অক্ষত জৌলুস
বেটিং বিতর্কের ঘন কালো মেঘ সরে গিয়েছে। সদ্য সমাপ্ত চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি তুলে নিয়েছে ধোনির টিম ইন্ডিয়া। আর টেলিভিশন খুললেই এখন আবার সেই ঠান্ডা পানীয় থেকে জুতো, মোবাইল ফোন থেকে বাইক ক্রিকেটাররা সব কিছুই হাসি মুখে বিক্রি করছেন। ধোনি তো স্বমহিমায় রাজত্ব করছেন টেলিভিশনের পরদাতে। টিম ইন্ডিয়ার সাফল্যের সঙ্গে সঙ্গে উঠে এসেছে নতুন কিছু নাম। রবীন্দ্র জাডেজা থেকে শিখর ধবন, রোহিত শর্মা থেকে অজিঙ্কে রাহানে বিজ্ঞাপন দুনিয়াতে নাকি এঁদের রমরমা শুরু হল বলে। অনেকে তো এটাও মনে করছেন যে, শ্রীসন্তেরও আবার ফিরে আসার কিঞ্চিৎ সুযোগ রয়েছে! কিছু না হলে অন্তত যে সব বিজ্ঞাপনে এমন একজনকে দরকার যার একটা ‘নুইস্যান্স ভ্যালু’ রয়েছে। সেখানে শ্রীসন্তের ডাক পড়তেই পারে। তবে ও সব তখনই সম্ভব, যদি শ্রীসন্ত বেটিং স্ক্যান্ডাল থেকে ছাড়া পেয়ে আবার দলে ফিরতে পারেন!
মহেন্দ্র সিংহ ধোনি বিরাট কোহলি
তা হলে কি এই বেটিং বিতর্কে কিছুই এসে গেল না অ্যাড দুনিয়াতে?
এ নিয়ে অবশ্য দ্বিমত রয়েছে বিজ্ঞাপন জগতের কেষ্টবিষ্টুদের মধ্যে। কেউ বলছেন সব ধুয়েমুছে যাওয়া সম্ভব নয়। কেউ বলছেন অ্যাড দুনিয়া নিষ্ঠুর। সাফল্য ছাড়া কেউ আর কিছু বোঝে না। বিজ্ঞাপন নির্মাতা প্রহ্লাদ কক্করের মতে, “এটা অনেকটা নিজের স্ত্রীকে পর-পুরুষের সঙ্গে ধরে ফেলার মতো ঘটনা। সে যতই ক্ষমা চাক না কেন, ওই ঘটনাটা কিন্তু ভোলার নয়। পরে যত বারই সে আপনার দিকে লাজুক চোখে তাকাক, আপনার মাথায় কিন্তু এটাই ঘুরবে যে একদিন হাতেনাতে তাঁকে ধরে ফেলেছেন আপনি। ঠিক সেই রকমই অবস্থা ক্রিকেটের। প্রত্যেক বার যখন কেউ জিতবে বা হারবে, কোথাও মাথায় তো কাজ করবে যে, হয়তো এটাও গড়াপেটার শিকার। এই জিতের পিছনেও কি কোনও টাকার লেনদেন আছে নাকি! কালো একটা ধাব্বা লেগে গিয়েছে ক্রিকেটে। ছোটখাটো কিছু লোককে শাস্তি দিয়ে কিন্তু ক্রিকেটে বিশ্বাসের জায়গাটা ফিরবে না। সবাই জানে যে রাঘব বোয়ালগুলোর গায়ে কোনও আঁচই লাগেনি।”
আর অন্য দল মন করছেন চুরি-জোচ্চুরি যাই থাক, আমাদের দেশে অতীতকে ভুলে যাওয়াটা একটা অভ্যেস। খানিকটা রোগও বটে। ম্যাচ ফিক্সিং বা বেটিং জড়িত বিতর্ক তো আর ভারতীয় ক্রিকেটে নতুন নয়। এর আগেও এই সব নিয়ে অনেক জলঘোলা হয়েছে। বেটিং কেলেঙ্কারি শিরোনামে আসা সত্ত্বেও কপিল দেব, সুনীল গাওস্কর, সচিন তেন্ডুলকর বা সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের মতো লেজেন্ডদের ব্র্যান্ডভ্যালুতে তার কোনও ধাক্কা লাগেনি। এমনকী এ বছর আইপিএল-এ রাজস্থান রয়্যালস টিমের এত গণ্ডগোল ধরা পড়লেও বিজ্ঞাপন জগতে রাহুল দ্রাবিড়ের ইমেজটা আজও রয়ে গিয়েছে মিস্টার ক্লিন হিসেবে।

রোহিত শর্মা
বিজ্ঞাপন নির্মাতা ভরত ধবোলকরের মতো বিজ্ঞাপন জগতের লোকেদের এ সব স্ক্যান্ডাল নিয়ে কিছু এসে যায় না। আর দর্শকের সহ্যশক্তি মারাত্মক। এ ছাড়া তাঁরা স্বল্পমেয়াদি স্মরণশক্তি নিয়ে চলা পছন্দ করেন। “ফিল্ম তারকাদের যদি একটা সিরিজে সিনেমা ফ্লপ করে, তা হলে হয়তো তাঁদের বিজ্ঞাপন দুনিয়া থেকে সরে যেতে হয়। কিন্তু ক্রিকেটারদের এই সমস্যা হয় না। আমার তো মনে হয় না যে, বিতর্কে আমাদের ক্রিকেটারদের ব্র্যান্ডভ্যালু ০.০১ শতাংশও কম হয়েছে। কোন ক্লায়েন্টের সাধ্য আছে যে, হঠাৎ একটা বিতর্ক বা হারের জন্য একজন ক্রিকেটারের ডিল ক্যান্সেল করবে? পরের টুর্নামেন্টে হয়তো ওই ক্রিকেটারই ভাল খেলতে পারেন। তখন? সলমন খানের জেল যাওয়ার পর ওঁকে কোনও একটা বিজ্ঞাপন থেকে বাদ দিয়ে অন্য একজন স্টারকে নেওয়া হয়েছিল। কিন্তু আবার উনি যখন ফেরত এসে হিট ছবি করতে থাকেন, তখন ক্লায়েন্টরা ওঁকে ফিরিয়ে আনে।”
ভরত এটাও মনে করছেন যে, শ্রীসন্তেরও বিজ্ঞাপন দুনিয়াতে ফিরে আসার সুযোগও রয়েছে! “কাল যদি শ্রীসন্ত জেল খেটেও আবার ইন্ডিয়ান টিমে ফিরে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ‘ম্যান অব দ্য ম্যাচ’ হয়ে যায়, তা হলে কিন্তু ওর বাজারদর আবার উঠবে। লোকে তখন ওর বেটিং বিতর্ক মনে রাখবে না। বড়জোর ট্যুইটারে দু’একটা জোক শেয়ার করা হবে,” বলছেন তিনি।
তার মানে বেটিং নিয়ে যাই হোক না কেন, বিজ্ঞাপন দুনিয়াতে ক্রিকেটাররা ব্রাত্য নন।
আজও মহেন্দ্র সিংহ ধোনি প্রায় অগুন্তি ব্র্যান্ডের মুখ। বাইক থেকে ফ্যান, সিমেন্ট থেকে ট্রাক কী না বিক্রি হচ্ছে ধোনিকে দিয়ে! অনেক ট্যালেন্ট ম্যানেজাররাই মনে করছেন যে ক্রিকেটের প্রতি একটি সাময়িক অনাস্থা এলেও চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির দুর্দান্ত পারফরম্যান্সে সব কালি ধুয়েমুছে সাফ। বিজ্ঞাপন এনডর্সমেন্ট ডিলগুলো তৈরি হয় সাধারণত এক বছর বা দু’বছরের জন্য। সেগুলো প্রত্যেকটাই তৈরি করা হয় অন-ফিল্ড পারফরম্যান্সটাকে মাথায় রেখে। তাই সেখানে একটা ম্যাচ ফিক্সিংয়ের খবরে ডিলটা কখনওই ভেস্তে যায় না।
এমনটাই মনে করছেন বান্টি সাজদেহ। ‘কর্নারস্টোন মিডিয়া’-র কর্ণধার বান্টি। বিরাট কোহলি, রোহিত শর্মা, শিখর ধবনের মতো তারকাদের ট্যালেন্ট ম্যানেজমেন্টের দায়িত্ব তাঁর মাথায়।
বলছেন, “এটা ঠিক যে, একটা সময় মানুষের মধ্যে একটা হতাশা এসেছিল। মানুষ হয়তো একটু ক্রিকেট বিমুখ হয়েছিলেন। কিন্তু সে ভাবে দেখতে গেলে ক্রিকেট ম্যাচগুলোর টিআরপি পড়ে যায়নি। ”
তাঁর মতে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে ভারতের এই রকম সাফল্য খুব জরুরি ছিল। “এটা প্রমাণিত হয়েছে যে আমাদের দেশ আর আমাদের ক্রিকেট টিমের আসল জায়গা কোথায়। কোনও সেলিব্রিটির ব্র্যান্ডভ্যালু তো আর রোজ ওঠানামা করে না। এই চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির পর আমাদের ক্রিকেটাররা দেখিয়ে দিয়েছেন যে, তাঁদের মধ্যে সে ক্ষমতা আছে, যা দিয়ে তাঁরা যে কোনও খারাপ সিচুয়েশনের মোড় তাঁদের ব্র্যান্ডভ্যালু দিয়ে ঘুরিয়ে দিতে পারেন,” বলছেন বান্টি।
শিখর ধবন রবীন্দ্র জাডেজা
ধোনির ম্যানেজার অরুণ পাণ্ডে, ‘রীথি স্পোর্টস ম্যানেজমেন্ট’-এর কর্ণধার। ‘স্যার’ রবীন্দ্র জাডেজা থেকে সুরেশ রায়না এদের সবার ট্যালেন্ট ম্যানেজমেন্টের দায়িত্বে আছে এই স্পোর্টস ম্যানেজমেন্ট কোম্পানি। জানাচ্ছেন, “ধোনির জন্য আমাদের কাছে কত অফার আসে! কিন্তু সব তো আর আমরা সই করতে পারি না। ওর সময়ই বা কোথায়? সেই ডিসেম্বর থেকে জুলাই অবধি তো ও ব্যস্ত। দেশে না ফেরা পর্যন্ত তো ও নতুন করে অ্যাড শু্যটিং করছে না।” যদিও ধোনির এনডর্সমেন্ট ফি সম্পর্কে অরুণ কোনও মন্তব্যে যেতে চাননি, ইন্ডাস্ট্রি সূত্রে পাওয়া খবর অনুযায়ী বলা যেতে পারে যে উনি কোনও অ্যাড ডিল ছ’কোটি টাকার কমে করেন না।
এটা কি ঠিক যে, এ নাগাদ জাডেজা (যিনি সদ্য শেষ হওয়া চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে ‘গোল্ডেন বল’ পেয়েছেন)-র জন্য অনেক নতুন ব্র্যান্ড অফার এসেছে? “হ্যাঁ, তবে আমরা কোনও ফিগার বা নাম্বার বলব না। আমরা কাজে বিশ্বাস করি। এই এত অ্যাড করছে বলে সবাইকে জানানোতে আমাদের কোনও উৎসাহ নেই। এটুকু বলতে পারি যে নতুন ক্রিকেটাররা ভাল করছে এটা তাঁদের কাছে একটা বড় সুযোগ,” জানাচ্ছেন অরুণ।
আর এই নতুন তারকাদের মধ্যে যেমন আছেন ‘স্যার জাডেজা’, তেমনই আছেন রবিচন্দ্রন অশ্বিন আর শিখর ধবন। অশ্বিন, অজিঙ্কে রাহানে এবং উমেশ যাদবের ম্যানেজার অতুল শ্রীবাস্তব। জানাচ্ছেন, “আমাদের দেশে ক্রিকেটারদের নেট-ওয়ার্থ কোনও পরিস্থিতিতেই কমে যায়নি। যদি কোনও ক্রিকেটার খেলার তিনটে ফরম্যাটে সাফল্য পান, তা হলে তাঁর ব্র্যান্ডওয়ার্থ বাড়তে বাধ্য। বিজ্ঞাপনের সব ডিল তৈরি হয় পারফরম্যান্সের কথা মাথায় রেখেই। ডিলেই লেখা থাকে, যে টাকাটা বরাদ্দ সেটা তখনই ক্রিকেটারকে দেওয়া হবে, যদি তিনি এত সংখ্যক ম্যাচ ভারতের হয়ে খেলেন। সেটা না খেললে টাকার অঙ্কটা কমে যায়। আমার ক্লায়েন্টদের জন্য আমি একটা পারফরম্যান্স বোনাসের ক্লজও রাখি। একটা শতরানের জন্য হয়তো বোনাস হিসেবে এক লক্ষ টাকা পাওয়া যাবে। দ্বিশতরান করলে আরও বেশি। ‘ম্যান অব দ্য ম্যাচ’ হলে অন্য রকম অঙ্ক।”
রবিচন্দ্রন অশ্বিন
অশ্বিন আপাতত ন’টা ব্র্যান্ড এনডর্স করেন। ডিসেম্বরের মধ্যে অতুল আশা করছেন যে উনি অন্তত তেরোটা ব্র্যান্ড এনডর্স করবেন। অতুলের মতে ব্র্যান্ড অশ্বিন মানেই হল শান্ত, নম্র, ইনোভেটিভ আর ভরসা করার মতো একজন, যিনি কিনা যে কোনও পরিস্থিতি থেকে জিতে বেরোতে পারবে। “উনি সব বয়সের লোকেদের মধ্যেই জনপ্রিয়। বাচ্চাদেরকে তো দেখি থেমে থেমে অশ্বিনের মতো বল করতে! নিজে ইঞ্জিনিয়ার। তাই ইন্টেলেকচুয়াল সেগমেন্টটাতেও ওঁর ভাল প্রভাব থাকবে। হয়তো আইটি, বিপিও, ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিসের বিজ্ঞাপনেও ওঁকে ভাল মানাবে,” বলছেন অতুল।
রাহানে এখন দুটি ব্র্যান্ড এনডর্স করেন। অতুল চাইছেন রাহুল দ্রাবিড়ের মতো করে ওঁর ব্র্যান্ডিং করতে। “ডিসেম্বরের মধ্যে আশা করছি ছ’টি ব্র্যান্ড উনি এনডর্স করবেন। অন্য দিকে উমেশ যাদবকে নিয়েও বেশ কয়েকটি কোয়্যারি এসেছে। আমি চাইব ঠিক সময়ে ওঁর ঠিক মূল্যায়ন হওয়ার পরে ওঁকে দিয়ে বিজ্ঞাপন করাতে,” জানাচ্ছেন অতুল।
তবে মজার ব্যাপার হল এ দেশের বিজ্ঞাপনে নাকি ব্যাটসম্যানেরা বোলারদের থেকে বেশি টাকা পান। যে সব বোলারের অলরাউন্ডার তকমাটা থাকে, তাঁরা বেশি টাকা পেয়ে থাকেন। “যে দিন অশ্বিন একশো করেছিল, তখন থেকে ওঁকে সবাই অলরাউন্ডার হিসেবে চিনতে শুরু করে। আর তার পর ওঁর ব্র্যান্ড-ওয়ার্থটাও বাড়তে থাকে,” অতুল বলেন।
এ দিকে বিরাট কোহলি আপাতত চোদ্দোটি ব্র্যান্ড এনডর্স করেন। “আমরা চাইলে হয়তো সংখ্যাটা পঁচিশ হতে পারত। যত ছোট ব্র্যান্ড, তত বেশি পয়সা। কারণ ক্লায়েন্টরা মনে করে যে বেশি পয়সা দিয়ে একজন ক্রিকেটারকে পেলে হয়তো তাঁদের ব্র্যান্ড পোজিশনটা তাড়াতাড়ি ভাল হবে,” বলছেন বান্টি।
কিন্তু অনেক ভেবেচিন্তেই বিরাটের ব্র্যান্ড এনডর্সমেন্টগুলো ঠিক করা হয়। তা না করলে ‘ব্র্যান্ড স্যাচুরেশন’ হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। “কত প্রস্তাব আসে। কিন্তু আমরা সেগুলোই বাছি, যেগুলো ওঁর ব্যক্তিত্বের সঙ্গে মানানসই হয়। ক্রিকেট জনগণের খেলা। ক্রিকেটারেরা সাধারণত দু’চাকার বিজ্ঞাপন করেন। বিরাট কিন্তু চার চাকার বিজ্ঞাপন করেছেন। আইপিএলের ঝামেলা সত্ত্বেও বিরাটের দু’তিনটে নতুন ব্র্যান্ড সই করার কথা ছিল,” বলছেন বান্টি।
শিখরকে বান্টিরা মনে করেন ‘ব্র্যান্ড ইন ওয়েটিং’। আপাতত দু’টো ব্র্যান্ডের বিজ্ঞাপনে উনি রয়েছেন। আগামী সপ্তাহে আরও দু’টো চুক্তি সই হবে। রোহিত শর্মা আপাতত চারটে ব্র্যান্ডের মুখ। আরও তিনটে ব্র্যান্ডে সই করতে চলেছেন তিনি।
শেষ পর্যন্ত মাঠে রান, উইকেট, ক্যাচের সংখ্যাই ঠিক করে দেবে, কে ছোট পরদাতে কত ভাল ‘বেচুবাবু’ হতে পারবেন। নিজের বাজারদর থেকে শুরু করে জিনিস বেচার ক্ষমতার চাবিকাঠি পড়ে থাকছে ওই বাইশ গজের মধ্যেই।

তারাদের ওধারে
এমএস ধোনি
৬ কোটি (কমপক্ষে)
বিরাট কোহলি
৩.৫-৫ কোটি
উমেশ যাদব
৩৫ লক্ষ -৫০ লক্ষ
অজিঙ্কে রাহানে
৫০ লক্ষ -১ কোটি
শিখর ধবন, রোহিত শর্মা, রবীন্দ্র জাডেজা, রবিচন্দ্রন অশ্বিন ৭৫ লক্ষ -১ কোটি
(বার্ষিক ব্র্যান্ড ভ্যালু, ইন্ডাস্ট্রি সূত্রে পাওয়া খবর অনুসারে)

প্রহ্লাদ কক্করের মতে কোন বিজ্ঞাপনে কাকে মানায়
রোহিত শর্মা

প্রথম দিকে ধোনি রোহিতের মতোই চাকচিক্যহীন ছিলেন। তার পর ধোনি নিজেকে ঘষামাজা করেছেন। এক সময় কপিল দেবও অনেকটা এই রকম ছিলেন। কী বাজে অ্যাকসেন্ট ছিল সেই পামোলিভের বিজ্ঞাপনে। বিয়ের পর স্ত্রীর সংস্পর্শে এসে উনি অনেকটাই পালটে ফেলেন নিজেকে। আশা করি রোহিতও নিজেকে পাল্টাবেন। আপাতত সাধারণ পণ্যের বিজ্ঞাপনে ওঁকে মানাবে। যেমন সাবান, জামাকাপড় (যদিও সেগুলো দামি হলে চলবে না), জিন্স, বাইক ইত্যাদির বিজ্ঞাপনে।

রবিচন্দ্রন অশ্বিন

উনি নিশ্চয়ই দক্ষিণ ভারতে খুব জনপ্রিয় হবেন। মায়েদের খুব পছন্দ হবে ওঁকে। আর সর্বভারতীয় স্তরে ওঁকে মানাবে অভিজাত বিজ্ঞাপনে। যেমন ঘড়ি বা আফটার শেভ।

শিখর ধবন

ওই রকম একটা গোঁফ যাঁর, ওঁকে নিয়ে তো কোলনের বিজ্ঞাপন করানো যাবে না। ওই হ্যান্ডলবার গোঁফ দিয়ে বেশ মজা করা যায়। দুষ্টুমি করে ওঁকে দিয়ে ভায়াগ্রার বিজ্ঞাপন করালে হয়। যেখানে ওঁর গোঁফটা হবে একটা মেটাফর। গোঁফের ওঠানামা নিয়েই রসিকতা করা হবে বিজ্ঞাপনে। ‘রাফ অ্যান্ড রেডি’ একটা ইমেজ আছে ওঁর। ‘লম্বি দৌড় কা ঘোড়া’ হল শিখর। টায়ারের বিজ্ঞাপনের জন্য ফিট!

‘স্যার’ রবীন্দ্র জাডেজা

একটু লাজুক আর নম্র ইমেজ ওঁর। নরম পানীয় আর ফোনের বিজ্ঞাপনেও ভাল মানাবে ওঁকে।

বিরাট কোহলি

ওঁর ঔদ্ধত্যটাই ওঁর ব্র্যান্ডিং। ‘ককি’ একটা ব্যাপার আছে ওঁর মধ্যে। একেবারে রাহুল দ্রাবিড়ের বিপরীতধর্মী ইমেজ। ওই ইমেজ দিয়েই ওঁর ব্র্যান্ডিং রয়েছে। কিন্তু আমার ধারণা লোকে বসে আছে এটা দেখার জন্য যে ও কবে মুখ থুবড়ে পড়ে।



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.