পাওনা না মিটিয়ে সরানো যাবে না যন্ত্রপাতি। এই দাবি তুলে বুধবার সন্ধ্যায় হলদিয়ার ৪১ নম্বর জাতীয় সড়কের জামতলায় এবিজি একাংশ কাজহারা শ্রমিক জমায়েত করে এবিজির গাড়ি আটকানোর চেষ্টা করল। পরে অবশ্য পুলিশের হস্তক্ষেপে পিছু হটেন তাঁরা।
কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে নিযুক্ত স্পেশাল আধিকারিকের উপস্থিতিতে বন্দর থেকে যন্ত্রপাতি ও ডাম্পার সরানোর কাজ শুরু করেছে এবিজি। তারা বন্দর ছাড়ায় কাজ হারান ৬২৩ জন শ্রমিক। বন্দর কর্তৃপক্ষের বিরোধিতা সত্ত্বেও ১৩ ডিসেম্বর হাইকোর্ট এবিজির যন্ত্রপাতি বের করে নিয়ে যাওয়ার পক্ষেই রায় দেয়। ২৯ ডিসেম্বর হাইকোর্টের নিযুক্ত আধিকারিক ও জেলা প্রশাসনের এক ম্যাজিস্ট্রেট এবিজির যন্ত্রপাতি পরিদর্শন করে। তারপর চলতি বছরের ৯ জুন তাঁরা প্রথম যন্ত্রপাতি সরানোর প্রক্রিয়া শুরু করে। বন্দর ও এবিজি সূত্রে খবর, বন্দরের ২ ও ৮ নম্বর বার্থে এবিজির প্রায় ৫০টি ডাম্পার, ২৭টি লোডার ও ৬টি মোবাইল হারবার ক্রেন রয়েছে। ওই দিন তারা একটি ডাম্পার নিয়ে গেলেও এ দিন ফের ৮টি ডাম্পার নিয়ে যেতে আসে এবিজি।
এবিজি বন্দর ছাড়ার সিদ্ধান্তে কাজহারা হওয়া শ্রমিকেরা আট মাস ধরে সুতাহাটার নন্দরামপুরে অবস্থান চালাচ্ছেন। এবিজি চলে যাওয়ার পিছনে তৃণমূলকে দায়ী করে সরব হন তাঁরা। ওই শ্রমিকদের পাশে দাঁড়ায় কংগ্রেস। তবে এ দিন এবিজি-র বিরুদ্ধেও সরব হয়েছেন ওই শ্রমিকেরা। সুদর্শণ খাটুয়া, নুর আলম, নব মান্নাদের দাবি, “এবিজি যন্ত্রপাতি নিয়ে যেতে বাধা দেওয়া আমাদের উদ্দেশ্য নয়। তবে আমাদের সঙ্গে ১০ বছরের চুক্তি মতো পাওনা মিটিয়ে দিয়ে যেতে হবে।” এ দিন সেই দাবিতেই সন্ধ্যায় বন্দর থেকে বেরিয়ে গাড়ি জামতলার দিকে এলে ঘেরাও করেন তাঁরা। তবে ভবানীপুর থানার পুলিশ বাধা দেওয়ায় পিছু হটেন তাঁরা। কাজাহারা শ্রমিকেরা ওই কর্মসূচি নিজেদের উদ্যোগেই নিয়েছেন বলে দাবি কংগ্রেসের। এবিজির জেনারেল ম্যানেজার যোগেশ অগ্রবাল এই বিষয়ে কোনও মন্তব্য করতে চাননি।
|