বহরমপুরের শিলায়ন হোমে ধষর্ণের অভিযোগ খতিয়ে দেখতে তদন্তের নির্দেশ দিল রাজ্য মানবাধিকার কমিশন। সংবাদ মাধ্যমে ওই ধর্ষণের কথা জানতে পেরে স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে কমিশনের চেয়ারম্যান, অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি অশোককুমার গঙ্গোপাধ্যায় শুক্রবার ওই নির্দেশ দিয়েছেন। এ দিন শিশু ও নারী কল্যাণ দফতরের সচিবকে তাঁর নির্দেশ, কোনও উচ্চ পদস্থ আধিকারিককে দিয়ে ওই হোমে ধর্ষণের ঘটনার তদন্ত করাতে হবে। তিন সপ্তাহের মধ্যে কমিশনে ওই রিপোর্ট জমা দিতে হবে। সেই সঙ্গে, মুর্শিদাবাদের পুলিশ সুপারের কাছেও শিলায়ন হোমের ব্যাপারে অবিলম্বে বিস্তারিত তথ্য জানতে চেয়েছে কমিশন।
তবে ঘটনাটি জানাজানি হয়ে যাওয়ায় শিলায়নের ‘ধর্ষণ’ কাণ্ড নিয়ে মুখে কুলুপ এঁটেছে জেলা প্রশাসন। ঘটনার তদন্তে রাজ্য সমাজকল্যাণ দফতরের উপ-অধিকর্তা ইন্দুশেখর চট্টোপাধ্যায় এবং ওই দফতরের বিশেষ আধিকারিক অনিন্দ্যনারায়ণ চৌধুরী শুক্রবার শিলায়ন হোমে এসেও এড়িয়ে গিয়েছেন সংবাদমাধ্যমকে। ‘তদন্তের স্বার্থে’ হোম কাণ্ড নিয়ে তাঁরা এ দিন মুখ খুলতে চাননি। |
এ দিন জেলা কংগ্রেস সভাপতি তথা কেন্দ্রীয় রেল প্রতিমন্ত্রী অধীর চৌধুরী বলেন, “মুখ্যমন্ত্রী ধর্ষণের ঘটনাকে সাজানো বলছেন। তখন প্রশাসনিক কর্তারা ধর্ষণের ঘটনাকে আড়াল করতে চাইবেন, এটাই তো স্বাভাবিক!” তিনি এ ব্যাপারে সাধারন মানুষকে পথে নামতেও আহ্বান জানান। এ দিন দুপুরে বহরমপুরের বিধায়ক মনোজ চক্রবর্তী-সহ জেলা কংগ্রেসের নেতারা শিলায়ন হোমে যান। তার আগে হোমের গেটের সামনে বিক্ষোভ দেখায় জেলা মহিলা কংগ্রেস। কংগ্রেস সমর্থকদের হোমে ঢুকতে গেলে তাঁদের বাধা দেওয়া হয়। পরে গেট ঠেলে কংগ্রেসের সমর্থকরা ভেতরে ঢোকেন। মনোজ বলেন, “সমাজকল্যাণ দফতরের মন্ত্রী ধর্ষণ হয়নি বলে যে তত্ত্ব দিচ্ছেন, তা ঠিক নয়।” কংগ্রেসের দুই মহিলা কাউন্সিলর ওই তরুণীর সঙ্গে একান্তে কথাও বলেন। তাঁদের কাছেও ‘ধর্ষণ’-ই হয়েছে বলে ওই তরুণীর দাবি। |