রাজ্যের উত্তর-দক্ষিণে নারী নিগ্রহের বিরাম নেই। কামদুনি, খোরজুনা কাণ্ডের রেশ এখনও কাটেনি। তারই মধ্যে শুক্রবার রানিনগরের বালিদেয়াড় গ্রামের সপ্তম শ্রেণির এক প্রতিবন্ধী কিশোরীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠল স্থানীয় তৃণমূল নেতার ছেলে মাজদার শেখের বিরুদ্ধে। শুক্রবার দুপুরের ওই ঘটনায় অবশ্য পুলিশ অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে। অসুস্থ ওই ছাত্রীকে ডোমকল মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। জেলার পুলিশ সুপার হুমায়ুন কবীর বলেন, “স্থানীয় পুলিশ ধর্ষণের অভিযোগে ওই যুবককে গ্রেফতার করেছে।”
বালিদেয়াড় গ্রাম থেকে তার স্কুল প্রায় তিন কিলোমিটার। প্রতিবন্ধী মেয়েটি দূরত্ব এড়ানোর জন্য প্রতিদিনই আলপথ দিয়ে যাতায়াত করত। এ দিনও সেই পথেই স্কুল থেকেই বাড়ি ফিরছিল সে। তার বাবা জানান, সেই সময় মাঠের পাট খেতের মধ্যে তাকে টেনে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করে ওই যুবক।
এলাকায় যথেষ্ট ‘সুনাম’ রয়েছে মাজদারের। পাড়ার মেয়েদের উত্ত্যক্ত করা, ছোটখাটো সমাজবিরোধী কাজ সবই সমান দাপটে করে ওই যুবক। তার ‘বরাভয়’ বাবা জহিরুদ্দিন শেখ। যিনি এতদিন রানিনগর-২ পঞ্চায়েতের প্রধান ছিলেন কংগ্রেসের টিকিটে। পরিবর্তনের পরে দল বদলে তিনি তৃণমূলে। মাজদারের মা-ও স্থানীয় তৃণমূল সভানেত্রী। হয়ত সেই কারণেই অভিযোগ পেয়েও পুলিশ ওই যুবককে গ্রেফতার করতে গড়িমসি করছিল।
এ দিন ওই ছাত্রীটির উপর অত্যাচার চালানোর সময় তার চিত্কারে গ্রামিবাসীরা ছুটে আসেন। ধরে ফেলেন মাজদারকে। তাদের অভিযোগ, পুলিশ প্রথমে মাজদারকে গ্রেফতার করতে চায়নি। স্থানীয় ব্লক তৃণমূল সভাপতি রাব্বেল আলি বলেন, “জহিরুদ্দিন আমাদের কর্মী হলেও ওর ছেলের সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক নেই। ফলে আমরা এ ব্যাপারে ওর পাশে দাড়াচ্ছি না।” |