আপনাদের সংবাদ প্রতিবেদনের শিরোনামটি (‘প্রেসিডেন্সিকে তির কলকাতার উপাচার্যের’, ৩০-৬) বিভ্রান্তিকর। স্যর আশুতোষ মুখোপাধ্যায়ের একশো পঞ্চাশতম জন্মদিন পালনের অনুষ্ঠানে আমার বক্তব্যের একটি বিষয় ছিল এই যে, কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের মান উন্নয়ন ও পঠনপাঠনের ধারাবাহিকতা রক্ষা করার ক্ষেত্রে আমাদের স্থায়ী শিক্ষকদের গুরুত্বপূর্ণ অবদান ছিল এবং আছে। সংবাদের শিরোনাম ও উপস্থাপনে অন্য কোনও প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে তুলনা সম্পূর্ণ অমূলক ও অপ্রাসঙ্গিক বলে মনে করি।
সুরঞ্জন দাস। উপাচার্য, কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়
|
শিক্ষার অধিকার আইন ও রাজ্য সরকারি নির্দেশিকায় স্কুলে দৈহিক ও মানসিক শাস্তি নিষিদ্ধ। কিন্তু শত বোঝানোর পরও কিছু ছাত্রছাত্রী একই ভাবে পড়াশোনায় বিমুখ থাকলে ও উচ্ছৃঙ্খলতা চালিয়ে গেলে তখন উপায় কী? যাদের টিভি, মোবাইল, বিচ্ছুগিরি ও মেয়েদের টন্ট-টিজ করা ছাড়া অন্য কিছু ভাল লাগে না, তাদের বেশি বেশি পড়তে লিখতে দেওয়া বা ভিন্ন কাজে লাগানোর মতো বিকল্প সমাধান বাস্তবে কতটা কার্যকর? অভিভাবকও যদি সে-সব দুর্বিনীত সন্তান সামলাতে অসহায় হন, কিংবা স্কুলের সঙ্গে আদৌ সহযোগিতা না-করেন, তা হলে তো হয়েই গেল। তার উপর পরিচালন সমিতি, অভিভাবক সভা স্কুলের রেজাল্ট ও শৃঙ্খলার অবনতির দায়ে শিক্ষকশিক্ষিকাদের তীব্র আক্রমণের মুখে পড়তে হয়। শিক্ষক-শিক্ষিকাদের এই কোণঠাসা অবস্থার কথা কেউ কি ভেবেছেন? স্কুলে শাস্তির দরুন দুর্ঘটনা দুর্ভাগ্যজনক ও বেদনাদায়ক। তবুও কেন অভিভাবক সভায় অভিভাবকরা বলেন, লঘু মাত্রার শাস্তি থাকুক?
প্রণবকুমার মাটিয়া। সহশিক্ষক, দক্ষিণ মহেন্দ্রপুর এস বি হাইস্কুল, পাথরপ্রতিমা, দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা |