জয়গাঁর নির্মীয়মাণ প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রের চত্বরে বেআইনি ট্রাক পার্কিং রমরমিয়ে চলছে। ব্যবসায়ী, বাসিন্দার অভিযোগ, এক শ্রেণির অসাধু ব্যক্তি ট্রাক চালকদের কাছ থেকে টাকা নিয়ে হাসপাতল চত্বরে ট্রাক দাঁড় করানোর ব্যবস্থা করছেন। পুলিশ-প্রশাসনের নাকের ডগায় সব চললেও ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না। অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আকাশ মেঘারিয়া বলেন, “খোঁজ নিচ্ছি। ব্যবস্থা নেওয়া হবে।” |
এই সেই জমি।—নিজস্ব চিত্র।
|
স্বাস্থ্য দফতর ২০০৯-১০ সালে ভারত-ভুটান সীমান্ত শহর জয়গাঁয় বাসিন্দের জন্য ১০ শয্যার প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রটি তৈরির কাজ শুরু করে জলপাইগুড়ি জেলা পরিষদের মাধ্যমে। ভবনের কাজ শেষ হলেও বিদ্যুতের কাজ বাকি থাকায় স্বাস্থ্য কেন্দ্রটি চালু হয়নি। এই অবস্থায় কেন্দ্রটির সামনের ফাঁকা অংশে ওই ট্রাক পার্কিং ব্যবস্থা গড়ে উঠেছে বলে অভিযোগ। জেলা পরিষদ সভাধিপতি দীপ্তি দত্ত বলেন, “বেআইনি ট্রাক পার্কিং চলছে বলে খবর পেয়েছি। জয়গাঁ উন্নয়ন পর্ষদের বিষয়টি দেখা দরকার।” জয়গাঁ উন্নয়ন পর্ষদের চেয়ারম্যান মিহির গোস্বামী বলেন, “এটা স্বাস্থ্য দফতর ও পুলিশের দেখার কথা। উন্নয়ন পর্ষদের করার নেই। তবে শহরে একটি ট্রাক টার্মিনাস তৈরির চেষ্টা করছি।” স্থানীয় মানুষ জানান, গোপীমোহন ময়দান সংলগ্ন এলাকায় হচ্ছে স্বাস্থ্য কেন্দ্রটি। ভারত-ভুটান সীমান্ত শহর জয়গাঁ ফুন্টশেলিং মধ্যে যাতায়াতকারী পণ্যবাহী ট্রাক ঢুকিয়ে দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ। ট্রাক চালকেরা জানান, ওই এলাকায় ট্রাক রেখে বিশ্রাম নেওয়া হয়। স্নান থেকে রান্না সব চলে। বদলে স্থানীয় কিছু যুবক প্রতিদিনের হিসাবে ১০০-১৫০ টাকা করে নেন। কেউ যাতে আপত্তি না করে তা ওই যুবকেরাই দেখেন। স্থানীয়রা মন্তব্য করতে চাননি। ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারি রাজেশ চক্রবর্তী’র অভিযোগ, “বিষয়টি নিয়ে মাস খানেক আগে জয়গাঁ থানায় লিখিত অভিযোগ করেছি। তবে পুলিশ কোনও ব্যবস্থা নেয়নি।” স্বাস্থ্য আধিকারিকের কথা মানতে চাননি জয়গাঁর ওসি বিনোদ গজমির। তাঁর দাবি, “ট্রাক দাঁড় করানো নিয়ে অভিযোগ পাওয়ার পরে সেখানে ট্রাক রাখা বন্ধ করা হয়েছিল। ফের শুরু হলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
|