ভূত ভর করেছে এই সন্দেহে বিয়ের সাত মাসের মধ্যে এক বধূকে শ্বাসরোধ করে খুন করে গাছের ডালে ঝুলিয়ে রাখার অভিযোগ উঠল স্বামী, শাশুড়ির বিরুদ্ধে। এ ছাড়া বধূর প্রতিবেশী আর তিন জনের বিরুদ্ধে খুনের ঘটনায় প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। বুধবার ঘটনাটি ঘটেছে কুমারগ্রাম থানার ভল্কা গ্রামে। পুলিশ বাঁশঝাড় থেকে দেহটি উদ্ধার করেছে। পুলিশ জানিয়েছে, মৃতার নাম গোলাপি দাস (২০)। রাতেই মৃতার বাবা প্রিয়নাথ দাস বারবিশা পুলিশ ফাঁড়িতে মেয়ের স্বামী, শাশুড়ি ও প্রতিবেশী তিন জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছেন।
আলিপুরদুয়ারের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আকাশ মেঘারিয়া বলেন, “ওই বধূর মৃত্যুর ঘটনায় পাঁচ জনের নামে অভিযোগ জমা পড়েছে। অভিযোগের ভিত্তিতে বধূর স্বামী সুবল রায়কে গ্রেফতার করা হয়েছে। ঘটনার তদন্ত শুরু করা হয়েছে। বাকি অভিযুক্তদের খোঁজা হচ্ছে।” দিনমজুর প্রিয়নাথবাবুর মেয়ে গোলাপির সঙ্গে প্রতিবেশী যুবক পেশায় ট্রাক চালক সুবলের প্রেমের সম্পর্ক ছিল। সাত মাস আগে বাড়ির অমতে গোলাপীদেবীকে বিয়ে করেন সুবল। মৃতার বাবার অভিযোগ, বিয়ের পর থেকে মেয়ের উপর অত্যাচার শুরু করে ওঁর শ্বশুরবাড়ির লোকজন। দুই মাস আগে মৃতার শরীরে ভুত ঢুকেছে অভিযোগ তুলে তাঁকে বাপের বাড়িতে রেখে যায় জামাই। মঙ্গলবার দুপুরে শ্বশুরবাড়িতে এসে সুবল গোলাপীকে মারধর করে। কিন্তু রাতে ভুল স্বীকার করে স্ত্রীকে ফের বাড়ি নিয়ে যায়। এ দিন মহিলার ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়। প্রিয়নাথবাবুর অভিযোগ, “মেয়েকে খুন করা হয়েছে।” সুবলবাবু বলেন, “চক্রান্ত করে আমায় ফাঁসানো হয়েছে। তদন্ত হলেই সব পরিষ্কার হবে।” |