|
|
|
|
তারাবাজি
|
রোহিতের শাহরুখ এক্সপ্রেস
তাঁর ছবি মানেই একশো কোটির ব্যবসা। অনেকের মতে আজকের বলিউডের এক নম্বর পরিচালক।
‘চেন্নাই এক্সপ্রেস’য়ের পরিচালক রোহিত শেট্টি-র সামনে কৃশানু ভট্টাচার্য |
আপনার শেষ তিনটে ছবি, ‘গোলমাল থ্রি, ‘সিঙ্ঘম’, ‘বোল বচ্চন’ একশো কোটির ব্যবসা করেছে। আজকের বলিউড কি মনে করছে, এক নম্বর পরিচালক এখন আপনি?
হ্যাঁ, একশো কোটির ব্যবসা করেছে ওই ছবিগুলো। তবে সেই জন্য কেউ আমাকে নম্বর ওয়ান ভাবছে কি না সে নিয়ে মাথা ঘামাই না। আমি সিনেমা মানে বুঝি
|
রোহিত শেট্টি |
এন্টারটেনমেন্ট, যা দর্শকের ভাল লাগবে আর প্রযোজকের ঘরে টাকা ফেরত দেবে। তবে আমার সব ছবিই হিট, এমন নয়। ‘জমিন’ সেই অর্থে হিট নয়। ‘গোলমাল: ফান আনলিমিটেড’ আমাকে দারুণ পরিচিতি দিয়েছিল। ছবি হিট হয়। শুরুটা তেমন না হলেও পরে সাফল্য পায় ‘গোলমাল রিটার্নস’। আর ‘গোলমাল থ্রি’র পরেই প্রচারমাধ্যম আমার ছবি নিয়ে হইচই শুরু করে। এ জন্য সাংবাদিকদের ধন্যবাদ।
পরের ছবি তো শাহরুখ খানের সঙ্গে ‘চেন্নাই এক্সপ্রেস’?
হ্যাঁ, ‘চেন্নাই এক্সপ্রেস’ আমার পরের রিলিজ। অনেক দিন ধরে ইচ্ছে ছিল শাহরুখের সঙ্গে ছবি করব। আমি বহু দিন ধরেই শাহরুখের ফ্যান।
এই ছবিতে আপনি আবার ফিরিয়ে আনলেন সেই ‘ওম শান্তি ওম’-য়ের জুটিকে?
হ্যাঁ, শাহরুখ অ্যান্ড দীপিকা আর ম্যাজিক অন স্ক্রিন। এই ছবিতে দীপিকাকে দক্ষিণ ভারতীয় এক মেয়ের চরিত্রে দেখা যাবে। পুরো সিনেমাতেই দক্ষিণ ভারতীয় অ্যাকসেন্টে কথা বলেছে দীপিকা। শাহরুখের সঙ্গে ওর অন স্ক্রিন কেমিস্ট্রি এত ব্রিলিয়ান্ট যে পরিচালক হিসেবে আমার কাজটা অনেক সহজ হয়ে গিয়েছিল।
অনেকে তো এটাও বলছে, প্রথমে আপনি ‘চেন্নাই এক্সপ্রেস’, অজয় দেবগণকে অফার করেছিলেন কিন্তু শাহরুখ রাজি হয়ে যাওয়ার আপনি বাদ দিয়ে দিলেন অজয়কে।
একেবারেই না। আমি কোনও দিন ‘চেন্নাই এক্সপ্রেস’ অফারই করিনি অজয়কে। সব সময়ই ছবিটা শাহরুখের করার কথা ছিল।
|
|
আজকে রোহিত শেট্টির ছবি মানেই স্টান্টে গাড়ি ওড়ানো!
হ্যাঁ, ওটা আমার স্টেটমেন্ট হয়ে গিয়েছে। আসলে ফাইট মাস্টার শেট্টির ছেলে আমি। স্টান্ট আমাদের রক্তে।
ছবির সাফল্যের জন্য নিজেকে একশোয় কত দেবেন?
কোনও পরিচালকের একার কৃতিত্বে আজ পর্যন্ত কোনও ছবি হিট হয়েছে বলে শুনিনি। স্ক্রিপ্ট যদি জমজমাট না-হয়, ছবি হিট হওয়ার কোনও প্রশ্নই নেই। ক্যামেরার পিছনে আমার কাজের জন্য আমি নিজেকে তিরিশের বেশি দিতে পারব না। সাফল্যের বাকিটা পাবে টিম-ওয়ার্ক।
আজকের বলিউডের পরিচালকদের মধ্যে আপনার স্ট্রাইক রেট সব চেয়ে বেশি। এই সাফল্যের পিছনের রহস্যটা কী?
(হেসে) আরে না না, কোনও রহস্য নেই। আসলে আমার ছবি সপরিবার বসে দেখা যায়। সেই অর্থে ‘অ্যাডাল্ট সিন’ থাকে না। বিনোদনের ভরপুর মশালা থাকে আমার ছবিতে। সব বয়সের দর্শকই মজা পান আমার ছবি দেখে।
তা হলে কি বলা যায় কমেডিই আপনার ছবির প্রধান বিষয়? ‘চেন্নাই এক্সপ্রেস’য়েও তো কমেডি ভরপুর।
কেন ‘সিঙ্ঘম’-এর মতো সিরিয়াস ছবিও তো হিট। আসলে ওই যে বললাম, গল্পটা ভাল হলে যে-কোনও ছবিই হিট হবে।
আপনি তো অভিনয়ও করেছেন। ভবিষ্যতে সুভাষ ঘাইয়ের মতো আপনার নিজের ছবিতে কি আমরা আপনাকে অভিনয় করতে দেখতে পাব?
আমার চেহারা নায়কসুলভ নয়। তবে অভিনয় করতে আমি ভালবাসি। কিন্তু অভিনয় আমার কাছে ‘সেকেন্ডারি’। ক্যামেরার পিছনেই আমি বেশি স্বচ্ছন্দ।
শেষ পর্যম্ত শাহরুখ না অজয় দেবগণ? কে আপনার ফেভারিট অ্যাক্টর?
অ্যাঁ, আবার এই সব প্রশ্ন কেন? সামনে ছবি রিলিজ। কোনও রকম বিতর্কেই নিজেকে জড়াতে চাই না। |
|
|
|
|
|