|
|
|
|
দুর্ভোগের আশঙ্কা |
ভোটের জন্য কমছে বাস
নিজস্ব সংবাদদাতা • মেদিনীপুর |
পঞ্চায়েত নির্বাচনের জন্য প্রশাসন বাস তুলে নেওয়ায় আজ শনিবার থেকেই দুর্ভোগে পড়তে পারেন সাধারণ মানুষ। সমস্যা আরও জটিল হওয়ার আশঙ্কা মঙ্গলবার থেকে। কারণ ওই দিন থেকে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত জেলার অধিকাংশ বাসই ভোটের কাজে ব্যবহৃত হবে। ফলে যাতায়াতের জন্য পথে বাস পাওয়া দুষ্কর হয়ে উঠতে পারে। সমস্যার কথা স্বীকার করে জেলা প্রশাসনের এক আধিকারিক জানাচ্ছেন, নির্বাচনের জন্য প্রতি বারই বাস তুলতে হয়। এ বারও কেন্দ্রীয় বাহিনীকে এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় পৌঁছে দিতে বাস লাগছে। ফলে শনিবার থেকেই রাস্তায় বাসের সংখ্যা কমবে। তবে আগামী শুক্রবার থেকে পরিস্থিতি ফের স্বাভাবিক হয়ে যাবে।
আগামী ১১ জুলাই প্রথম দফায় পশ্চিম মেদিনীপুরে পঞ্চায়েত নির্বাচন। ভোটের সময় ভোটকর্মীদের যাতায়াতের জন্য বাসের প্রয়োজন হয়। এছাড়া কেন্দ্রীয় বাহিনী ও পুলিশ কর্মীরাও এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় বাসে করে পৌঁছন। রবিবার থেকেই কেন্দ্রীয় বাহিনী বিভিন্ন এলাকায় পৌঁছে সোমবার থেকে টহল দিতে শুরু করবে। ফলে, প্রশাসন এবং পুলিশ পৃথক ভাবেই বাস তুলছে।
এখন জেলায় বিভিন্ন রুটে চলাচলকারী মোট ৮৫০টি বাস রয়েছে। পঞ্চায়েত নির্বাচনের জন্য জেলা প্রশাসন প্রায় ৬৫০টি বাস নিচ্ছে। অন্য দিকে, পুলিশ নিচ্ছে প্রায় ২৫০টি বাস। ফলে শুধু জেলার বাস দিয়ে চাহিদা না মেটায় পূর্ব মেদিনীপুরের কিছু বাসও নিতে হচ্ছে। জানা গিয়েছে, পুলিশ বাস নিচ্ছে ৬ জুলাই থেকে। প্রশাসন বাস নেবে ৯ জুলাই থেকে। জেলা পরিবহণ দফতরের এক আধিকারিকের কথায়, “দুই মেদিনীপুরে একই দিনে নির্বাচন হলে সমস্যা হত। প্রথমে তো ঠিক ছিল, ২ জুলাই একই সঙ্গে ন’টি জেলায় নির্বাচন হবে। প্রয়োজনীয় সংখ্যক বাস কী ভাবে মিলবে, তার হিসেব করতে গিয়েই সমস্যায় পড়তে হয়েছিল। নির্বাচনের নতুন সূচি বেরোনোর পর অবশ্য চিন্তা কিছুটা কমে।”
জেলা বাস ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক মৃগাঙ্ক মাইতি বলেন, “পুলিশ ও প্রশাসন বাস নেওয়ায় এই ক’দিন রাস্তায় কম বাস থাকবে। ফলে যাত্রীদের সমস্যা হবে।” জেলা বাস ব্যবসায়ী সমিতির সহ-সভাপতি শিবু সরখেলের বক্তব্য, “পুলিশ ও প্রশাসন নির্বাচনের জন্য বাস ভাড়া চাইলে আমরা তো না করতে পারি না। আমাদেরও নৈতিক কর্তব্য পুলিশ ও প্রশাসনকে নির্বাচনের কাজে সব রকম ভাবে সহযোগিতা করা।”
তা ছাড়া বাস মালিকদের দাবি মেনে এ বার বাস ভাড়াও বাড়ানো হয়েছে। আগে প্রশাসন বাস নিলে ভাড়া বাবদ দিনপিছু ১ হাজার ১৫০ টাকা দেওয়া হত। সঙ্গে তেল এবং চালক-হেল্পারের পারিশ্রমিক পাওয়া যেত। এখন বাস ভাড়া দিন পিছু ২৯০ টাকা বাড়িয়ে ১ হাজার ৪৪০ টাকা করা হয়েছে। চালক-হেল্পারের পারিশ্রমিকও দিন পিছু ৯৫ টাকা থেকে বাড়িয়ে ১২৫ টাকা করা হয়েছে। |
|
|
|
|
|