টুকরো খবর
নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি নিয়ন্ত্রণ চায় সুপ্রিম কোর্ট
নির্বাচনের আগে বিনামূল্যে সামগ্রী বিলির প্রতিশ্রুতি রুখতে বিধি তৈরির নির্দেশ দিল সুপ্রিম কোর্ট। কোর্টের মতে, নির্বাচনী ইস্তাহারকেও আদর্শ আচরণবিধির আওতায় আনা প্রয়োজন। বিনামূল্যে ল্যাপটপ, সাইকেল থেকে শুরু করে শস্য বিলির নজির সাম্প্রতিক নির্বাচনী ইতিহাসে প্রচুর। তামিলনাড়ুতে প্রতিশ্রুতি রক্ষা করতে চাল বিতরণের ব্যবস্থাও করেছেন মুখ্যমন্ত্রী জয়ললিতা। সেই পদক্ষেপের বিরুদ্ধেই সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হন আইনজীবী এস সুব্রহ্মণ্যম। তাঁর মতে, এই ধরনের প্রতিশ্রুতি দুর্নীতির সামিল। এখন এই প্রতিশ্রুতিকে দুর্নীতি বলার মতো কোনও আইন না থাকায় সুব্রহ্মণ্যমের আর্জি খারিজ করে দিয়েছে কোর্ট। কিন্তু, তাঁর মূল যুক্তি মেনে নিয়েছে বিচারপতি পি সদাশিবম ও বিচারপতি রঞ্জন গগৈয়ের বেঞ্চ। বেঞ্চের মতে, এই ধরনের প্রতিশ্রুতি কোনও দলকে নির্বাচনী লড়াইয়ে অন্যায্য ভাবে এগিয়ে রাখে। বিচারপতিরা জানিয়েছেন, ২০০৬-এ তামিলনাড়ুতে এই ধরনের প্রতিশ্রুতি দেওয়ার প্রতিযোগিতা হয়েছিল। তার সমালোচনাও করেছিলেন তৎকালীন মুখ্য নির্বাচনী কমিশনার বি বি টন্ডন। কিন্তু, পরে আর পদক্ষেপ করা হয়নি। সাধারণত নির্বাচনের দিন ঘোষণার আগেই দলগুলি ইস্তাহার প্রকাশ করে। তাই তা আদর্শ আচরণবিধির আওতায় পড়ে না। সুপ্রিম কোর্টের মতে, এ ক্ষেত্রে ব্যতিক্রমী পদক্ষেপ করতে হবে নির্বাচন কমিশনকে। দিন ঘোষণার আগে হলেও বিনামূল্যে সামগ্রী বিতরণের মতো বিষয়গুলি নিয়ন্ত্রণের জন্য ইস্তাহার নিয়ে বিধি তৈরি করতে হবে কমিশনকে।

মাফ ৩ নেতা, নীতীশ মরিয়া ঘর গোছাতে
মুসলিম ভোটব্যাঙ্ক ধরে রাখতে বিজেপি-র সঙ্গ ছেড়েছেন নীতীশ কুমার। নিঃসন্দেহে হিন্দু ভোটের একটা অংশ তাতে বিমুখ হবে জেডিইউ-এর প্রতি। তাই বিক্ষুব্ধদের সসম্মানে ফিরিয়ে এনে ঘর গোছাতে চাইছে নীতীশের দল। চাইছে বিভিন্ন হিন্দু সম্প্রদায়ের মধ্যে যতটা সম্ভব প্রভাব বজায়ে রাখতে। দলবিরোধী কাজের জন্য দলের তিন সাংসদের বিরুদ্ধে আনা অধিকার ভঙ্গের অভিযোগ তারা প্রত্যাহার করে নিয়েছিল গত মাসেই। লোকসভার স্পিকার কাল তা অনুমোদন করেছেন। এই তিন সাংসদ হলেন রাজীবরঞ্জন ওরফে লল্লন সিংহ, সুশীল সিংহ ও মাঙ্গিলাল মণ্ডল। প্রথম জন রাজপুত ও দ্বিতীয় জন ভূমিহার সমাজের নেতা। উত্তর বিহারে ওবিসি-দের মধ্যে যথেষ্ট প্রভাব রয়েছে তৃতীয় জনের। স্পিকার মীরা কুমার অল্প ক’দিনের মধ্যেই অভিযোগ তুলে নেওয়ার আর্জিতে অনুমোদন দেওয়ায় একে নীতীশের প্রতি কংগ্রেসের বার্তা বলেই মনে করছেন রাজনীতির অনেকে। তবে তার চেয়েও বড় হয়ে উঠেছে বিজেপি মোকাবিলায় মরিয়া জেডিইউ-এর একজোট হওয়ার চেষ্টা। ক’দিন আগেও ওই তিন নেতাকে কোণঠাসা করতে মরিয়া হয়ে উঠেছিলেন জেডিইউ নেতৃত্ব। কিন্তু বিজেপি-র সঙ্গে জোট ভাঙার পরে নীতীশ বুঝতে পারছেন, এমনিতেই উচ্চবর্ণের ভোটের জন্য বিজেপি সর্বশক্তিতে ঝাঁপাবে। এর মধ্যে লল্লন-সুশীলদের মতো নেতাদের শাস্তি দিলে উচ্চ বর্ণের কাছে আরও নেতিবাচক বার্তা পৌঁছবে। এই কারণেই জেডিইউ নেতৃত্ব এখন বলছেন, সাময়িক ভুল বোঝাবুঝি হয়েছিল। এখন তা মিটে গিয়েছে।

লোকসভা ভোটে পাঁচ রাজ্যে শিবু-কংগ্রেস জোট
ঝাড়খণ্ডে শিবু সোরেনের ছেলে হেমন্তের নেতৃত্বেই জেএমএম-কংগ্রেস জোট সরকার গঠন হতে চলেছে। পাশাপাশি লোকসভা নির্বাচনেও ঝাড়খণ্ড, পশ্চিমবঙ্গ, বিহার, ওড়িশা ও ছত্তীসগঢ়ে জেএমএম-এর সঙ্গে জোট বেঁধে লড়বে কংগ্রেস। ঝাড়খণ্ডের বাইরে এই জোটের তেমন সুফল পাবে না কংগ্রেস। কিন্তু ঝাড়খণ্ডের ভারপ্রাপ্ত কংগ্রেস নেতা বি কে হরিপ্রসাদ বলেন, “যখন এনডিএ-র শরিকরা বিজেপিকে ছেড়ে যাচ্ছে, তখন ইউপিএ-তে নতুন দল আসছে।” ঝাড়খণ্ডে কংগ্রেসের প্রথম থেকেই লক্ষ্য ছিল, হেমন্ত সোরেনকে মুখ্যমন্ত্রীর গদি ছেড়ে দিলেও আসলে নিজের রাজনৈতিক ভিত শক্ত করা। সেই কারণেই প্রথম থেকেই জোটের অভিন্ন ন্যূনতম কর্মসূচিতে গুরুত্ব জোর দিয়েছিল কংগ্রেস। কংগ্রেসই যে এই আদিবাসী অধ্যুষিত রাজ্যে উন্নয়ন ও সুশাসন আনতে সক্ষম, সেটা তুলে ধরাই তাদের মূল উদ্দেশ্য। আজ তাই আনুষ্ঠানিক জোট ঘোষণার পরে কংগ্রেসের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, সরকার চালানোর ক্ষেত্রে একটি অভিন্ন কর্মসূচি তৈরি করে দু’সপ্তাহের মধ্যে তা প্রকাশ করে দেওয়া হবে। শিবু-পুত্রকে মুখ্যমন্ত্রীর গদি ছেড়ে দিলেও লোকসভা ভোটের জন্য সিংহভাগ আসন কিন্তু নিজের দখলেই রাখছে কংগ্রেস। ১৪টি আসনের মধ্যে ১০টিতে লড়বে কংগ্রেস। বাকি চারটিতে জেএমএম। এই দশটির মধ্যে প্রয়োজন হলে একটি আসন লালুপ্রসাদের আরজেডি-কে ছাড়া হতে পারে।

পুরনো খবর:

নাতনিকে ধর্ষণ, গ্রেফতার দাদু
নাবালিকা নাতনিকে ধর্ষণের অভিযোগে গ্রেফতার হলেন দাদু। পুলিশের কাছে ধর্ষিতার বাবা-মা জানিয়েছেন, আর্থিক সঙ্গতির অভাবে বছর চারেক আগে মেয়েকে জয়পুরে দাদুর বাড়ি পাঠিয়েছিলেন তাঁরা। গত চার বছরে একাধিক বার বছর ষোলোর ওই মেয়েটি দাদুর হাতে যৌন হেনস্থার শিকার হয়। ঘটনার কথা মা-বাবাকে জানালেও কেউই তার কথায় কণর্পাত করেননি। দীর্ঘদিনের নির্যাতন সহ্য করতে না পেরে শেষমেশ মাস দু’য়েক আগে পাড়ারই এক ছেলের সঙ্গে পালিয়ে যায় সে। এর পরই স্থানীয় থানায় নাতনির নিরুদ্দেশ হওয়ার অভিযোগ জানান মেয়েটির দাদু, অভিযুক্ত তিলা রাম। দু’দিন আগে জয়পুরের দৌসা গ্রাম থেকে মেয়েটিকে উদ্ধার করে স্থানীয় পুলিশ। তার বয়ানের ভিত্তিতে শুক্রবার তিলা রামকে গ্রেফতার করা হয়। স্থানীয় এক আদালতে তিলা রামকে তোলা হলে বিচারক তাঁকে বিচারবিভাগীয় হেফাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

বিদ্যুৎ চুরির দায়ে ভিজিল্যান্সের ডেপুটি সুপার
ঘুষখোরদের ধরার দায়িত্ব ছিল যাঁর উপরে, তিনিই এখন বিদ্যুৎ চুরির দায়ে অভিযুক্ত। এর জন্য ভিজিল্যান্স দফতরের ডিএসপি শশীশঙ্করকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা দিতে হয়েছে বিদ্যুৎ দফতরকে। বিদ্যুৎ দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই ডিএসপি তিন মাস আগে বেলি রোডের কাছে সরকারি আবাসনে এসে ওঠেন। মিটার খারাপ থাকায় বিদ্যুৎ দফতর বিদ্যুৎ খরচ বাবদ ইউনিট নির্দিষ্ট করে দিয়েছিল। কিন্তু ওই ডিএসপি তার থেকে অতিরিক্ত বিদ্যুৎ খরচ করছিলেন। তা জানতে পেরে স্পেশাল টাক্স ফোর্সের পুলিশ তাঁকে ধরে। এরপর বিদ্যুৎ দফতর তাঁকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। বিদ্যুৎ দফতরের মুখপাত্র এইচ আর পাণ্ডে বলেন, “আমরা ঘটনার কথা জানতে পেরে পুলিশকে জানাই।”

আন্দোলনের জেরে ইস্তফা দিলেন অসম মধ্যশিক্ষা পর্ষদের সচিব
আসুর ডাকা আন্দোলনের জেরে রাজ্য মধ্যশিক্ষা পর্ষদের (সেবা) সচিব দয়ারাম রাজবংশী পদত্যাগ করলেন। এ বছর মাধ্যমিকের ফল প্রকাশ হলে দেখা যায়, বহু ছাত্রছাত্রীকে ‘অসমীয়া’ বিষয়ে অনুপস্থিত দেখানো হয়েছে। তারপর থেকেই আসু সেবার অধ্যক্ষ ও সচিবের ইস্তফার দাবিতে আন্দোলনে নেমেছে। আজ, সেবার সচিব ও অধ্যক্ষের পদত্যাগের দাবিতে তারা সেবা ভবনের সামনে ধর্নায় বসে। এই পরিস্থিতিতে সচিব ঘটনার নৈতিক দায় নিয়ে পদত্যাগ করেন। রাজবংশী বলেন, “আমি ডিসেম্বর মাসে যোগ দিয়েছিলাম। তারপর থেকে ছাত্রছাত্রীদের স্বার্থে পরীক্ষার ফল ঠিক সময় বের করার জন্য যা করার করেছি। এটা সত্যি যে, ১৭৭৫ জন ছাত্রছাত্রীকে অসমীয়াতে অনুপস্থিত দেখান হয়েছিল। এটা সেবার ভুল। আমি ভুল স্বীকার করেছি। তিন দিনের মধ্যে সেই ফলাফল ঠিকও করেছি। উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে আমায় নিশানা করা হয়েছে।” তিনি বলেন, “এই ভুল মোট ফলাফলের .২৫ শতাংশ। তবু আমি ঘটনার নৈতিক দায় মেনে পদত্যাগ করলাম।” আসু অবশ্য অধ্যক্ষ শান্তিকাম হাজরিকারও পদত্যাগ দাবি করে বিক্ষোভ চালিয়ে যাচ্ছে। তবে শিক্ষামন্ত্রী হিমন্তবিশ্ব শর্মা বলেন, “দোষী প্রমাণিত হলে তবেই সচিব ও অধ্যক্ষকে অপসারণ করা হবে। সরকারি আশ্বাস সত্ত্বেও আসু যে ভাবে বিক্ষোভ চালাচ্ছে তা দুর্ভাগ্যজনক।”

গ্রেফতার দুই জঙ্গি
পুলিশের হাতে ধরা পড়ল আলফা ও এনএসএলএ-র দুই কট্টর জঙ্গি। পুলিশ জানায়, গত কাল রাতে গোলাঘাটের বরজান থেকে ধরা পড়ে আলফার সার্জেন্ট-মেজর অর্পণজ্যোতি অসম। তার কাছ থেকে একটি পিস্তল, ৭টি গুলি ও কিছু ডিটোনেটর উদ্ধার করা হয়েছে। অন্য দিকে, কোকরাঝাড়ের শ্রীরামপুর থেকে গ্রেফতার হয় ন্যাশনাল সাঁওতালি লিবারেশন আর্মির সদস্য পালা বাস্কে ওরফে সুধা। তার কাছে একটি পিস্তল, ২০টি গুলি পাওয়া গিয়েছে। এরই পাশাপাশি নলবাড়ি জেলার আরিকুচি গ্রামের কাছে অয়েল ইন্ডিয়ার পাইপলাইনের কাছেই, আজ সকালে দু’টি আইইডি উদ্ধার করা হয়।

দিদির বাড়ি এসে খুন হল বোন
নৃশংসভাবে এক নাগা মহিলাকে হত্যা করা হল। ঘটনাটি ঘটেছে ডিমাপুরের রেসিডেন্সি কলোনিতে। পুলিশ জানায় মককচং-এর বাসিন্দা নুংসিলিয়া জামির তাঁর দিদি-জামাইবাবুর বাড়িতে বেড়াতে এসেছিলেন। গত কাল দিদির বাড়ির পিছনের ঘর থেকে পুলিশ নুংসিলিয়ার রক্তাক্ত দেহ উদ্ধার করে। তার গলা ও মাথার পিছনে ধারাল অস্ত্রের কোপ ছিল। মাথায় ইট দিয়ে মারা হয়। গোপনাঙ্গে ঢোকানো ছিল বড় কাঠের টুকরো। বাড়ির শোয়ার ঘর, আলমারি লন্ডভন্ড হলেও কিছু খোয়া না যাওয়ায় পুলিশের ধারণা, ঘটনাটিকে ডাকাতি হিসেবে দেখাবার জন্যই এসব করা হয়েছে। ঘটনাস্থল থেকে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত ছুরি ও ইটটি উদ্ধার করা হয়। দিদি-জামাইবাবুকে আটক করেছে পুলিশ। গ্রেফতার করা হয়েছে আরও তিন সন্দেহভাজনকে।

পুলিশ-জঙ্গি সংঘষর্ষ
টিএসআর জওয়ান এবং জঙ্গিদের মধ্যে ফের গুলির লড়াই হল ধলাইয়ের গঙ্গানগর এলাকায়। অন্ধাকুজন, আশাছড়া, হাতিমহাদক অঞ্চলে গত কাল জঙ্গি অভিযানে বেরিয়েছিল টিএসআর জওয়ানরা। সীমান্তবর্তী এলাকা হাতিমহাদকে টিএসআর বাহিনী পৌঁছতেই গভীর জঙ্গল থেকে জঙ্গিরা গুলি চালাতে শুরু করে। জওয়ানরাও পাল্টা গুলি চালায়। প্রায় ১০-১৫ মিনিট গুলির লড়াই হয়। পরে জঙ্গিরা গভীর জঙ্গলে গা ঢাকা দেয়। পুলিশ দু’টি দেশি বন্দুক, একটি পাইপগান উদ্ধার করেছে।

নতুন ডিজি
মেঘালয়ের নতুন ডিজি হচ্ছেন পিটার জেম্স পাইরংপে হানাম্যান। ১৯৭৯ সালের আইপিএস জেম্স কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকে অতিরিক্ত সচিব-সহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদ সামলেছেন। অসমের বিভিন্ন জেলায় এসপির ভার সামলানো জেম্স দু’দফায় বিদেশে কর্মরত ছিলেন। পুলিশ মেডেল ও রাষ্ট্রপতি পদকও পেয়েছেন তিনি।

দিল্লি গণধর্ষণে প্রথম রায় ১১ই
শেষ হল অনুসন্ধান পর্ব। আগামী ১১ জুলাই দিল্লি গণধর্ষণ কাণ্ডে অন্যতম অভিযুক্ত নাবালক ছেলেটির বিরুদ্ধে সাজা ঘোষণা করবে জুভেনাইল জাস্টিস বোর্ড। প্রাথমিক তদন্তে ধরা পড়েছিল, গত বছর ১৬ ডিসেম্বর প্যারামেডিক্যাল ছাত্রীর ধর্ষণের ঘটনায় অভিযুক্তদের মধ্যে সব চেয়ে নৃশংস ছিল ওই কিশোরই। কিন্তু একই সঙ্গে তার স্কুলের শংসাপত্র থেকে জানা যায়, বয়স এখনও আঠারো ছোঁয়নি। ১৭ বছর ৬ মাস। দিল্লি পুলিশ বয়স নিয়ে নিশ্চিত হওয়ার জন্য শারীরিক পরীক্ষা করতে চেয়েছিল। কিন্তু দিল্লি পুলিশের সেই আবেদন খারিজ হয়ে যায়। তাই দিল্লি গণধর্ষণ কাণ্ডে বাকি অভিযুক্তদের ফাস্ট ট্র্যাক কোর্টে বিচার চললেও ওই কিশোরটির বিচারের দায়িত্ব বর্তায় জুভেনাইল জাস্টিস বোর্ডের উপর। ঘটনার দিন বাসে রামাধার নামে এক ছুতোরের টাকাপয়সা সর্বস্ব কেড়ে নিয়ে বাস থেকে ধাক্কা মেরে ফেলে দিয়েছিল ওই ছেলেটি। সেই তদন্তও শেষ হয়েছে।

পুরনো খবর:

যৌন নিগ্রহের অভিযোগ, মধ্যপ্রদেশে ইস্তফা মন্ত্রীর
ভোটের বছরেই অস্বস্তিতে পড়ল মধ্যপ্রদেশের বিজেপি সরকার। বাড়ির কাজের ছেলেকে যৌন হেনস্থা করার অভিযোগে পদত্যাগ করতে হল রাজ্যের অর্থমন্ত্রী রাঘবজিকে। গত ৩-৪ বছর ধরে ৭৯ বছর বয়সী প্রবীণ মন্ত্রীর বাড়িতে কাজ করতেন রাজকুমার দাঙ্গি। বৃহস্পতিবার রাতে হাবিবগঞ্জ থানায় রাঘবজির বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ জানান তিনি। জানান, প্রমাণ হিসেবে এক মহিলার সঙ্গে আপত্তিজনক অবস্থায় তোলা মন্ত্রীর একটি ভিডিও সিডি আছে তাঁর কাছে। শুক্রবার সকালে মুখ্যমন্ত্রী শিবরাজ সিংহ চৌহান ফোন করেন রাঘবজিকে। পদত্যাগের নির্দেশ দেন। তার পরেই ইস্তফা দেন তিনি। এ প্রসঙ্গে রাঘবজি বললেন, “মুখ্যমন্ত্রীর উপদেশেই পদত্যাগ করেছি। উনি রায়পুর থেকে ফিরলে এ বিষয়ে কথা হবে।” এ-ও বলেন, তাঁর সম্মানহানি করতেই মিথ্যে অভিযোগ করা হয়েছে।

শিশু ধর্ষণে ধৃত কলেজ পড়ুয়া
চার বছরের একটি শিশুকন্যাকে ধর্ষণের অভিযোগ পুলিশ এক কলেজ পড়ুয়াকে গ্রেফতার করেছে। অভিযুক্তের নাম প্রণব দে। আগরতলার রামঠাকুর কলেজের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র সে। ঘটনাটি ঘটেছে আমতলি থানার পাণ্ডবপুর এলাকায়। পুলিশ জানায়, বাচ্চা মেয়েটির বাবার অভিযোগের ভিত্তিতে অভিযুক্তকে বুধবার রাতে গ্রেফতার করা হয়েছে। অভিযুক্ত যুবক শিশুটির প্রতিবেশী। শিশুটিকে একা পেয়ে সে ভুলিয়ে-ভালিয়ে নিজের ঘরে নিয়ে গিয়ে তাকে ধর্ষণ করে।

বাসভবন নিয়ে কোর্টের নির্দেশ
অবসর বা ইস্তফার এক মাসের মধ্যে সরকারি বাসভবন ছাড়তে মন্ত্রী, সাংসদ ও বিচারপতিদের নির্দেশ দিল সুপ্রিম কোর্ট। অবসরের পরেও সরকারি বাসভবন দখল করে রাখার প্রবণতা নিয়ে উদ্বেগও প্রকাশ করেছে বিচারপতি পি সদাশিবম ও বিচারপতি রঞ্জন গগৈয়ের বেঞ্চ। বিচারপতিরা জানিয়েছেন, সময় মতো বাসভবন না ছাড়লে প্রয়োজনে বল প্রয়োগও করা যেতে পারে।


First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.