ফের পুর চেয়ারম্যানের চেয়ারে বসলেন ‘চেয়ারম্যান’ নান্টু পাল। নান্টুবাবুর নিজের দফতরে বসা নিয়ে প্রশ্ন উঠল কংগ্রেস ও বাম উভয় তরফেই। দু’পক্ষের কাউন্সিলররা বিষয়টি নিয়ে পুর কমিশনারের কাছে ব্যাখ্যা চেয়েছেন।, কমিশনার প্রভুদত্ত ডেভিড প্রধান কোনও মন্তব্য করতে চাননি। মেয়র গঙ্গোত্রী দত্ত কলকাতায় গিয়েছেন। বর্তমানে পুরসভার দায়িত্বে রয়েছেন ডেপুটি মেয়র সবিতা অগ্রবাল। তিনি বলেন “নান্টুবাবু কী ভাবে ওই চেয়ারে বসলেন তা উনি ও কমিশনারই বলতে পারবেন।”
বুধবার বেলা আড়াইটে নাগাদ চেয়ারম্যানের ঘরে যান নান্টু পাল। ঘরের বাইরে তাঁর নামের বোর্ড না থাকায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন তিনি। ডেকে পাঠান পুরসভার কর্মীদের। এর পরে ডাকেন পুর কমিশনার ও সচিব কাজলকান্তি সাহাকে। পরে নান্টুবাবু বলেন, “চেয়ারম্যান নিয়ে মামলা বিচারাধীন। পাশাপাশি পুরসভায় স্থগিতাদেশের চিঠি এসেছে। তাই নিয়ম মেনেই আমি চেয়ারে বসেছি। এখন থেকে আমি রোজই আসব।”
এ দিন মেয়র পারিষদ সঞ্জয় পাঠক ফোনে কমিশনারের কাছে বিষয়টি জানতে চান। তিনি বলেন, ‘‘চেয়ারম্যান কে জানতে চেয়ে চিঠি পাঠানো হয়েছে। তার উত্তর আসেনি। কী ভাবে নান্টুবাবু ওই ঘরে বসলেন সেটা কমিশনারের কাছে জানতে চেয়েছি।” পুরসভা সূত্রের খবর, নান্টুবাবুর কাউন্সিলর পদ খারিজের উপরে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ যে স্থগিতাদেশ দিয়েছে সেই ব্যাপারে মামলার শুনানি এ দিন হয়নি। আজ ফের মামলাটি উঠতে পারে।
অন্য দিকে, বিরোধী দলনেতা নুরুল ইসলাম কংগ্রেসের পুরবোর্ডের কড়া সমালোচনা করেছেন। তাঁর অভিযোগ, “কী করে ১১ টি বেআইনি বহুতলের নকশা অনুমোদন হয়ে গেল তা নিয়ে উচ্চ পর্যায়ের তদন্ত দাবি করেছি। লাগাতার আন্দোলন হবে।” ওই ১১টি বেআইনি বহুতলের নকশা পাস করানোয় আর্থিক লেনদেন হয়েছে বলে সন্দেহ করেছেন তৃণমূলের দার্জিলিং জেলার মহাসচিব কৃষ্ণ পাল। তিনি বলেন, “আমরা ওই ১১ টি বেআইনি বহুতলের নকশা পাস করানোর প্রতিবাদে ও তা খারিজ করার দাবিতে আন্দোলনে নামব।” কৃষ্ণবাবুর সন্দেহ, “আর্থিক লেনদেনের কারণে ওই বেআইনি বহুতলের নকশা অনুমোদন করে দেওয়া হয়েছে। যেখানে বোর্ড মিটিং হচ্ছে না, সেখানে মেয়র একতরফা ভাবে ওই ১১টি বহুতলের নকশা পাস করানোয় সন্দেহ জোরদার হয়েছে।”
|