বাবা সুব্রত পান ও মা মুনমুন পান, দু’জনেই ছিলেন রাজ্য স্তরের অ্যাথলিট। গত মে-তে জাতীয় ইয়ুথ চ্যাম্পিয়নশিপে একশো দশ মিটার হার্ডলসে রুপো জিতেছে সে। তবুও তার স্বপ্ন অলিম্পিকে দৌড়ানো নয়, ভারতের নীল জার্সিতে ক্রিকেট খেলা!
সিএবি-র বর্ষসেরা অনূর্ধ্ব ১৬ ক্রিকেটার অগ্নিভ পানের গল্পটা সত্যিই অবাক করে দেওয়ার মতো।
মেনল্যান্ড সম্বরণ ক্রিকেট অ্যাকাডেমির ছাত্র অগ্নিভ ছোটবেলা থেকেই ক্রিকেটপ্রেমী। তৃতীয়-চতুর্থ শ্রেণী থেকে মেদিনীপুরের বিভিন্ন কোচিং সেন্টারে ক্রিকেট-পাঠ শুরু। যার সঙ্গে সমান তালে চলেছে বাবার ট্রেনিং ক্যাম্পে অ্যাথলেটিক্স প্র্যাক্টিস। এ বছর রুপো জেতা ছাড়াও গত বার ইয়ুথ চ্যাম্পিয়নশিপে সোনা পেয়েছে অগ্নিভ। অ্যাথলেটিক্সের বায়োডেটা যতই আকর্ষণীয় হোক, অগ্নিভর স্বপ্নে ট্র্যাক অ্যান্ড ফিল্ডের বদলে ক্রিকেটের বাইশ গজ। তার লক্ষ্য, অ্যাথলেটিক্স থেকে নিজের ফিটনেসটা ঠিকঠাক রেখে সেটাকে ক্রিকেট-মাঠে কাজে লাগানো। |
মেদিনীপুর কলেজিয়েট স্কুলের বারো শ্রেণির ছাত্র অগ্নিভর কথায়, “আমার কাছে বাবা-মা আদর্শ, তাই অ্যাথলেটিক্স করি। কিন্ত আমার স্বপ্ন ক্রিকেটার হওয়া। অ্যাথলেটিক্সের সৌজন্যে আমি ফিট থাকতে পারি। যা ক্রিকেট-মাঠে আমার কাজে লাগে।” মেনল্যান্ড সম্বরণ অ্যাকাডেমিতে দু’বছর ধরে প্র্যাক্টিস করলেও অগ্নিভর ‘অন্য’ প্রতিভার কথা অনেক পরে জানতে পেরেছিলেন সম্বরণ বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রাক্তন রঞ্জিজয়ী বাংলা অধিনায়ক বলছিলেন, “আমি জানতাম যে অগ্নিভ অ্যাথলিট। কিন্তু এত ভাল, সেটার প্রমাণ অনেক পরে পেলাম।”
মেনল্যান্ড অ্যাকাডেমিতে অগ্নিভর কোচ প্রাক্তন বাংলা ক্রিকেটার সৈকত মুখোপাধ্যায়-ও বলছেন, “অগ্নিভর মধ্যে অনেক প্রতিভা আছে। কিন্তু দেশের জার্সিতে খেলতে হলে আরও পরিশ্রম করতে হবে।” যে লক্ষ্যের নীল নকশা মোটামুটি করে ফেলেছে অগ্নিভ। “এর পর আমি অনূর্ধ্ব উনিশ দলে খেলতে চাই। সেখানে ভাল খেলতে পারলে ভারতের হয়ে খেলার সুযোগ নিশ্চয়ই আসবে,” আত্মবিশ্বাসী অগ্নিভ।
আর অ্যাথলেটিক্সের ভবিষ্যৎ? দুই ক্ষেত্রে সমান পটু হলেও অগ্নিভর স্বপ্ন জুড়ে শুধুই টিম ইন্ডিয়ার নীল জার্সি। |