঘোষণা কার্যত সত্যি প্রমাণ হল তিনসুকিয়ায়। বিক্ষোভ-আন্দোলনে বন্ধ হল সেখানকার সংস্থার কাজকর্ম। ‘অয়েল’-এ স্থানীয় যুবকদের চাকরি এবং জেলার প্রত্যন্ত এলাকার উন্নয়নে ওই সংস্থার সাহায্যের দাবিতে তুমুল বিক্ষোভ দেখায় স্থানীয় কয়েকটি সংগঠন। আন্দোলনের নেতৃত্বে ছিল মটক এবং মরান ছাত্র সংস্থা। মরান ছাত্র সংস্থার সম্পাদক প্রবোধ বরুয়া বলেন, “অয়েল-এর কারখানায় স্থানীয় বাসিন্দাদের চাকরি দেওয়া হবেএমনই প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল। এলাকার উন্নয়ন করারও আশ্বাস মিলেছিল। কিন্তু সে সবেরই কিছুই হয়নি। আজ শুধু প্রতীকী আন্দোলন করা হয়েছে। মরান উপজাতির দাবি না-মানলে আরও বড় বিক্ষোভ শুরু হবে।” অয়েল-এর মুখপাত্র ত্রিদীপ হাজরিকা জানান, ওই সংস্থার কাজ বনধ করা হলে তাতে রাজ্যেরও ক্ষতি। কারণ, অসমের প্রায় সাড়ে ৩০০ চা বাগান, কয়েকটি গ্যাস প্রকল্প, বিসিপিএল এবং দুটি বিদ্যুৎ কেন্দ্রে সেখান থেকেই তেল, গ্যাস সরবরাহ করা হয়। অয়েল-এ কাজ বনধ হলে ওই সব জায়গাতেই কাজকর্ম ব্যাহত হবে। নিয়োগ ও উন্নয়ন সংক্রান্ত অভিযোগ নিয়ে হাজরিকার বক্তব্য, “আমরা সামাজিক দায়িত্ব হিসাবে গত বছর উত্তর-পূর্বের বিভিন্ন এলাকার উন্নয়নে ৫১ কোটি ৯০ লক্ষ টাকা ব্যয় করেছি। কোনও নির্দিষ্ট উপজাতির মধ্যে থেকে কর্মী নিয়োগের দাবি অযৌক্তিক।”
গত বুধবার এক সাংবাদিক সম্মেলনে অয়েলের চেয়ারম্যান তথা ম্যানেজিং ডিরেক্টর এস কে শ্রীবাস্তব জানান, অসমের তিনসুকিয়া, ডিব্রুগড় ও শিবসাগর জেলায় গত অর্থবর্ষে পরিবেশ এবং আইন-শৃঙ্খলা সংক্রান্ত সমস্যায় তেলের উৎপাদন কম হয়েছে। কমেছে গ্যাসের উৎপাদনও। ফলে প্রায় ২০০ কোটি টাকা লোকসান হয়েছে। ২০১২-১৩ সালে ওই তিনটি জেলায় ২৯০টি বনধ ও অবরোধের ঘটনা ঘটে। তার জেরে ৩.৯৫ মিলিয়ন মেট্রিক টন (এমএমটি) অপরিশোধিত তেল উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা থাকলেও, মাত্র ৩.৭০ এমএমটি তেল উৎপাদন করতে পেরেছে অয়েল। ২০১১-১২ সালে তার পরিমাণ ছিল ৩.৮৮৪ এমএমটি।”
শ্রীবাস্তব বলেন, “দ্বাদশ পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনায় পরিকাঠামো উন্নয়নে গোটা দেশে ১৯ হাজার কোটি টাকার পরিকল্পনা নিয়েছে অয়েল। তার ৬৩ শতাংশ খরচ হবে উত্তর-পূর্বে।”
চলতি অর্থবর্ষে উত্তর-পূর্বের উৎপাদনক্ষেত্রগুলির জন্য ১৯৮২ কোটি টাকা বরাদ্দ করেছে অয়েল। সংস্থাটি জানিয়েছে, ১৯৬২ সালে উৎপাদন শুরু হওয়া দুলিয়াজান-বারাউনি পাইপ লাইনের পাম্পিং সামগ্রী বদলানো হবে। তার জন্য বরাদ্দ হয়েছে ৮৭১ কোটি টাকা। ২০১৫ সালের মধ্যে সব পুরনো পাম্পিং সামগ্রী সংস্কারের কাজ শেষ হবে। উত্তর-পূর্বে বায়ু-শক্তি প্রকল্পও শুরু করতে চায় ওই সংস্থাটি। এখন রাজস্থানে তাদের দুটি এ ধরনের প্রকল্প নির্মাণের কাজ চলছে।


First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.