উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার ফলের পুনর্মূল্যায়ন ও স্ক্রুটিনিতে প্রায় ২৮ শতাংশ আবেদনকারীর নম্বর বদলে গিয়েছে। পুনর্মূল্যায়ন ও স্ক্রুটিনির জন্য স্কুল মারফত আবেদন জানানোর সঙ্গে সঙ্গে এ বছর অনলাইনেও আবেদন জানানোর ব্যবস্থা ছিল। এই ধরনের ২২ হাজার ২৭৪ আবেদনকারীর স্ক্রুটিনি ও পুনর্মূল্যায়নের ফল বেরিয়েছে শনিবার। উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদ সোমবার জানায়, আবেদনকারীদের মধ্যে ৬,১৮৭ জনের বা ২৭.৭৮ শতাংশের নম্বর বদলেছে। সংসদের এক আধিকারিক বলেন, “মোট ৫০ হাজার ২২৮টি পত্র পুনর্মূল্যায়ন ও স্ক্রুটিনির আবেদন জমা পড়েছিল। তার মধ্যে স্ক্রুটিনিতে নম্বর বেড়েছে ৩২২৫টি পত্রের, পুনর্মূল্যায়নে বেড়েছে ৩০৩৯টি পত্রের নম্বর। পুনর্মূল্যায়নে ৬৩৮টি পত্রের নম্বর কমে গিয়েছে।” স্ক্রুটিনিতে নম্বর কমে যাওয়ার অবকাশ নেই। ওই আধিকারিক জানান, অনলাইনে মোট ২২ হাজার ৮৯০ জন পুনর্মূল্যায়ন, স্ক্রুটিনির আবেদন জানিয়েছিলেন। তাঁদের মধ্যে ৬১৬ জনের ফল বিভিন্ন কারণে শনিবার প্রকাশ করা যায়নি। সপ্তাহখানেকের মধ্যে তা জানানো হবে। যে-সব পরীক্ষার্থী স্কুল মারফত পুনর্মূল্যায়ন ও স্ক্রুটিনির আবেদন জানিয়েছেন, তাঁদের ফল এ মাসের শেষে প্রকাশ করা যাবে বলে আশা করছে সংসদ।
|
জুনের মধ্যে করণিক ও গ্রন্থাগারিকের ১৬৯টি পদে তালিকাভুক্ত প্রার্থীদের চাকরি দেওয়ার কথা ছিল রাজ্যের মাদ্রাসা সার্ভিস কমিশনের। কিন্তু জুলাই শুরু হয়ে যাওয়া সত্ত্বেও এখনও তাঁদের কাউকেই নিয়োগপত্র দেওয়া হয়নি। সোমবার কলকাতা হাইকোর্টে এই নিয়ে মামলার শুনানিতে ক্ষোভ প্রকাশ করেন বিচারপতি দেবাশিস করগুপ্ত। তিনি জানিয়ে দেন, কমিশনকে শেষ বারের মতো সুযোগ দিচ্ছে হাইকোর্ট। ২২ জুলাইয়ের মধ্যে ওই প্রার্থীদের নিয়োগপত্র দিতে হবে। অন্যথায় আদালত ব্যবস্থা নেবে। দীর্ঘদিন তালিকাভুক্ত হয়ে থাকা সত্ত্বেও নিয়োগপত্র না-পেয়ে ১৬৯ জন প্রার্থী হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন। আবেদনকারীদের আইনজীবী সুব্রত মুখোপাধ্যায় জানান, লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষায় সফল হওয়ায় ওই প্রার্থীদের নাম ওঠে তালিকায়। কিন্তু দীর্ঘদিন কেটে যাওয়ার পরেও রাজ্য সরকার তাঁদের নিয়োগপত্র দেয়নি। শুনানিতে কমিশনের পক্ষে চেয়ারম্যান জানান, তাঁরা দু’মাস সময় চান। এ দিনও কমিশনের তরফে সময় চাওয়া হয়। বিচারপতি ২২ জুলাই পর্যন্ত সময় দেন। জানিয়ে দেন, আদালত আর সময় দেবে না। এর মধ্যে নিয়োগপত্র না-দিলে আদালত ব্যবস্থা নেবে। |