দক্ষিণ কলকাতা
সংস্কার কবে
যাত্রীরা হুঁশিয়ার
গোটা রাস্তা বড় বড় খানাখন্দে ভর্তি। পিচ তো দূরের কথা, কোনও কোনও জায়গায় রাস্তার খোয়া পর্যন্ত উঠে গিয়েছে। রাস্তার দু’ধারে ফুটপাথ বলে কিছু নেই। গোটা রাস্তার দু’ধার কাদায় ভর্তি। সামান্য বৃষ্টিতেই প্রায় এক হাঁটু জল জমে যায়। চলাফেরা করাই দায় হয়ে পড়ে। বাসিন্দাদের অভিযোগ, বার বার জানানো সত্ত্বেও কলকাতা পুরসভা বা কলকাতা মেট্রোপলিটন ডেভেলপমেন্ট অথরিটি (কেএমডিএ) কোনও ব্যবস্থা নেয়নি। ইস্টার্ন মেট্রোপলিটন বাইপাসের ধারে হাইল্যান্ড পার্কের রাস্তার হাল এমনই।
কলকাতা পুরসভার মেয়র তথা কেএমডিএ-র ভাইস চেয়ারম্যান শোভন চট্টোপাধ্যায় বলেন, “এই রাস্তাটি কেএমডিএ-র অধীন। তাই সংশ্লিষ্ট দফতরই রাস্তা সারাবে। বিষয়টি নিয়ে কেএমডিএ কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করব।”
কেএমডিএ কর্তৃপক্ষ জানান, রাস্তা যেহেতু তাঁদের, তাই মেরামতির দায়িত্বও তাঁদেরই। কিন্তু কিছু প্রযুক্তিগত কারণে রাস্তা মেরামতিতে দেরি হচ্ছে।
এই রাস্তা দ্রুত সারাতে অসুবিধা কোথায়?
কেএমডিএ-র এক আধিকারিক জানান, এই রাস্তায় একটু বৃষ্টিতেই জল জমে যায়। নিকাশি সমস্যার জন্য জল বেরোতে পারে না। আগে নিকাশির কাজ শেষ না করলে রাস্তা সারানোর কোনও মানে হয় না। তবে কেএমডিএ সূত্রে খবর, নিকাশির কাজ ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে।
কলকাতা পুরসভার ১০৯ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর সিপিএমের রুমকি দাস বলেন, “এই রাস্তার অবস্থা খুবই শোচনীয়। একটু বৃষ্টিতেই জল জমে যায়। ফলে বাসিন্দাদের যথেষ্ট সমস্যা হয়। আশপাশের দোকানেও জল ঢুকে যায়। অনেক বার বলার পরে অবশেষে নিকাশির কাজ শুরু করেছে কেএমডিএ। কিন্তু রাস্তার অবস্থা একই রকম আছে।”
স্থানীয় বাসিন্দা তরুণকান্তি বসুর কথায়: “এই রাস্তায় বড় বড় গর্ত থাকায় একটু বৃষ্টিতেই জল জমে যায়। বর্ষায় অবস্থা খুবই খারাপ হয়। ওই রাস্তা দিয়ে গাড়িতে যাওয়ার সময়েও খুব ঝাঁকুনি লাগে। বছরের পর বছর একই অবস্থা চলেছে।”
নিয়মানুযায়ী, কেএমডিএ অনেক সময়ে নিজেদের রাস্তা সারাতে কলকাতা পুরসভার পরিকাঠামোর সাহায্য নেয়। সে ক্ষেত্রে তাদের পুর-কর্তৃপক্ষের কাছে আর্জি জানাতে হয়। তবে, রাস্তা সারানোর সমস্ত খরচ বরাদ্দ করতে হয় কেএমডিএ-কে। মেয়র পারিষদ (সড়ক) সুশান্তকুমার ঘোষ বলেন, “এই এলাকা কলকাতা পুরসভার অন্তর্গত হলেও এই রাস্তাটি কেএমডিএ-র। সুতরাং রাস্তা মেরামতির দায়িত্ব সংশ্লিষ্ট দফতরের। তবে এটা ঠিক যে এই রাস্তার অবস্থা খুবই খারাপ। পুরসভার রাস্তা মেরামতির তালিকায় এই রাস্তা রাখা হয়নি। কেএমডিএ আমাদের সারানোর ব্যাপারে কিছু জানায়নি। একান্ত না সারালে বিষয়টি কেএমডিএ-কে জানাতেই হবে।”

ছবি: শুভাশিস ভট্টাচার্য




অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.