তৃণমূলের পতাকা ফেস্টুন ছেঁড়ার অভিযোগ উঠল সিপিএমের বিরুদ্ধে। শুক্রবার দুর্গাপুরের জেমুয়া গ্রামের এই ঘটনায় তৃণমূলের কর্ম-সমর্থকেরা ক্ষোভে ফেটে পড়েন। নিউ টাউনশিপ থানায় অভিযোগ দায়ের করেন তাঁরা। সিপিএম অভিযোগ অস্বীকার করেছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, পঞ্চায়েত ভোট উপলক্ষে জেমুয়া গ্রামে বেশ কিছু তৃণমূলের পতাকা, ফেস্টুন লাগানো হয়েছিল। শুক্রবার সকালে দেখা যায়, সেগুলি ফালা ফালা করে ছেঁড়া হয়েছে। খবর ছড়িয়ে পড়তেই ভিড় জমান তৃণমূলের কর্মী ও সমর্থকেরা। তৃণমূলের দুর্গাপুর ৩ নম্বর ব্লক সভাপতি সুনীল চট্টোপাধ্যায় ও দুর্গাপুর-ফরিদপুর ব্লকের সভাপতি সুজিত মুখোপাধ্যায় ঘটনাস্থলে যান। সুনীলবাবু বলেন, “হতাশ হয়ে সিপিএম আমাদের পতাকা-ফেস্টুন ছিঁড়ে দিয়েছে। সিপিএমের বিধাননগর- জেমুয়া লোকাল কমিটির সম্পাদক পঙ্কজ রায় সরকারের নেতৃত্বে দুষ্কৃতীরা এই ঘটনা ঘটিয়েছে।” অভিযোগ অস্বীকার করেছেন পঙ্কজবাবু। |
ফালা ফালা করে ছেঁড়া তৃণমূলের ফ্লেক্স ও পতাকা। শুক্রবার সকালে জেমুয়া গ্রামে তোলা নিজস্ব চিত্র। |
সুনীলবাবু জানিয়েছেন, ঘটনার প্রতিবাদে তাঁরা নিউ টাউনশিপ থানায় গিয়ে দোষীদের গ্রেফতারের দাবিতে বিক্ষোভ দেখান। পরে তাঁরা লিখিত অভিযোগ করেন। তিনি বলেন, “সন্ত্রাসের পরম্পরা এখনও ভুলতে পারছে না সিপিএম। তাই এমন ঘটনা ঘটিয়েছে। আমরা পুলিশের কাছে দোষীদের গ্রেফতারের দাবি জানিয়েছি।” দোষীদের বিরুদ্ধে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়ার দাবিতে জেমুয়া গ্রামে মিছিল করে তৃণমূল। তৃণমূলের বক্তব্য, বরাবর এই এলাকায় সন্ত্রাস সৃষ্টি করে সিপিএম বিরোধীদের দাবিয়ে রেখেছে। এবার পরিস্থিতি বদলে গিয়েছে। ওরা সব আসনে প্রার্থীই দিতে পারেনি। তাই হতাশ হয়ে এই ঘটনা ঘটিয়েছে ওরা।
সিপিএমের বিধাননগর-জেমুয়া লোকাল কমিটির সম্পাদক পঙ্কজবাবুর পাল্টা অভিযোগ, “এই পঞ্চায়েতের ৪টি আসনে তৃণমূল সন্ত্রাস করে আমাদের প্রার্থী দিতে দেয়নি। তার পরেও যাঁরা দাঁড়িয়েছেন, তাঁদের এবং প্রস্তাবকদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে হুমকি দেওয়া হচ্ছে। সেখানে এমন অভিযোগ ভিত্তিহীন।” তাঁর দাবি, তৃণমূলের সন্ত্রাস এড়াতে সিপিএমকে পোস্টকার্ডের মাধ্যমে প্রচার করতে হচ্ছে ওই এলাকায়।
সিপিএমের আরও দাবি, পঞ্চায়েত নির্বাচনের বিভিন্ন পর্বে তৃণমূলের বিরুদ্ধে ওঠা কোনও অভিযোগেই নিউটাউনশিপ থানার পুলিশ অভিযুক্তের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করেনি। এ কথা জানিয়ে তাঁরা বৃহস্পতিবারই নির্বাচন কমিশনের কাছে ওই থানার বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন। সিপিএমের দাবি, সে দিক থেকে দৃষ্টি ঘোরাতেই তৃণমূল পরিকল্পনা করে এমন ঘটনা ঘটিয়েছে। পঙ্কজবাবু বলেন, ‘‘তবে মানুষ যে অত বোকা নন, তা কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে নির্বাচন হলেই টের পাবে ওরা।” |