জেরায় পর্যাপ্ত তথ্য মেলার পরে ৫ দিনের মাথায় সোমবার বিকেলে ফের সারদা কর্তা সুদীপ্ত সেন ও দেবযানী মুখোপাধ্যায়কে বালুরঘাট আদালতে হাজির করাল পুলিশ। অভিযুক্তদের পক্ষের আইনজীবী পিন্টু সরকার জামিনের আবেদন করেন। কিন্তু, মুখ্য বিচার বিভাগীয় ম্যাজিস্ট্রেট দীপালি শ্রীবাস্তব সিংহ সেই আর্জি খারিজ করে দেন। দুজনকেই জেল হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেন বিচারক।
সরকারি আইনজীবী দেবাশিস মজুমদার বলেন, “গত ২৬ জুন সুদীপ্ত সেন ও দেবযানী দেবীকে বালুরঘাট আদালতে হাজির করানো হয়। ১৪ দিনের জন্য তাঁদের পুলিশ হেফাজতে নেওয়ার অনুমতি দেয় আদালত। গত ৫ দিনে তদন্তের কাজ এগোনোয় তাঁদের এদিন আদালতে হাজির করানো হয়। বিচারক মামলার পরের শুনানির দিন ধার্য করেছেন আগামী ১০ জুলাই।” তার আগেই কলকাতার বিধাননগর আদালতে সুদীপ্তবাবু ও দেবযানী দেবীকে হাজির করানোর নির্দেশ দিয়েছে আদালত। সেই কারণে এদিন রাতে বালুরঘাট জেল থেকে তাঁদের বিধাননগর নিয়ে যাওয়ার কথা বলে পুলিশ সূত্রের খবর। |
দক্ষিণ দিনাজপুরের পুলিশ সুপার প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “আগামী বুধবার বিধাননগর আদালতে দুটি মামলায় চার্জ গঠন হবে।” পুলিশ সুপারের বক্তব্য, “ওই পাঁচ দিনের পুলিশি জেরায় বেশকিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়া গিয়েছে। কলকাতা থেকে বালুরঘাটের অর্থলগ্নির কারবার পরিচালনায় মূলে কারা জড়িত ছিলেন, তাঁদের কয়েকজনের নাম পাওয়া গিয়েছে। তা ছাড়া, জেলার ৪ জন বড় মাপের এজেন্টের হদিশ মিলেছে। তাঁদের ধরতে তল্লাশি শুরু হয়েছে।”
পুলিশ জানিয়েছে, রবিবার সকালে সুদীপ্ত ও দেবযানীকে হিলি থানার ত্রিমোহিনী এলাকায় নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে সারদার নামে অত্যাধুনিক নার্সিংহোম চালুর জন্য প্রায় ২৫ বিঘা জমি কেনা হয়েছিল। পুলিশ সুপারের দাবি, সারদার নামে ওই জমি কেনা হয়েছিল, তা সুদীপ্ত সেন স্বীকার করেছেন। ব্যবসা সংক্রান্ত কাজে সারদা কর্তা সুদীপ্ত গত দু’বছরে বালুরঘাটে ৪ বার এসেছিলেন বলে পুলিশকে জানিয়েছেন।
এদিন বিকেল ৩ টা নাগাদ তপন থানা থেকে সুদীপ্ত ও দেবযানীকে পুলিশ বালুরঘাট আদালতে হাজির করানো হয়। তাঁদের উপস্থিতির খবর চাউর হতে আদালত চত্বরে কৌতুহলী মানুষের ভিড় উপচে পড়ে। এদিন হলুদ গেঞ্জি ও কালো ফুলপ্যান্ট পড়েছিলেন সুদীপ্তবাবু। সারাক্ষণ আদালতে দুজনেই মাথা নিচু করে ছিলেন। দেবযানীর পরণে ছিল সবুজ চুড়িদার ও কালো ওড়না। আদালত ছেড়ে বের হওয়ার সময় সুদীপ্ত দুহাতে মুখ ঢেকে পুলিশের গাড়িতে ওঠেন। |