|
|
|
|
সৈকতের রাস্তায় বিতর্ক দুই রাজ্যে
নিজস্ব সংবাদদাতা • কাঁথি |
দিঘার বাংলা-ওড়িশা সীমান্তে উদয়পুর সৈকতে যাওয়ার রাস্তা নিয়ে বিতর্কের মীমাংসা করতে দুই রাজ্যের প্রশাসনিক বৈঠক অনুষ্ঠিত হল। বুধবার দিঘায় কাঁথির মহকুমা শাসক সুমিত গুপ্তের নেতৃত্বে মহকুমা পুলিশ ও প্রশাসন ওড়িশার রাজ্য প্রশাসনের সঙ্গে বৈঠকে বসেন। বৈঠকে দুই রাজ্যের দাবি নিয়ে সুনির্দিষ্ট কোনও সমাধানসূত্র পাওয়া যায়নি।
তবে আগামী দিনে এবিষয়ে দুই রাজ্যের প্রশাসনের উচ্চমহলের বৈঠকে বসার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। উদয়পুর সৈকতে যাওয়ার ওই রাস্তাটি বাংলা ও ওড়িশা দুই রাজ্যই নিজেদের বলে দাবি করায় সীমান্ত এলাকা নিয়ে বিতর্ক তৈরি হয়।
মহকুমা শাসক সুমিত গুপ্ত জানান, কাঁথি মহকুমার রামনগর ১ ব্লকের পদিমা গ্রাম পঞ্চায়েতের দিঘা বর্ডার থেকে উদয়পুর সৈকত যাওয়ার একটিমাত্র পাকা সড়ক রয়েছে। ওই সড়কটি ২০০৮ সালে দিঘা-শঙ্করপুর উন্নয়ন পর্ষদের উদ্যোগে তৈরি হয়। ওই রাস্তার উপর ওড়িশা সরকারের বনদফতর কাঁথি মহকুমা প্রশাসনের আপত্তি সত্ত্বেও একটি চেকপোষ্ট বসায়।
ওই চেকপোস্ট বসানো নিয়েও আপত্তি জানিয়েছিল। পরে দিঘা পুলিশ সীমান্ত এলাকার যানজট নিয়ন্ত্রণের জন্য সম্প্রতি দুটি ডিভাইডার বসায়। মঙ্গলবার ওড়িশার ভোগরাই থানার পুলিশ কাউকে কিছু না জানিয়ে ডিভাইডার দুটি তুলে নিয়ে যায়। ওড়িশা প্রশাসনের দাবি, ওই রাস্তাটি ওড়িশার মধ্যে পড়ছে। যদিও রাস্তাটি এই রাজ্যেই পড়ে।
এ দিনের বৈঠকে ওড়িশা পুলিশ তুলে নিয়ে যাওয়া দুটি ডিভাইডার ফেরত দিতে রাজি হয়েছে। ওই জায়গার মাপজোক নিয়েও দুই রাজ্যের জেলা প্রশাসনের বৈঠকে বসার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। বৈঠকে মহকুমা শাসক ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন কাঁথির এসডিপিও ইন্দ্রজিৎ বসু, সার্কেল ইন্সপেকটার সমীর বসাক, রামনগর ১ ব্লক উন্নয়ন আধিকারিক তমোজিৎ চক্রবর্তী সহ দুই রাজ্যের পদস্থ আধিকারিকেরা। |
|
|
|
|
|