শিখর ধবনের পথ অনুসরণ করে লড়াইয়ের রসদ খুঁজে নিতে চান ঋদ্ধিমান। মাত্র ১০ মিনিট আগেই দক্ষিণ আফ্রিকাগামী ভারতীয় ‘এ’ দলে সুযোগ পাওয়ার খবর পেয়েছেন। কিন্তু জায়গা হয়নি জিম্বাবোয়েগামী ভারতীয় দলে। তা শুনে ফের একবার চোয়াল শক্ত করে লড়াইয়ের প্রস্ততি নিয়ে ফেলেছেন। বলব না বলব না করেও বলেই ফেললেন, “প্রতিটি ম্যাচই চ্যলেঞ্জ। এমনকী অফিস বা ক্লাব ম্যাচও।” জাতীয় দলে যতটুকু সুযোগ পেয়েছেন পারফর্ম করেছেন। তা সত্বেও ‘এ’ দলে খেলাটা কি বঞ্চনা হয়ে যাচ্ছে না? প্রশ্নের উত্তর দিলেন সোজা ব্যাটেই,“শিখর গত ৭-৮ বছর ধরে ভারতীয় ‘এ’ দলে লাগাতার খেলে গিয়েছেন। এখন সুযোগ পেয়েছেন, পারফর্ম করছেন। সুতরাং এখনই হতাশ হওয়ার কিছু নেই। শিখর পারলে আমিও পারব।” পাশে বসে ছোটবেলার কোচ জয়ন্ত ভৌমিক তখন ছাত্রের উত্তরে সন্তুষ্ট। কারণ তিনি জানেন পাপালি থেকে ঋদ্ধি হয়ে ওঠার লড়াইয়ে সে একটুও জমি ছাড়েনি কখনও। প্রশ্নের উত্তর শেষ হতে না হতেই প্রায় শ দুয়েক খুদে ক্রিকেটার ঝাঁপিয়ে পড়ে সই শিকারের জন্য। হাসিমুখেই সকলেরই আব্দার মেটালেন স্থানীয় তারকা। শুক্রবার ছিল অগ্রগামী সঙ্ঘের পঞ্চাশ বছর পূর্তি উপলক্ষে স্মারক উন্মোচন অনুষ্ঠান। সেখানে উপস্থিত থাকতে শিলিগুড়ি আসেন ঋদ্ধিমান সাহা, দেবব্রত দাস ও কামাল হাসান মণ্ডল। অশোক দিন্দার আসার কথা তাকলেও তিনি আসতে পারেননি। |
শিলিগুড়ির অগ্রগামী সঙ্ঘে শুক্রবার ঋদ্ধিমান সাহা ও দেবব্রত দাস।—নিজস্ব চিত্র। |
অবশ্য বাংলার অধিনায়ক হয়েও খেলার প্রতি চিন্তাভাবনা বদলাচ্ছে না তা পরিস্কার করে দিলেন। পাশাপাশি বাংলা দলে লক্ষ্মী-মনোজ না থাকাটা ক্ষতি বলে মনে না করে তাঁর কাছে এটা নতুনদের সামনে প্রমাণ করার লড়াই বলেই মনে করছেন ঋদ্ধি। অধিনায়কত্ব তাঁর কাছে একটা দায়িত্ব মাত্র বলে পরিস্কার করে দিলেন নতুন অধিনায়ক। তবে আগামী মরশুমে ওপেন করবেন কি না তা অবশ্য টিম ম্যানেজমেন্টের ওপরেও ছেনে দিলেন সবসময়ের টিমম্যান। যে মাঠে তাঁর ক্রিকেটের হাতেখড়ি সেই শিলিগুড়ির কাঞ্চনজঙ্গা ক্রীড়াঙ্গণ থেকে ক্রিকেট পুরোপুরি মুছে দেওয়া হচ্ছে খবর রয়েছে তাঁর কাছে। তবে তিনি বিষয়টিকে স্পোর্টিংলি নিচ্ছেন। তিনি বলেন, “এটা ফুটবলেরই মাঠ। ক্রিকেট খেলা হত। এ বার থেকে অন্য মাঠে ক্রিকেট হবে। অসুবিধা নেই।” |