কোনও স্ট্যান্ডপোস্টে কল নেই, কোনও রির্জাভার থেকে আবার অনবরত জল পড়তেই থাকে। শুধু রাস্তায় নয়, বাড়িতেও নানা ভাবে চলছে জলের অপচয়। এমনই অভিযোগ শিলিগুড়ির পরিবেশ প্রেমীদের। জলের অপচয় বন্ধে সচেতনতা প্রসারের নানা অনুষ্ঠানের আয়োজন শুরু করেছে হিমালয়ান নেচার এন্ড অ্যাডভেনচার ফাউন্ডেশন (ন্যাফ)।
রবিবার সংগঠনের বার্ষিক মিলন উৎসবেও পানীয় জলের সংরক্ষণ নিয়ে আলোচনা করেন তাঁরা। সংগঠনের কচিকাঁচাদেরও এ দিন জল সংরক্ষণের প্রয়োজনীয়তা নিয়ে সচেতন করা হয়। সংগঠন সূত্রে জানানো হয়েছে, শিলিগুড়ি শহরে আবাসনের সংখ্যা দ্রুত হারে বাড়ছে। কমছে ভূগর্ভস্থ জলের পরিমাণ। তাই আগামী দিনে শিলিগুড়ি শহরে জল সংকটের আশঙ্কা করছে সংগঠন। ন্যাফের মুখপাত্র অনিমেষ বসু বলেন, “বর্তমান পরিস্থিতিতে জল সংরক্ষণ করা অত্যন্ত প্রয়োজন। তার জন্য নতুন প্রজন্মের সচেতনতা যেমন প্রয়োজন তেমনিই প্রশাসনকেও উদ্যোগী হতে হবে।”
জল সংরক্ষণে পুরসভার উদ্যোগও প্রয়োজন বলে সংগঠন থেকে জানানো হয়েছে। শিলিগুড়ির মেয়র গঙ্গোত্রী দত্তের উপস্থিতিতে অনিমেষবাবু বলেন, “প্রতিটি ভবনের পাশে ৪০ থেকে ৬০ শতাংশ পর্যন্ত ফাঁকা জায়গা রাখার নিয়ম রয়েছে। এগুলি যেন সঠিক ভাবে দেখা হয়।” গঙ্গোত্রী দেবীও বলেন, “সবকিছু খতিয়ে দেখেই বহুতল নির্মাণের অনুমতি দেওয়া হয়। তবে আরও নজরদারির প্রয়োজন। শহরে জলের সমস্যা রয়েছে। তার জন্য পুরসভার পাশাপাশি জলের অপচয় বন্ধ করতে সকলকেই এগিয়ে আসতে হবে।” বৃষ্টির জল ধরে রাখতে ফুলবাড়ি ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্টের কাছে দিঘি খনন করার পরিকল্পনা রয়েছে বলে মেয়র জানান। জল সংরক্ষণ নিয়ে পুরসভার তরফে একটি প্রবন্ধ প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হবে বলেও এদিনের অনুষ্ঠানে জানানো হয়েছে। |
