পঞ্চায়েত নির্বাচনকে ঘিরে তৃণমূল-সিপিএমের কর্মী সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ, দফতরে ভাঙচুর-আগুন, প্রার্থীদের উপরে আক্রমণ চলছেই।
বৃহস্পতিবার রাতে কাকদ্বীপের বৈরাগীর চক গ্রামে তৃণমূল প্রার্থীর বাড়িতে বোমা মারার অভিযোগে চারজনকে গ্রেফতার করল পুলিশ। বোমা মারার সময়ে ওই চারজনকে হাতেনাতে ধরে ফেলেন গ্রামবাসীরা। পরে কাকদ্বীপ পঞ্চায়েত সমিতির বিদায়ী সভাপতি তথা বর্তমানে ওই পঞ্চায়েত সমিতির ১০ নম্বর কেন্দ্রের তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী দীপক পাত্রের অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ তাদের গ্রেফতার করে। অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার রাতেই বসিরহাটের ঘোড়ারস স্টেশনের কাছে দক্ষিণ পাড়ায় নির্বাচনের কাজের জন্য তৈরি তৃণমূলের একটি অস্থায়ী কার্যালয় কে বা কারা পুড়িয়ে দেয়। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে রাতে থেকেই এলাকায় উত্তেজনা ছড়ায়। তৃণমূলের অভিযোগ, কংগ্রেসের কর্মীরাই এই কাজ করেছে। যদিও কংগ্রেসের দাবি, পঞ্চায়েত নির্বাচনে প্রার্থী বাছাই নিয়ে তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব কারও অজানা নয়। এটা তারই ফল। এই ঘটনার সঙ্গে তাঁদের দলের কেউ জড়িত নন। এ দিকে দলীয় কার্যালয় পোড়ানোর প্রতিবাদে শুক্রবার সকালে রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখান তৃণমূলের নেতা-কর্মীরা। পুলিশ গিয়ে অবস্থা সামাল দেয়। |
তৃণমূল ও সিপিএমের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে শুক্রবার দুপুরে বাদুড়িয়া থানার বাগজোলা গ্রামের দক্ষিণপাড়ায়। সংঘর্ষে চারজন জখম হয়েছেন। আহতদের মধ্যে দু’জনকে রুদ্রপুর গ্রামীণ হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। পুলিশ জানায়, এ দিন বেলা দুটো নাগাদ বচসাকে কেন্দ্র করে দু’দলের কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে মারামারি বাধে।
সিপিএম নেতা মহম্মদ সেলিম মণ্ডল বলেন, “তৃণমূলের লোকজন দলীয় পাতাকা ছিঁড়ে দিচ্ছে। জোর করে ওদের প্রচারে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছে। এ সবের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করায় আমাদের দুই সমথককের মাথা ফাটিয়ে দেয় তৃণমূলের লোকজন।” তৃণমূল নেতা তুষার সিংহের পাল্টা দাবি, “সিপিএমের লোকেরাই বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোটারদের হুমকি দিচ্ছে। আমাদের দলের ফ্ল্যাগ, ব্যানার খুলে দিচ্ছে। তবে এ দিন পাওনা টাকা আদায় নিয়ে দু’দল লোকের মধ্যে মারামারি হয়। এর সঙ্গে রাজনীতির কোনও সম্পর্ক নেই।” পুলিশ জানিয়েছে, দু’তরফেই অভিযোগ পাওয়া গিয়েছে। তদন্ত শুরু হয়েছে।” |