মৌখিক নির্দেশ পালন করে সঠিকভাবে মনিবের আজ্ঞা পালন করছে রোবট। নির্দেশ মেনে আধুনিক সমাজে রোবটকে কাজে লাগিয়ে বহু জটিল কাজ সমাধান হয়ে যাচ্ছে মুহূর্তের মধ্যেই। এই ছবি আর অচেনা নয় আমজনতার কাছে। তবে যা এখনও তেমন পরিচিত নয় তা হল কী ভাবে রোবট তৈরি করা যায়। রোবটিক্স বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক বিশ্বজয় চট্টোপাধ্যায়ের মতে “কাজটা খুব একটা কঠিন নয়। শুধু চাই আগ্রহ আর উৎসাহ। তার সঙ্গে রোবটিক্স নিয়ে অহেতুক ভীতি কাটানো।’’ সেই উদ্দেশ্যে বৃহষ্পতিবার শিলিগুড়ির দীনবন্ধু মঞ্চে ছাত্রদের মধ্যে রোবট তৈরির আগ্রহ বাড়াতে একটি কর্মশালার আয়োজন করে জয়পুরের ইউনিভার্সিটি অব ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড ম্যানেজমেন্ট। বিশ্বজয়বাবু বলেন, “রোবটিক্স নিয়ে পড়তে প্রাথমিকভাবে উচ্চ মাধ্যমিকের বিজ্ঞান বিভাগের ছাত্র ছাত্রীদের বি-টেক নিয়ে পড়তে হবে। তারপরে রোবটিক্সকে একটি বিষয় নিয়ে পড়তে হবে।”
ডনবসকো, নির্মলা কনভেন্ট, তরাই তারাপদ আদর্শ বিদ্যালয়, শিলিগুড়ি বয়েজ হাইস্কুল, গার্লস হাইস্কুল, বরদাকান্ত বিদ্যাপীঠ সহ বিভিন্ন স্কেুলের প্রায় ৪শো ছাত্র ছাত্রীরা রোবট তৈরির মূল বিষয় সম্বন্ধে উৎসাহের সঙ্গে শিক্ষা নেন। দশম শ্রেণি থেকে দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত ছাত্র ছাত্রীদের ডাকা হলেও বাইরের অনেকেও ছিলেন। ডন বসকোর একাদশ শ্রেণির ছাত্রী নিমিতা গোয়েল বলে,“আমি রোবটিক্স নিয়ে উৎসাহী। ভবিষ্যতে এই বিষয় নিয়ে পড়তে চাই।” শিলিগুড়ি বয়েজ হাইস্কুলের ছাত্র বিপ্লব বসু বলে,“আমি রোবট খুবই ভালবাসি। ভবিষ্যতে নিজের হাতে রোবট বানাতে পারলে মন্দ হয় না।” কর্মশালায় আসতে পেরে খুশি এক অভিভাবক অনুপ বর্ধনও। তাঁর মেয়ে রিয়া নির্মলা কনভেন্টে দ্বাদশ শ্রেণিতে বিজ্ঞান নিয়ে পড়ে। তিনি বলেন, “আমার বিষয়টি খুব আকর্ষণীয় লেগেছে। মেয়েকে উৎসাহ দেব।”
|
মাউস-এর আবিষ্কর্তা প্রয়াত |
একটি কাঠের টুকরোতে তিনটি বোতাম ও দু’টি চাকা লাগিয়ে যে ‘ইঁদুর’টা বানিয়েছিলেন, সেটাই গত চার দশক ধরে শাসন করেছে কম্পিউটার দুনিয়া। ‘মাউস’-এর আবিষ্কর্তা সেই ডগলাস এঙ্গেলবার্ট মারা গিয়েছেন মঙ্গলবার সন্ধ্যায়। বয়স হয়েছিল ৮৮। ১৯৭০ সালে ‘মাউস’টি আবিষ্কার করেন তিনি। অ্যাপেল সংস্থার সহ-প্রতিষ্ঠাতা স্টিভ ওজনিয়াক ডগলাস এঙ্গেলবার্ট সম্পর্কে বলেছেন, “আমার কাছে উনি ঈশ্বর। শুধু ‘মাউস’-ই নয়, কম্পিউটারের আরও নানা ক্ষেত্রে তাঁর অসামান্য অবদান রয়েছে।” |