লিগের আগেই দুই প্রধান বেঙ্গল কাপে
নিজস্ব সংবাদদাতা • কলকাতা |
কলকাতা লিগ শুরুর আগেই মুখোমুখি দেখা হয়ে যেতে পারে ইস্টবেঙ্গলের নতুন কোচ মার্কোস ফালোপা এবং মোহনবাগানের কোচ করিম বেঞ্চারিফার! রাজ্য ক্রীড়া দফতর অগস্টের দ্বিতীয় সপ্তাহে যে বেঙ্গল কাপ করার চেষ্টা চালাচ্ছে সেটা শেষ পর্যন্ত হলে ফালোপা-করিম যুদ্ধ দেখতে পাবেন ফুটবল প্রেমীরা। ক্রীড়ামন্ত্রী মদন মিত্র বেঙ্গল কাপ সংগঠনের মূল হোতা। তিনি যা ইঙ্গিত দিলেন তাতে উরুগুয়ের প্রিমিয়ার ডিভিশনের দল সেন্ট্রাল এসপানোলের সঙ্গে খেলতে হতে পারে দুই প্রধানের। ঠিক হয়েছে, প্রথমে তিনটি দল নিজেদের মধ্যে খেলবে। পয়েন্টের বিচারে যে দু’টি দল লিগ টেবিলে প্রথম দুইয়ে থাকবে, তারাই ফাইনাল খেলবে।
ক্রীড়ামন্ত্রী মদন মিত্র এ দিন রাজ্য ফুটবল অ্যাকাডেমি নিয়ে বৈঠক ডেকেছিলেন। সেই সভার পর তিনি বললেন, “এ বারের মরসুমের প্রথম ডার্বি হবে বেঙ্গল কাপেই। আমাদের প্রতিনিধি উরুগুয়েতে রয়েছে। দুই প্রধানই আগ্রহ দেখিয়েছে। সব ঠিক থাকলে ৯-১৭ অগস্ট খেলা হবে শিলিগুড়ির কাঞ্চনজঙ্ঘা স্টেডিয়াম, বারাসত স্টেডিয়াম ও যুবভারতীতে। পুরস্কারমূল্য ত্রিশ লক্ষ টাকা।” ক্রীড়ামন্ত্রী যে তাদের প্রস্তাব দিয়েছেন স্বীকার করছে দুই প্রধানই। ইস্টবেঙ্গলের শীর্ষকর্তা দেবব্রত সরকার বলেন, “অগস্টে কাপ হলে খেলতে সমস্যা নেই। ক্রীড়ামন্ত্রী নিজে অনুরোধ করছেন, না খেলার কোনও প্রশ্নই উঠতে পারে না। তবে ফেডারেশন ও আইএফএ-কে জানাতে হবে।” মোহনবাগান সচিব অঞ্জন মিত্রও বললেন, “ক্রীড়ামন্ত্রীর ফোন পেয়েছি। সে ভাবে কোনও সমস্যা নেই। তবে সবার সঙ্গে আলোচনা করে আমরা সিদ্ধান্ত নেব।”
|
সিএবি বর্ষসেরা জুনেইদ, সুজয়
নিজস্ব সংবাদদাতা • কলকাতা |
সামি আহমেদ না মনোজ তিওয়ারি? না অন্য কেউ! গত মরসুমে সিএবি-র বর্ষসেরা ক্রিকেটার কে হবেন তা জানা যাবে বৃহস্পতিবার। বিকেলে নির্বাচকমণ্ডলীর বৈঠকের পরেই এ ব্যাপারে সরকারি ঘোষণা হবে বলে খবর সিএবি সূত্রে। বুধবারই ঘোষিত হল বর্ষসেরা স্কুল এবং বিশ্ববিদ্যালয় ক্রিকেটারের নাম। গত মরসুমের বর্ষসেরা পাঠভবন স্কুলের কাজি জুনেইদ সইফি। সেরা বিশ্ববিদ্যালয় ক্রিকেটার কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের সুজয় দাস। আগামী ২০ জুলাই সিএবি বার্ষিক পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে সম্মানিত করা হবে এই দু’জনকে।
|
পিতৃহারা হলেন রাহুল দ্রাবিড়
সংবাদসংস্থা • বেঙ্গালুরু |
পিতৃহারা হলেন রাহুল দ্রাবিড়। বুধবার ভোরে ইন্দিরানগরের বাসভবনে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন প্রাক্তন ভারতীয় ক্রিকেট অধিনায়কের বাবা শরদ দ্রাবিড়। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৭৯ বছর।
কর্নাটক ক্রিকেট সংস্থার তরফে এক বিবৃতিতে এ দিন জানানো হয়েছে, দীর্ঘদিন ধরেই বার্ধক্যজনিত অসুস্থতায় ভুগছিলেন সিনিয়র দ্রাবিড়। কর্মজীবনে বিখ্যাত জ্যাম-জেলি প্রস্তুতকারক সংস্থায় কাজ করতেন শরদ দ্রাবিড়। সেই সূত্রেই তাঁর বিখ্যাত পুত্রের স্কুলজীবনেই ডাক নাম হয়ে যায় জ্যামি। ক্রিকেটার হিসাবে রাহুলের উত্থানে তাঁর বাবার ভূমিকা অপরিসীম। তাঁর মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন অনিল কুম্বলে-সহ কর্নাটক ক্রিকেট সংস্থার কর্তারা। |