“ঘরে স্ত্রী-পুত্র-কন্যা খেতে পাচ্ছে না। সংবাদপত্র আক্রান্ত হচ্ছে। এই পরিবর্তন এনেছেন আপনারা?” শনিবার দক্ষিণ ২৪ পরগনার মগরাহাটে সিপিএমের নির্বাচনী জনসভায় এ ভাবেই তৃণমূলকে বিঁধলেন ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী মানিক সরকার। সভায় ছিলেন সিপিএমের জেলা সম্পাদক সুজন চক্রবর্তী, রেজ্জাক মোল্লা, সুভাষ নস্কর। মানিকবাবু বলেন, “পশ্চিমবঙ্গের যা পরিস্থিতি, গ্রামের কোন মানুষ কোথায় বাস করবে তা ঠিক করবে একটা রাজনৈতিক দল। মা-বোনেদের ইজ্জত লুঠ করে প্রমাণ লোপাট করে দিচ্ছে। কৃষক নায্য দাম না পেয়ে আত্মহত্যা করছে। সরকার দেখেও কিছু করছে না। পঞ্চায়েত ভোটে এই প্রথম এ বাইরে থেকে পুলিশ এনে ভোট করাতে হচ্ছে। এরই নাম পরিবর্তন।”
|
শুক্রবার রাতে ঘটকপুকুরের মারিয়া গ্রাম থেকে ভাঙড়-১ পঞ্চায়েত সমিতির সিপিএম প্রার্থী সইফুদ্দিন মোল্লা ওরফে সান্টুকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। দক্ষিণ ২৪ পরগনার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (পশ্চিম) কঙ্করপ্রসাদ বারুই বলেন, “সইফুদ্দিন মোল্লার বিরুদ্ধে একাধিক অপরাধমূলক কাজের অভিযোগ রয়েছে। তাঁর বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা ছিল।”
|
প্রতারণা সংক্রান্ত একটি মামলায় জামিন পেলেন সারদা কাণ্ডের অন্যতম অভিযুক্ত দেবযানী মুখোপাধ্যায়। শনিবার বারুইপুর আদালতে সেই মামলার শুনানি হয়। জামিনের আবেদন করেন অভিযুক্তের আইনজীবীরা। সরকার পক্ষ বিরোধিতা করলেও ১০ হাজার টাকার বন্ডে জামিন মঞ্জুর করা হয়। তবে দেবযানীর বিরুদ্ধে একাধিক মামলা চলছে। এখনই তিনি জেলের বাইরে যেতে পারছেন না। ২২ এপ্রিল প্রায় ৩০০ জন আমানতকারী সারদা কর্তা সুদীপ্ত সেন, দেবযানী মুখোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতারণার অভিযোগ করেন। তার ভিত্তিতে বারুইপুর থানার পুলিশ দেবযানী-সহ মোট ৭ জনকে ধরে। অভিযুক্তের আইনজীবীদের বক্তব্য, এই মামলায় পুলিশ চার্জশিট দিলেও তাঁদের মক্কেলকে দেওয়া হয়নি। সরকারি আইনজীবী জানান, সারদা কাণ্ডে অন্য একটি মামলায় দেবযানী বালুরঘাটে থাকায় চার্জশিট দেওয়া যায়নি। দু’পক্ষের সওয়াল জবাবের পরে জামিনের আবেদন মঞ্জুর করেন বিচারক। |