পঞ্চায়েত ভোট নিয়ে অনিশ্চয়তা কেটে যাওয়ার পরে ফের রাজনৈতিক অশান্তিতে সরগরম পুড়শুড়া।
বুধবার পুড়শুড়া-১ পঞ্চায়েতের কংগ্রেসের এক মহিলা প্রার্থীর বাড়িতে ঢুকে ভাঙচুর-লুঠপাটের পরে তাঁর শ্লীলতাহানি ও মারধরের অভিযোগ উঠল তৃণমূল কর্মী-সমর্থকদের বিরুদ্ধে। প্রহৃত হন তাঁর স্বামীও। জঙ্গলপাড়া গ্রামের বাসিন্দা, ওই দম্পতিকে স্থানীয় শ্রীরামপুর ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ভর্তি করানো হয়। অভিযোগ মানতে চায়নি তৃণমূল। কিন্তু ওই ঘটনার জেরে গ্রামে দু’পক্ষের এক দফা মারামারি হয়। দু’পক্ষ পুলিশের কাছে অভিযোগ জানাতে গিয়ে থানা চত্বরে মারামারিতে জড়ায়। ওই গোলমালে জড়িত থাকার অভিযোগে পুলিশ কাদের মিদ্যা নামে এক কংগ্রেস প্রার্থীকে গ্রেফতার করে।
পঞ্চায়েত ভোটে মনোনয়নপত্র দাখিলের সময় থেকেই জঙ্গলপাড়া গ্রামে দু’পক্ষের মধ্যে ছোটখাটো গোলমাল চলছিলই। হাটি গ্রামেরও এক কংগ্রেস প্রার্থীকে মারধর ও তাঁর স্ত্রীর শ্লীলতাহানির অভিযোগ ওঠে তৃণমূল কর্মী-সমর্থকদের বিরুদ্ধে। |
হাসপাতালে অণিমা ও তাঁর স্বামী সুকুমার। —নিজস্ব চিত্র। |
এ দিনের গোলমাল নিয়ে কংগ্রেসের প্রার্থী অণিমা দাসের অভিযোগ, “আমাকে মনোনয়নপত্র তুলে নেওয়ার জন্য হুমকি দিয়েছিল তৃণমূল। দলের ছেলেদের তৃণমূলের হয়ে প্রচারে নামানোর চেষ্টাও হয়। কিন্তু কিছু না হওয়ায় এ দিন তৃণমূলের অন্তত ২০ জন বাড়িতে হামলা চালাল। লুঠপাট করল। বাধা দিতে গেলে ওরা আমাকে মারধর এবং শ্লীলতাহানি করে। স্বামী সুকুমারও মার খান।”
ব্লক তৃণমূল সভাপতি জয়দেব জানা শ্লীলতাহানি বা মারধরের অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তাঁর দাবি, “কংগ্রেস সন্ত্রাস সৃষ্টি করতে চাইছে। আমাদের বিরুদ্ধে ওরা মিথ্যা অভিযোগ তুলছে।” কংগ্রেসের বিরুদ্ধেই তিনি পাল্টা হামলার অভিযোগ তুলেছেন। তিনি বলেন, “সকালে বিনা প্ররোচনায় বাড়িতে ঢুকে ওরা আমাদের এক দলীয় কর্মী ও তাঁর স্ত্রীকে মারধর করে। তার পরে আমাদের একটি প্রচার-মিছিলেও হামলা চালায়। সে সব নিয়ে থানায় অভিযোগ জানাতে গেলে থানাতেই আর এক প্রস্ত মারধর করে।”
এই অভিযোগ অস্বীকার করে মহকুমা কংগ্রেস সভাপতি অষ্ট বেরা বলেন, “ধৃত কাদের মিদ্যা চিলাডাঙ্গি পঞ্চায়েতে আমাদের প্রার্থী। দলের মহিলা প্রার্থীর শ্লীলতাহানির ঘটনায় থানায় অভিযোগ জানাতে গিয়েছিলেন। তখন তৃণমূলের ছেলেরাই গোলমাল করে। কিন্তু পুলিশ কাদেরকেই ধরল। পুলিশের এই পক্ষপাতিত্বের কথা আমরা নির্বাচন কমিশনকে জানাব।” |