অর্থনীতিকে চাঙ্গা করতে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কগুলিকে ঋণে সুদ কমানোর পরামর্শ দিলেন অর্থমন্ত্রী পি চিদম্বরম। আর তার পরই এ দিন বেস রেট ১০.২৫% থেকে কমিয়ে ১০% করেছে ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া। এই রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কটির উল্টো পথে হেঁটে স্টেট ব্যাঙ্ক অবশ্য জানিয়েছে, সুদ কমানোর খুব বেশি সুযোগ এই মুহূর্তে তাদের সামনে নেই।
বুধবার বিভিন্ন রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের প্রধানদের সঙ্গে বৈঠকে চিদম্বরম বলেন, বর্তমান পরিস্থিতিতে চাহিদা বাড়লে, তবেই প্রাণ ফিরবে অর্থনীতিতে। আর চাহিদা বাড়ানোর মূল মন্ত্রই হল কম সুদে ধার দেওয়া। কারণ সাম্প্রতিক কালে বেশির ভাগ পণ্যের মাত্রাছাড়া দামের পাশাপাশি ঋণে সুদের চড়া হারও ক্রেতাকে বাজার বিমুখ করে রেখেছে। যার জেরে প্রবল ভাবে ধাক্কা খাচ্ছে আর্থিক বৃদ্ধি।
সাধারণ মানুষের ঋণ নেওয়ার খরচ কমাতে অর্থমন্ত্রী এ দিন বাণিজ্যিক ব্যাঙ্কগুলিকে তাদের ‘বেস রেট’ এবং ‘মিনিমাম লেন্ডিং রেট’ পুনর্বিবেচনা করতে বলেছেন। কারণ গত জানুয়ারি থেকে এখনও পর্যন্ত রেপো রেট (রিজার্ভ ব্যাঙ্ক বাণিজ্যিক ব্যাঙ্কগুলিকে ঋণ দেওয়ার সময় যে হারে সুদ নেয়) ৭৫ বেসিস পয়েন্ট কমিয়েছে ভারতীয় রিজার্ভ ব্যাঙ্ক। প্রসঙ্গত, বেস রেট হল সেই হার, ঋণ দেওয়ার জন্য যার নীচে সুদ ধার্য করতে পারে না বাণিজ্যিক ব্যাঙ্কগুলি। এ দিন চিদম্বরম বলেন, “রেপো রেট কমায় ব্যাঙ্কগুলির কাঁধ থেকে সুদের ভার কিছুটা হালকা হয়েছে। ধার নেওয়া সুলভ করে এই সুবিধার কিছুটা সাধারণ ঋণগ্রহীতার কাছেও পৌঁছে দেওয়া উচিত।” তাঁর দাবি, অর্থনীতির চাকায় গতি ফেরানোর শক্তিশালী হাতিয়ার বেস রেট কমানো। কারণ তা ধার নেওয়ার পথ সুগম করে।
এই আর্জি মেনে ব্যাঙ্ক কর্তারা যে চলতি মাসের মধ্যেই বেস রেট পুনর্বিবেচনা করে সিদ্ধান্ত নেবেন বলেছেন, তা-ও জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী। সুদ কমিয়েওছে ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া। কিন্তু একই সঙ্গে অনেক ব্যাঙ্কেরই আশঙ্কা, ঋণে সুদ কমানো সত্ত্বেও চাহিদা না বাড়লে মুনাফায় কোপ পড়বে। পাশাপাশি ঘাটতি দেখা দিতে পারে আমানতেও। |