আর্থিক প্রতারণার অভিযোগে ধৃত ২ |
নিজস্ব সংবাদদাতা • দুর্গাপুর |
মাস দুয়েক ধরে বন্ধ একটি আর্থিক সংস্থার অফিস। তার আগে সাত মাস দু’হাজার টাকা করে জমা দিয়ে এসেছেন দুর্গাপুরের অম্বেডকর সরণির বাসিন্দা বিপদতারণ ঘোষ। রবিবার ওই অফিসের সামগ্রী একটি গাড়িতে গোপনে সরিয়ে নেওয়া হচ্ছে, এই অভিযোগে তিনি পুলিশ ডাকেন। পুলিশ গিয়ে গাড়ির চালক ও সংস্থার এক কর্মীকে আটক করে। বিপদতারণবাবুর অভিযোগের ভিত্তিতে সন্ধ্যায় তাদের ধরে পুলিশ। |
আটক করা হয়েছে আর্থিক সংস্থার এই গাড়িটি।—নিজস্ব চিত্র। |
পুলিশ জানিয়েছে, ওই বেসরকারি আর্থিক সংস্থাটি রেকারিং এবং রিয়েল এস্টেট খাতে বাজার থেকে টাকা তোলে। এক বছরের রেকারিং খাতে বিপদতারণবাবু ২০১২ সালের সেপ্টেম্বর থেকে এ বছরের এপ্রিল পর্যন্ত দু’হাজার টাকা করে জমা দিয়ে গিয়েছেন। তিনি অভিযোগ করেন, সারদা-কাণ্ডের পরে তিনি টাকা ফেরত চান। সংস্থার পক্ষ থেকে জানানো হয়, মেয়াদ না ফুরোলে টাকা ফেরত দেওয়া হবে না। এর পরেই হঠাৎ সংস্থার সিটি সেন্টারে সংস্থাটির অফিসে তালা পড়ে যায়। রবিবার তিনি জানতে পারেন, একটি গাড়িতে করে ওই অফিসের সামগ্রী চুপিসাড়ে সরিয়ে ফেলার তোড়জোড় চলছে। বিপদতারণবাবু থানায় খবর দেন। পুলিশ গাড়ির চালক যোগিন্দর প্রসাদ এবং সুব্রত পাল নামে এক ব্যক্তিকে আটক করে। পুলিশের প্রাথমিক অনুমান, দ্বিতীয় ব্যক্তি সংস্থার কর্মী। গাড়িটিও থানায় নিয়ে যায় পুলিশ। সন্ধ্যায় বিপদতারণবাবু পুলিশের কাছে লিখিত অভিযোগ করেন। তিনি বলেন, “আমি গরিব মানুষ। কোনও রকমে সংসার চলে। এককালীন মোটা টাকার লোভে রেকারিং চালু করেছিলাম। কিন্তু এ ভাবে ডুবতে হবে বুঝতে পারিনি!” পুলিশ জানায়, ধৃতদের জেরা করে ওই সংস্থার কাজের পরিধি, কত আমানতকারী সেখানে লগ্নি করেছিলেন, সংস্থার মালিক কে, জানার চেষ্টা হবে। একই নামে কাঁকসা থানার বামুনাড়া গ্রামে একটি পানীয় জল প্রস্তুতকারক সংস্থার কারখানা রয়েছে। তার সঙ্গে এই সংস্থাটির যোগ রয়েছে কি না, তাখতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানায় পুলিশ।
|