|
|
|
|
পুলিশকে দেখতে বললেন বিডিও |
শবরপাড়ায় মাওবাদীদের হমকি, নালিশ জামবনিতে
নিজস্ব সংবাদদাতা • ঝাড়গ্রাম |
মঙ্গলবার গভীর রাতে জামবনি থানার টুলিবড় গ্রামের শবর পাড়ায় মুখে কালো কাপড় বাঁধা তিন জন যুবক চড়াও হয় বলে অভিযোগ। বাসিন্দাদের ঘুম থেকে টেনে তুলে ওই যুবকেরা নিজেদের ‘মাওবাদী’ বলে পরিচয় দেয়। শবরেরা কোন রাজনৈতিক দলের সমর্থক সেটা জানতে চায় ওই যুবকেরা। ওই যুবকেরা পিস্তল দেখিয়ে জয়ন্তী শবর নামে এক মহিলাকে তুলে নিয়ে যায়। এরপরই আতঙ্কিত শবররা স্থানীয় চিল্কিগড় গ্রাম পঞ্চায়েতের বিদায়ী প্রধান সিপিএমের অবনীমোহন দত্ত-র বাড়িতে ছুটে যান।
অবনীবাবুর বাড়ি টুলিবড় গ্রামেই। তিনি বলেন, “খবর পেয়ে রাতেই শবর পাড়ায় যাই। ওই যুবকেরা মোটর সাইকেলে চেপে এসেছিল বলে বাসিন্দারা জানান। নিজেদের মাওবাদী পরিচয় দিয়েছিল তারা। সকালে জয়ন্তীদেবী বিধ্বস্ত অবস্থায় গ্রামে ফিরে আসেন।” অবনীবাবুর দাবি, জয়ন্তীদেবীকে জিজ্ঞাসাবাদ করে জানতে পারি, মোটর সাইকেলে চাপিয়ে ওই যুবকেরা জয়ন্তীদেবীকে কিছুটা দূরে একটি জঙ্গলে নিয়ে গিয়েছিল।” জয়ন্তীদেবী বলেন, “ওরা আমাকে একটা জঙ্গলে নিয়ে যায়। সেখানে আরও বেশ কিছু মুখে কাপড় বাঁধা লোক ছিল। ওরা নিজেদের ‘পুরুলিয়া ও বাঁকুড়ার মাওবাদী স্কোয়াড সদস্য’ বলে পরিচয় দেয়। ওদের কাছে বন্দুক ছিল। ওরা আমাকে ওদের হয়ে কাজ করতে বলে। আমি কান্নাকাটি করে বলি আমার দু’টো ছোট বাচ্চা রয়েছে। আমাকে ছেড়ে দাও। তখন ওরা ভোর বেলা আমাকে ছেড়ে দেয়। অনেক কথা কাউকে জানাতে নিষেধ করে।” অবনীবাবু জানান, শবর পরিবারগুলি সিপিএম সমর্থক। ঘটনার পর আতঙ্কিত বেশ কিছু শবর পরিবার গ্রাম ছেড়ে পালিয়ে গিয়েছে। জয়ন্তীদেবীও সপরিবারে অন্য একটি গ্রামে আত্মীয়ের বাড়িতে চলে গিয়েছেন। ঝাড়গ্রামের প্রাক্তন বিধায়ক তথা সিপিএমের জামবনি জোনাল সম্পাদক অমর বসু বুধবার গোটা ঘটনাটি লিখিত ভাবে জামবনির বিডিও-কে জানিয়েছেন। অমরবাবু বলেন, “পুলিশ আমাদের অভিযোগ নিতে চায় না। ফোন করলে আইসি ফোন ধরেন না, তাই বিডিওকে অভিযোগপত্র দিয়েছি।” অমরবাবুর অভিযোগ, “শবররা সিপিএম সমর্থক হওয়ায় তৃণমূলের ভৈরব বাহিনীর লোকেরাই মুখে কাপড় বেঁধে চড়াও হয়েছিল। এলাকাবাসীকে সন্ত্রস্ত করার জন্য জয়ন্তীদেবীকে তুলে নিয়ে গিয়েছিল।”
তৃণমূলের জেলা কার্যকরী সভাপতি নির্মল ঘোষ বলেন, “সিপিএমের পায়ের তলায় মাটি নেই। পঞ্চায়েত ভোটের আগে পরাজয় নিশ্চিত বুঝেই অমরবাবুরা এখন গল্প ফাঁদছেন।” জামবনির বিডিও দীপ ভাদুড়ি বলেন, “অমরবাবুর অভিযোগ পেয়েছি। পুলিশকে বিষয়টি দেখতে বলেছি।” পুলিশ অবশ্য কোনও মন্তব্য করতে চায়নি। |
|
|
|
|
|