দক্ষিণ কলকাতা: বেহালা
পুর-উদ্যোগ
মিটবে দাবি
বশেষে পুরবাসীদের দাবি মিটতে চলেছে। বেসকারি সংস্থার সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে টাউন হল ও গ্রন্থাগার তৈরির কাজ শুরু করেছে মহেশতলা পুরসভা।
মহেশতলার বাসিন্দারা দীর্ঘ দিন পুর এলাকায় একটি টাউন হল এবং গ্রন্থাগার তৈরির দাবি জানাচ্ছিলেন। বাসিন্দাদের দাবিকে গুরুত্ব দিয়ে পুরনো বামবোর্ড বাটা মোড় সংলগ্ন এলাকায় একটি টাউন হল এবং গ্রন্থাগার তৈরির পরিকল্পনা করেছিল। কাজও শুরু হয়েছিল। কিন্তু প্রাথমিক কিছু কাজের পরে তা বন্ধ হয়ে যায়। সম্প্রতি তৃণমূল পুরবোর্ড পিপিপি (পাবলিক প্রাইভেট পার্টনারশিপ) মডেলে সেই টাউন হল এবং গ্রন্থাগার তৈরির কাজ শুরু করেছে।
মহেশতলা পুরসভা সূত্রের খবর, টাউন হল এবং গ্রন্থাগার ভবন তৈরির জন্য আগের বামবোর্ড এক কোটি ২০ লক্ষ টাকা খরচ করেছিল। কিন্তু এতে পাইলিং ছাড়া কাজ এগোয়নি। দীর্ঘ দিন ধরে প্রকল্পটি এই অবস্থায় পড়েছিল। মহেশতলা পুরসভার প্রাক্তন চেয়ারম্যান সিপিএমের কালী ভাণ্ডারী বলেন, “এক কোটি ২০ লক্ষ টাকা পাইলিংয়ে খরচ হয়েছিল। এই প্রকল্পের জন্য আমরা পুর বাজেটে তিন কোটি টাকা বরাদ্দ করেছিলাম। আমাদের পরিকল্পনা ছিল পুরসভা নিজেই পুরো কাজ করবে।”
বাসিন্দারা জানান, মহেশতলার ব্যানার্জিহাটের কাছে পুরসভার পরিচালিত উৎপল দত্ত মঞ্চ রয়েছে। কিন্তু এলাকার মূল সড়ক থেকে ওই প্রেক্ষাগৃহটি অনেকটা দূরে হওয়ায় কোনও অনুষ্ঠান শেষে ফিরতে অসুবিধে হয়। গাড়ি পেতে কালঘাম ছুটে যায় অনুষ্ঠান ফেরত দর্শকদের। বাসিন্দা শেফালি রায়ের কথায়: “বাটা মোড়ের কাছে টাউন হল এবং গ্রন্থাগার ভবনটি তৈরি হয়ে গেলে আমাদের অনেক সুবিধে হবে। বিভিন্ন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের জন্য এখন যে মঞ্চটি রয়েছে সেখানে যাতায়াত করতে খুবই সমস্যা হয়।”
পুরসভা সূত্রের খবর, বাটা মোড়ে একটি তিন তলা বাড়ি তৈরি হচ্ছে। পরিকল্পনা অনুযায়ী, বাড়িটির এক তলায় হবে টাউন হল। দু’তলায় থাকবে গ্রন্থাগার। এই প্রকল্পের খরচের একটি অংশ পুরসভা দেবে। বাকি অংশ বেসরকারি সংস্থাটি বহন করবে। এর বদলে ভবনের তিন তলাটি বেসরকারি সংস্থা ব্যবহার করবে। পুরসভার দাবি, কাজ দ্রুত গতিতে চলছে। সাত-আট মাসের মধ্যেই কাজ শেষ হবে। যদিও বিরোধী দল বামফ্রন্টের দাবি, সামনের বছরে পুর নির্বাচন। তড়িঘড়ি কাজ করে বাসিন্দাদের চমক দিতে চায় বর্তমান বোর্ড। কাজের গুণগত মান নিয়েও সংশয় প্রকাশ করেন বাম নেতৃত্ব।
মহেশতলা পুরসভার চেয়ারম্যান তৃণমূলের দুলাল দাস বলেন, “আমাদের চমক দেওয়ার কিছু নেই। এক কোটি টাকার উপরে খরচ করার পরেও যাঁরা একটি প্রকল্পের কাজ শেষ করতে পারেন না, তাঁদের মুখে এই সমালোচনা মানায় না। কাজ শেষ হলে পুর এলাকার বাসিন্দারা উপকৃত হবেন। সেটাই আমাদের বড় পাওনা এবং সাফল্য।”

ছবি: অরুণ লোধ




অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.