শাসনে তাঁদের উপরে হামলার ঘটনায় রাজ্যের খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক এবং বসিরহাটের তৃণমূল সাংসদ নুরুল ইসলামের বিরুদ্ধে পুলিশে অভিযোগ দায়ের করলেন সিপিএম নেত্রী রেখা গোস্বামী।
সম্প্রতি একের পর এক মামলায় সিপিএমের রাজ্য নেতাদের নিয়ে টানাটানি হয়েছে। জমি নিয়ে তদন্তে প্রাক্তন আবাসন মন্ত্রী গৌতম দেবকে জেরা করেছে সিআইডি। খুনের মামলায় জড়িয়ে গিয়েছে দলের দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা সম্পাদক সুজন চক্রবর্তীর নাম। বসিরহাটের সাংসদের দাবি, “যেহেতু সুজন চক্রবর্তীর নামে এফআইআর হয়েছে, প্রতিহিংসাবশত ওরা আমাদের নামে অভিযোগ করেছে।”
মজিদ মাস্টারের স্ত্রী আসফ নুর বেগমের হয়ে প্রচারে গিয়ে শাসনে ঢুকতেই বৃহস্পতিবার আক্রমণের মুখে পড়েন বাম মহিলা সংগঠনের নেত্রীরা। রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী রেখা গোস্বামী, প্রাক্তন ক্রীড়ামন্ত্রী সুভাষ চক্রবর্তীর স্ত্রী রমলা চক্রবর্তী-সহ বেশ কয়েক জনকে মারধর করা হয়। শনিবার বারাসত থানায় রেখাদেবী অভিযোগ করেন, হাবরার তৃণমূল বিধায়ক তথা মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক এবং বসিরহাটের সাংসদের প্ররোচনায় তৃণমূলের ‘পুরুষ গুন্ডা’রা তাঁদের মহিলাদের উপরে নির্বিচারে হামলা চালান। জেলা পরিষদের সিপিএম প্রার্থী আসফ নুর বেগমও এ দিন একই মর্মে পৃথক মামলা দায়ের করেছেন।
সিপিএমকে কাছাখোলা আক্রমণ করায় তৃণমূলের যে ক’জন নেতা প্রথম সারিতে রয়েছেন, জ্যোতিপ্রিয়বাবু তাঁদের অন্যতম। রেখাদেবীর বক্তব্য, “কিছু দিন আগে জ্যোতিপ্রিয়বাবুরা প্রকাশ্যে বারবার হুমকি দিচ্ছিলেন, শাসনে সিপিএম প্রচার করতে গেলে সবাই আঁশবঁটি নিয়ে তৈরি। পিটিয়ে মারা হবে। আমাদের প্রার্থী এত দিন কোনও প্রচার করতে পারছিলেন না।” সেই কারণেই বৃহস্পতিবার সমস্ত মহিলা কর্মীরা একযোগে প্রচারে যান জানিয়ে তাঁর অভিযোগ, “সেই সময়ে জ্যোতিপ্রিয়, নুরুলের গুন্ডারা আমাদের উপরে হামলা করে। ওই দুই নেতার নাম করে তারা বলছিল ‘এদের পিটিয়ে মার’।”
নুরুল ইসলামের দাবি, “ঘটনার দিন বাইরে ছিলাম।” তাঁর হুঁশিয়ারি, “আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণ করতে না পারলে মানহানির মামলা করব।” জ্যোতিপ্রিয়বাবুর ব্যাখ্যা, “রেখা গোস্বামীরা প্রচুর আগ্নেয়াস্ত্র ও সমাজবিরোধী নিয়ে সেখানে গিয়েছিলেন। তখন হাবরায় সভা করছিলাম। এলাকার সাধারণ মানুষই প্রতিরোধ করেছেন। এই ঘটনার সঙ্গে তৃণমূলের কোনও যোগ নেই।” |