|
|
|
|
সুভাষের ঝুমুর গানে তৃণমূলের প্রচার
নিজস্ব সংবাদদাতা • মেদিনীপুর |
পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে তৃণমূল সরকারের সাফল্য প্রচারে গান লিখেছেন সুভাষ মাহাতো। তাঁর কথায় ও সুরে ১১টি গান নিয়ে প্রকাশিত সিডি ‘পঞ্চহিতে দিদির লড়াই’ এখন বাজছে জঙ্গলমহলের নানা প্রান্তে।
গত সপ্তাহে জেলায় এসে মুখ্যমন্ত্রী দু’দিনে তিনটি জনসভা করেন। তৃণমূল নেত্রীকেও সিডি দিয়েছেন খড়্গপুরের এই তৃণমূলকর্মী। তাঁর বক্তব্য, “দিদির হাতে সিডি তুলে দিয়েছি। ওঁর জন্যই তো আজ জঙ্গলমহলের এই পরিবর্তন।”
খড়্গপুর লোকাল থানার কলাইকুণ্ডার বাসিন্দা সুভাষবাবুর ঝুমুর গানের দল রয়েছে। তাঁর স্ত্রী অঞ্জলি মাহাতোও আছেন দলে। সুভাষবাবুর কথায়, “আমি দলেরই কর্মী। রাজ্যে পালাবদলের পর জঙ্গলমহলের পরিবেশ এখন যা হয়েছে, বছর দুই আগেও তা কল্পনার অতীত ছিল। সেই ভয়-আতঙ্ক-উদ্বেগ আর নেই। সর্বত্র উন্নয়নমূলক কাজ চলছে। আমার গানে এই পরিবর্তিত জঙ্গলমহলের ছবিই তুলে ধরেছি।” |
সুভাষ মাহাতো।—নিজস্ব চিত্র। |
সিডিতে যে ১১টি গান রয়েছে, তার সবগুলোরই কথা ও সুর সুভাষবাবুর। আর গেয়েছেন তাঁর স্ত্রী অঞ্জলিদেবী ও গানের দলের দুই সদস্য। ‘দিদি আইলারে এই বাংলায়’, ‘সোনার বাংলা সোনাই ভরা’র মতো বেশ কয়েকটা গান এরই মধ্যে হিট। সোমবার মেদিনীপুরে এসে সুভাষবাবু দেখা করেছেন পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা তৃণমূলের সভাপতি দীনেন রায়, কার্যকরী সভাপতি প্রদ্যোৎ ঘোষের সঙ্গে। জানিয়েছেন, ইতিমধ্যে ২০ হাজার সিডি বিক্রি হয়েছে। অন্তত, ৫-৬ লক্ষ লোক গানগুলো শুনেছেন। প্রদ্যোৎবাবুও বলছিলেন, “সুভাষ তো আমাদের পরিচিত। এখন জঙ্গলমহলের যেখানেই যাই, সাউন্ড বক্সে ওর গান শুনতে পাই। ভালও লাগে।” জেলা সভাপতি দীনেনবাবুও বলেন, “সুভাষের সঙ্গে আমার পরিচয় অনেক দিনের। ওঁর লেখা গানগুলো ইতিমধ্যে জনপ্রিয় হয়েছে। এখন গরিব মানুষকে দু’টাকা কেজি দরে চাল দেওয়া হচ্ছে। কত উন্নয়নমূলক কাজকর্ম চলছে। গানে এই সব কথাও রয়েছে। ফলে, মানুষের কাছে সহজে গানগুলো পৌঁছচ্ছে।”
সুভাষ জানালেন, সিডি প্রকাশে বিশেষ সাহায্য করেছেন সাংসদ শুভেন্দু অধিকারী-সহ তৃণমূলের বেশ কয়েকজন নেতা। লোকসভা নির্বাচনের আগে আরও একটি সিডি প্রকাশের পরিকল্পনা রয়েছে এই শিল্পীর। |
|
|
|
|
|