|
|
|
|
কমিশনকে বিঁধেই প্রচার শুরু শুভেন্দুর
নিজস্ব সংবাদদাতা • দাঁতন |
নির্বাচন পিছনোর জন্য রাজ্য নির্বাচন কমিশনারকে বিঁধেই পশ্চিম মেদিনীপুরে প্রচার শুরু করলেন সাংসদ তথা যুব তৃণমূলের রাজ্য সভাপতি শুভেন্দু অধিকারী। বুধবার মোহনপুর এবং দাঁতনে দলীয় প্রার্থীদের সমর্থনে সভা করেন তিনি। তাঁর মন্তব্য, “মীরাদেবী সিপিএমের ঋণ শোধ করছেন! বুদ্ধবাবু বুঝে গিয়েছিলেন যে ক্ষমতা হারাবেন। তাই যাওয়ার আগে কমিশনারের মেয়াদ ৩ বছর থেকে বাড়িয়ে ৬ বছর করেন। সিপিএমের ওই বন্ধুই ভরা বর্ষায় রমজান মাসে নির্বাচনে যেতে বাধ্য করেছেন!”
এক সপ্তাহ আগেই পঞ্চায়েত নির্বাচনের প্রচারে জেলায় এসেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনটি সভা করেন। কোনওটাতেই অবশ্য তাঁর পাশে দেখা যায়নি শুভেন্দুকে। এ নিয়ে দলের মধ্যে গুঞ্জন শুরু হয়। এক সময়ে জেলার জঙ্গলমহলে বারেবারে ছুটে এসেছেন শুভেন্দু। লাগাতার জনসভা, পদযাত্রা করেছেন। দলেরই এক সূত্রের অবশ্য দাবি, শুভেন্দু নিজের জেলা পূর্ব মেদিনীপুরে প্রচারে ব্যস্ত ছিলেন। তাই পশ্চিম আসতে পারেননি। এদিকে, পশ্চিম মেদিনীপুর থেকেও বহু অনুরোধ যাচ্ছিল তমলুকের সাংসদের কাছে। প্রার্থীরা তাঁকে এ জেলায় প্রচারে আসার আর্জি জানাচ্ছিলেন। তাতে সাড়া দিয়েই প্রচার শুরু করলেন শুভেন্দু। আর বুধবারই তৃণমূল সূত্রে জানা গেল, আগামী সোমবার নির্বাচনী প্রচারে ফের জেলায় আসবেন মুখ্যমন্ত্রী। প্রথমে লালগড় ও পরে ডেবরায় সভা করবেন তিনি। মুখ্যমন্ত্রীর এই সফরে অবশ্য শুভেন্দুকে নেত্রীর পাশেই দেখা যাবে। |
দাঁতনে শুভেন্দুর সভা। ছবি: কৌশিক মিশ্র। |
দলীয় নেতৃত্ব সভা থেকে বার্তা দেবেন, তৃণমূলের মধ্যে কোনও দ্বন্দ্ব নেই। যে জল্পনা চলে, তার পুরোটাই রটনা! বুধবারের দু’টি সভায় শুভেন্দু বলেন, “এ জেলার সব জায়গায় ঘাসফুল ফোটাতে হবে। সিপিএম যাতে একশো বছরেও ঘুরে দাঁড়াতে না-পারে তার ব্যবস্থা করতে হবে। রাজ্য সরকার ফেব্রুয়ারি মাসে ভোট করতে চাইলেও তা হয়নি। সিপিএমের অত্যাচারের জবাব দিতে হবে।” যুব তৃণমূলের রাজ্য সভাপতির দাবি, “পশ্চিম মেদিনীপুরের জেলা পরিষদ সিপিএমের দখলে ছিল। তারা এলাকার উন্নয়ন করেনি। উন্নয়নে সরকারকে সহযোগিতাও করেনি।” তাঁর কথায়, “আমরা চট তুলে ভোট করি না। মানুষ আমাদের পাশে রয়েছে। আগে পাহাড়- জঙ্গলমহল অশান্ত ছিল। মুখ্যমন্ত্রী শান্তি ফিরিয়েছেন। এই পরিবেশ রক্ষা করতে হবে।” দাঁতনে অলোক নন্দীর ডিসিপিএমের কিছুটা প্রভাব রয়েছে। এ নিয়ে শুভেন্দুর মন্তব্য, “এক সময়ে যাঁরা সিপিএম থেকে বেরিয়ে গিয়েছিলেন, এখন তাঁরাই রামধনু জোট তৈরি করেছেন। একটি ভোটও যাতে নষ্ট না- হয়, নজর রাখতে হবে।” তমলুকের সাংসদ স্মরণ করিয়ে দেন, “আমরা নির্বাচনে যেতে ভয় পাই না। আমাদের নেত্রী লড়াকু নেত্রী। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বহু লড়াই- সংগ্রামের মধ্য দিয়ে দলটাকে তৈরি করেছেন।” কাল, শুক্রবার দাসপুর-১, ২ এবং ডেবরায় সভা করার কথা যুব নেতার। রবিবার চারটি সভা করার কথা। পিংলা, সবং, ডেবরা ও নারায়ণগড়ে। বস্তুত, শুভেন্দু এ জেলায় প্রচারে আসায় খুশি তৃণমূলের কর্মী- সমর্থকেরাও। মোহনপুরের তৃণমূল নেতা প্রদীপ পাত্র বলছিলেন, “মীরাদেবীকে ধন্যবাদ। ওঁনার কল্যাণেই আমরা শুভেন্দু অধিকারীকে পেলাম!” |
|
|
|
|
|