|
|
|
|
পটনা থেকে লড়ার ডাক দলের |
বিহারে আজ মোদীর টেলি-প্রচার
নিজস্ব সংবাদদাতা • পটনা |
নরেন্দ্র মোদী লোকসভা ভোটে প্রার্থী হোন পটনা থেকেই, বিহার বিজেপি-র রাজ্য নেতারা দাবি তুললেন সমস্বরে। কাল থেকেই ভোটের প্রচার শুরু করে দিচ্ছেন মোদী। তাঁর প্রথম নিশানাই বিহার। গত ক’বছর নিজেদের দল ক্ষমতায় থাকা সত্ত্বেও নীতীশ কুমারের চাপে যে রাজ্যে তিনি পা-ই রাখতে পারেননি।
নীতীশ এখন জোটে না থাকলেও এখনই বিহারে আসছেন না মোদী। তবে সুকৌশলে নীতীশের প্রতি চ্যালেঞ্জ ছুড়তেই তাঁর রাজ্য থেকে প্রচার শুরু করছেন মোদী। কাল তিনি গুজরাত থেকে টেলিকনফারেন্সিং-এর মাধ্যমে বিহার বিজেপি-র হাজার দেড়েক নেতা-কর্মীর সঙ্গে কথা বলবেন। এর ঠিক আগেই বিহারের বিজেপি নেতারা দাবি তুলতে শুরু করেছেন, পটনায় প্রার্থী চাই মোদীকে। বিহার বিজেপি নেতা সি পি ঠাকুর বলেন, “মোদী রাজি থাকলে পটনার আসনটি ছেড়ে দিতে রাজি দল। মোদী উন্নয়নের প্রতীক। তিনি দাঁড়ালে রাজ্যে দলের মধ্যেও উন্মাদনা বাড়বে।”
বিহারে জেডিইউ-এ যতই কোন্দল থাক, বিজেপি-তেও তা কম নেই। সুশীল মোদীর মতো নেতাও এখন পটনা থেকে প্রার্থী হতে চান। এ ছাড়া শত্রুঘ্ন সিন্হা, রবিশঙ্কর প্রসাদরাও প্রার্থী হওয়ার জন্য মুখিয়ে রয়েছেন। যদিও মোদীর নামে আপত্তি করছেন না কেউই। শুধু বিহার নয়, মোদীকে প্রার্থী করার দাবি উঠছে উত্তরপ্রদেশের বিভিন্ন কেন্দ্র থেকেও। মোদী-ঘনিষ্ঠ ও উত্তরপ্রদেশের দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতা অমিত শাহ লখনউ কেন্দ্রটি উপযুক্ত কি না, তা খতিয়ে দেখছেন। এ ছাড়া উত্তরপ্রদেশের বারাণসী কেন্দ্র থেকেও মোদীকে প্রার্থী করার কথা ভাবা হচ্ছে। সে ক্ষেত্রে মুরলীমনোহর জোশী কোথায় দাঁড়াবেন, তা অনিশ্চিত হয়ে পড়বে।
মোদী ২০১০-এর বিধানসভা ভোটে বিহারে আসতে পারেননি। এখন রাজ্যের ক্ষমতা থেকে দল সরে যাওয়ার পরেও বিহারকেই প্রথম নিশানা করাটা অপ্রত্যাশিত কিছু নয়। তবে নিজে আসছেন না কেন? বিজেপি-র রাজ্য সভাপতি মঙ্গল পাণ্ডের জবাব, “প্রযুক্তির মাধ্যমে তিনি না এসেও এই কাজ করতে পারবেন। এ ছাড়া আগামী ২৭ অক্টোবরই তিনি বিহারে আসবেন হুঙ্কার সমাবেশে যোগ দিতে।” বিজেপি নেতা ও রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী গিরিরাজ সিংহ বলেন, “মোদীজির কথা সরাসরি টেলিফোনের মাধ্যমে নেতা ও কর্মীদের কাছে পৌঁছলে তাঁরা উৎসাহিত হবেন। নেতা-কর্মীদের কোনও প্রশ্ন থাকলে তিনি তার জবাব দিতে পারবেন। দলের প্রচারের এটা প্রথম পদক্ষেপ হিসেবে মনে করা যেতে পারে।”
এত জনের সঙ্গে কী ভাবে কথা বলবেন মোদী? রাজ্য সভাপতির জবাব, “৫০০ জন করে ৩টি গ্রুপের সঙ্গে সন্ধ্যা ৬ থেকে ঘণ্টাখানেক কথা বলবেন মোদী।” কী ভাবে তা হবে? মঙ্গল পাণ্ডের কথায়, “গুজরাত থেকে যখন ফোন আসবে তখন, ৫০০ লোকের মোবাইল ফোন এক সঙ্গে বেজে উঠবে।” প্রথম দফায় মোদী কথা বলবেন রাজ্য ও জেলা নেতাদের সঙ্গে। এর পরে ব্লক স্তরের নেতাদের সঙ্গে। শেষে তিনি পঞ্চায়েত এবং গ্রামের কিছু বিশিষ্ট ব্যক্তির সঙ্গে কথা বলবেন। প্রতি গ্রুপে ৫ জন মোদীর সঙ্গে কথা বলতে পারবেন। বাকি ৪৯৫ জন শুধু শুনতে পারবেন। ওই ৫ জন প্রচার কমিটির প্রধানের সঙ্গে আলোচনা করতে পারবেন পরে।
বিহারে ক্ষমতার বাইরে এসে বিজেপি এখন সংগঠন গোছাতে মরিয়া। ক’দিন আগে রাজনাথ সিংহ পটনায় এসেছিলেন। তখন তাঁর হাতে ৫৬ হাজার বুথ কমিটির হিসেব সম্বলিত সিডি দেওয়া হয়েছিল। টেলিযোগে মোদীর এই প্রচারও তারই অঙ্গ বলে মনে করা হচ্ছে। |
|
|
|
|
|