পার্ক স্ট্রিট, বরাহনগর, কাটোয়া, দিল্লি, কামদুনি বেশ কিছুদিন ধরেই সংবাদমাধ্যমের শিরোনামে লাগাতার উঠে আসছে ধর্ষণের একের পর এক নৃশংস উদাহরণ। বহু মানুষের মনেই জমা হচ্ছে প্রশ্ন, কেন ঘটে এমন? কলকাতার একটি নাট্যদলের মনেও প্রশ্নটা পাক খাচ্ছিল। তাঁরা খুঁজতে শুরু করেছিলেন, ধর্ষণের কোনও জৈব-রাসায়নিক ভিত্তি আছে কি না।
অন্বেষণটা এমনিতে নতুন নয়। পৃথিবী জুড়েই ধর্ষণ-প্রবৃত্তির উৎস নিয়ে নানা গবেষণা হয়েছে। ‘আ ন্যাচারাল হিস্ট্রি অফ রেপ’ বইতে যেমন র্যান্ডি থর্নহিল এবং ক্রেগ টি পামার ধর্ষণকে ডারউইনীয় তত্ত্বের সঙ্গে মেলাতে চেয়েছিলেন। প্রত্যুত্তরে বিভিন্ন মহল আপত্তি তুলে বলে, ধর্ষণকে বিবর্তনের অঙ্গ বলে মানলে তাকে একটা স্বাভাবিক প্রক্রিয়া বলে মেনে নিতে হয়। সামাজিক পরিবেশের প্রসঙ্গ সেখানে পিছনে চলে যায়। তা ছাড়া অনেকেই তর্ক তোলেন, শিশু ও বৃদ্ধাদের ধর্ষণের পিছনে ধর্ষকের কী জৈব চাহিদা কাজ করছে, তার উত্তর এখানে নেই।
নাট্যকার সংগ্রাম গুহর ভাবনাটা ছিল খানিকটা অন্য রকম। বিজ্ঞানী বন্ধু-র কাছে তিনি এক দিন শুনছিলেন সার্নে ঈশ্বর কণা অন্বেষণের কাহিনি। তিনি সংগ্রামকে বলছিলেন, মূল পরীক্ষার আগে পাঁচ জন নোবেলজয়ী পদার্থবিজ্ঞানী কী বলেছিলেন, সেই বৃত্তান্ত। সেই প্রসঙ্গেই ওঠে বিজ্ঞানী জ্যাক স্টেইনবার্গার-এর বক্তৃতার কথা। সেটা শুনতে শুনতে সংগ্রামের মাথায় খেলে যায় চিন্তা তবে কি ধর্ষণের সময় মানুষের শরীরে সক্রিয় হয়ে ওঠে কোনও অজানা কণা? কোনও অদৃশ্য প্রবাহ? বন্ধুর সাহায্যে স্টেইনবার্গারের ই-মেল জোগাড় করে সংগ্রাম ওঁকে চিঠি লেখেন।
এরই মধ্যে সংগ্রামের নজরে আসে প্যারিস থেকে প্রকাশিত একটি বই। নাৎসি হলোকস্টের ৭০ বছরের স্মৃতি, লিখেছেন লেনা ব্রেন নামক এক মহিলা। যিনি নিজে আউশউইৎইজ কনসেনট্রেশন ক্যাম্পে বন্দি ছিলেন। লেনা লিখেছেন কনসেনট্রেশন ক্যাম্পে ধর্ষণের বর্ণনা। সেখানে তিনি স্টেসি স্টেইনবার্গার বলে এক জন তরুণীর কথাও উল্লেখ করেন, যাঁকে ৯১ দিন ধরে ধর্ষণ করা হয়। স্টেসির শরীরে ইনফেকশন ছড়িয়ে গিয়েছিল। ১৯৪২ সালের ১১ মার্চ তিনি মারা যান।
স্টেইনবার্গার পদবীটা সংগ্রামের চোখ টানে। অন্ধকারে ঢিল ছোড়ার মতো করেই তিনি অধ্যাপকের কাছে জানতে চান, স্টেসিকে কি চিনতেন তিনি কোনও ভাবে? তিন মিনিটের মধ্যে উত্তর এল। জ্যাক স্টেইনবার্গার জানালেন, স্টেসি ওঁর একমাত্র বোন। সংগ্রাম যে অজানা-অদৃশ্য কণা বা প্রবাহের কথা ভাবছেন, সেটা নিয়েও মত পাওয়া গেল তাঁর। সংক্ষিপ্ত উত্তর, “ইট ক্যান বি! ইট মে বি পসিবল! লেটস ট্রাই, ট্রাই টু বিগিন!”
এই চিঠিচাপাটি ও স্টেইনবার্গারের জীবনকাহিনি মিলেমিশেই তৈরি নাটক, ‘রেপ পার্টিকল’। কলকাতায় তার অভিনয় চলছে।
|
তৃতীয় সন্তান হয়েছে: শাহরুখ |
প্রকাশ্যে তৃতীয় সন্তানের জন্মের কথা স্বীকার করলেন শাহরুখ খান। বৃহস্পতিবার চেন্নাই এক্সপ্রেসের প্রচারে এসে শাহরুখ বলেন, “আশপাশে যা চলছে তাতে এই আনন্দের সঙ্গে মিশে গিয়েছে খারাপ লাগাটাও। যাঁরা কাজকর্ম ফেলে আমার সন্তানের খবর জোগাড়ের চেষ্টা চালাচ্ছেন, তাঁরা অন্য কাজে মন দিলে ক্ষতি নেই। এ সব বন্ধ হলে নিশ্চয় আরও অনেক কথা জানাব সবাইকে।” তবে তাঁর তৃতীয় সন্তান ছেলে না মেয়ে, তা নিয়ে মুখ খোলেননি তিনি। কথা বলতে চাননি গর্ভদাত্রী মা-কে নিয়েও।
|