দক্ষিণ কলকাতা: গড়িয়া, সোনারপুর
সংশয়ের নিকাশি
নবসাজের প্রতীক্ষায়
পুরসভার হাতে পাম্পিং স্টেশনের জমি এখনও না আসায় আটকে রয়েছে রাজপুর-সোনারপুর পুর এলাকার নিকাশি ব্যবস্থা নতুন করে সংস্কারের পরিকল্পনা। পুরসভা সূত্রে জানা গিয়েছে, পরিকল্পনার প্রাথমিক খসড়া তৈরির নব্বুই শতাংশ কাজ প্রায় শেষ। ৯৫ কোটি টাকার এই পরিকল্পনার প্রস্তাব পাঠানো হবে জওহরলাল নেহরু ন্যাশনাল আর্বান রিনিউয়াল মিশন (জেএনএনইউআরএম)-এর দ্বিতীয় পর্যায়ের জন্য।
পুর কর্তৃপক্ষের যুক্তি, এই পরিকল্পনা বাস্তবায়িত হলে রাজপুর-সোনারপুর পুর এলাকার নিকাশি ব্যবস্থায় বড় রকমের পরিবর্তন আসবে।
পুরসভার ৩৫টি ওয়ার্ডের নর্দমা-সহ নিকাশি ব্যবস্থা ঢেলে সাজা হবে। ফলে রানিয়া থেকে ঘাসিয়াড়া এবং গড়িয়া থেকে মালঞ্চ পর্যন্ত ফি বছর জল জমার সমস্যার অনেকটাই নিরসন হবে বলে আশা কর্তৃপক্ষের। তবে কাজ শুরুর প্রক্রিয়া চোখে না দেখা পর্যন্ত এলাকার বাসিন্দারা এই পদক্ষেপের উপর কোনও আস্থা রাখতে পারছেন না। প্রতি বর্ষায় জল জমার যন্ত্রণা সহ্য করতে হয় এই পুর এলাকার বাসিন্দাদের। তাঁদের ক্ষোভ, বর্ষা এলেই শোনা যায় পুরসভা নিকাশি ব্যবস্থা সংস্কারে উদ্যোগী হচ্ছে। কিন্তু কোনও কাজ হয় না। বাসিন্দা শেখর নস্করের কথায়: “পুরসভায় ক্ষমতা বদল হলেও এলাকার নিকাশি ব্যবস্থার ছবি বদলায়নি। না আঁচানো পর্যন্ত আর কোনও প্রতিশ্রুতিতে আমাদের আস্থা নেই।”
পুরসভার বিরোধী দল বামফ্রন্টও ক্ষমতাসীন তৃণমূল বোর্ডের সংস্কারের এই উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছে। বিরোধী দলের কাউন্সিলর এবং প্রাক্তন উপ-পুরপ্রধান সিপিআইয়ের তড়িৎ চক্রবর্তী বলেন, “এ ধরনের উদ্যোগ সবসময়েই প্রশংসনীয়। তবে কাজটি কতটা বাস্তবায়িত হবে তা নিয়ে সংশয় রয়েছে। শেষ পর্যন্ত কী হয় সেটাই দেখার।”
পুরসভা সূত্রে জানা গিয়েছে, সংস্কারের পরিকল্পনায় একটি পাম্পিং স্টেশনের জন্য পুরসভার নিজস্ব জমি দেখানো বাধ্যতামূলক। নরেন্দ্রপুরের কাছে জমিটি চিহ্নিতও করেছে পুরসভা। তবে এখনও জমিটি পুরসভার হাতে আসেনি বলে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক আধিকারিক জানান। তবে এই সমস্যা সমাধানে তোড়জোড় চলছে। পুর কর্তৃপক্ষের আশা, দ্রুত জমিটি পুরসভার হাতে চলে আসবে। তার পরেই এ সংক্রান্ত যাবতীয় নথি পাঠনো হবে রাজ্য নগরোন্নয়ন দফতরে।
সোনারপুরের (উত্তর) বিধায়ক এবং পুরসভার উপ-পুরপ্রধান তৃণমূলের ফিরদৌসি বেগম বলেন, “জমিটি শীঘ্রই পুরসভার হাতে আসবে। জোরকদমে চেষ্টা চলছে। তার পরে অনুমোদনের জন্য অপেক্ষা করতে হবে। সবুজ সঙ্কেত মিললেই কাজ শুরু হবে, এ নিয়ে কোনও সংশয় নেই।”

ছবি: সুব্রত রায়




অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.