|
|
|
|
ভয় ভুলে মিছিলে টুম্পারা, পাল্টা প্রশ্ন তুলল তৃণমূল |
অনুপ চট্টোপাধ্যায় ও সাবেরী প্রামাণিক • কলকাতা |
মুখ্যমন্ত্রী তাঁদের সিপিএম বলেছেন। শুক্রবার রাজ্যের গোয়েন্দা শাখাও (আইবি) তেমনই রিপোর্ট দিয়েছে। কিন্তু কামদুনি গ্রাম পঞ্চায়েতে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জিতে যাওয়া তৃণমূল প্রার্থী নীলিমা নস্করকে পাশে বসিয়ে তাঁর স্বামী সুশান্ত শনিবার বললেন, “টুম্পা, মৌসুমীরা সিপিএম করে বলে কখনও শুনিনি। আমাদের গ্রামে এখন কোনও রাজনীতি নেই। সবাই মিলেই আমার বউকে প্রার্থী করেছে।” যদিও এ দিনই সিপিএম ঘনিষ্ঠ শিক্ষক সংগঠনগুলির ডাকা মিছিলে কামদুনিবাসীদের যোগ দেওয়া নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন তৃণমূল শীর্ষ নেতৃত্ব।
শুক্রবার মহাকরণে জমা পড়া আইবি রিপোর্টে বলা হয়েছে, ১৭ জুন মুখ্যমন্ত্রীকে যাঁরা বিক্ষোভ দেখান, তাঁদের মধ্যে সামনের সারিতে থাকা মহিলাদের কিছু আত্মীয় সিপিএমের সঙ্গে জড়িত। কামদুনি ও তার আশপাশের বাসিন্দা যে ছ’জন মহিলাকে চিহ্নিত করেছে আইবি তাঁরা হলেন টুম্পা কয়াল, মৌসুমী কয়াল, মিতা কয়াল, সুচিত্রা মণ্ডল, জবা হাজরা ও অপর্ণা।
কিন্তু গ্রামের মেয়ের ধর্ষণ ও মৃত্যুর ঘটনার প্রতিবাদের সঙ্গে রাজনীতির কোনও যোগ নেই বলেই গোড়া থেকে দাবি করে আসছে কামদুনি। গ্রামের এক বয়স্ক মহিলার কথায়, “কোনও দল নয় বাবা, আমরা গোটা গ্রামটাই এককাট্টা। ওই একরত্তি মেয়েটাকে ধর্ষণ করে খুন করল বদমায়েশরা। এর পরও রাজনীতি!” |
|
তখনও ঘরেই। শনিবার কামদুনিতে টুম্পা (বাঁ দিকে) ও মৌসুমী জানলায়
বসে দেখছেন তাঁদের সমর্থনে মিছিল। ছবি: দেবস্মিতা চক্রবর্তী |
শনিবার বিকেলে নিখিলবঙ্গ শিক্ষক সমিতি (এবিটিএ), নিখিলবঙ্গ প্রাথমিক শিক্ষক সমিতি (এবিপিটিএ)-সহ ১২টি শিক্ষক সংগঠন কামদুনিতে মিছিল করে। কামদুনি কাণ্ডের প্রতিবাদের পাশাপাশি অবৈতনিক প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক প্রদীপ মুখোপাধ্যায়কে করা শো-কজ প্রত্যাহারের দাবি ওঠে মিছিল থেকে। আইবি রিপোর্টে নাম থাকায় এ দিন খানিকটা কুঁকড়ে ছিলেন টুম্পা, মৌসুমীরা। বিকেল চারটে নাগাদ কামদুনি মোড় থেকে শুরু হওয়া মিছিল যখন গ্রামের কয়ালপাড়ায় ঢুকছে, তখন এক প্রতিবেশীর বাড়িতে বসে জানলা ফাঁক করে দেখছিলেন তাঁরা। টুম্পার মা মলিনাদেবী ও স্থানীয় কয়েক জন বাসিন্দা তাঁদের বলেন, “তোদের সমর্থনে এত বড় মিছিল হচ্ছে, আর তোরাই যদি সামনে না-আসিস, সেটা কি ভাল দেখায়?” সকলের ডাকাডাকিতে কিছু ক্ষণ পর বেরোন টুম্পা ও মৌসুমী।
আসলে বারাসত, মধ্যমগ্রাম, সোদপুর, খড়দহ থেকে মিছিলে আসা হাজারখানেক শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মীরা প্রত্যেকেই ওই দু’জনকে দেখতে চাইছিলেন। মিছিল শেষে একটি ম্যাটাডরের উপরে সভা হয়। সেখানে ওঠানো হয় মৌসুমী ও টুম্পাকেও। তত ক্ষণে কিছুটা সাহস ফিরে পাওয়া টুম্পা বলেন, “শুধু নিহত ছাত্রীর পরিবারই নয়, গোটা গাঁয়ের মানুষই আমাদের পাশে আছে। তাই, কোনও ভয় নেই।” তখন মৌসুমীও বলেন, “আমাদের মাওবাদী, সিপিএম বদনাম ঘোচাতে প্রয়োজনে রাষ্ট্রপতির কাছে দরবার করব। বলব, তদন্ত করে দেখা হোক, আমরা মাওবাদী না সিপিএম। আইবি ভুল তদন্ত করেছে।” |
|
তৃণমূল প্রার্থী নীলিমা নস্কর। স্বামী প্রশান্ত বলেছেন কামদুনিতে কোনও রাজনীতি নেই। —নিজস্ব চিত্র |
কিন্তু সিপিএম প্রভাবিত শিক্ষক সংগঠনের মিছিলে টুম্পা-মৌসুমীদের যোগ দেওয়া নিয়েই প্রশ্ন তুলেছে তৃণমূল। দিন কয়েক আগে কামদুনিতে মিছিল করেছিল তৃণমূলের মহিলা সংগঠন। রাজনীতির ছোঁয়া এবং বহিরাগতরা রয়েছেন, এই যুক্তিতে সেই মিছিল এড়িয়ে গিয়েছিলেন কামদুমির বাসিন্দারা। তৃণমূল নেতাদের প্রশ্ন, তা হলে এ দিন বহিরাগত সিপিএমের শিক্ষক নেতাদের সঙ্গে তাঁরা পা মেলালেন কেন? তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক মুকুল রায় বলেন, “আমরা প্রথম থেকেই বলছি যে, সিপিএম এবং মাওবাদীদের সঙ্গে ওদের যোগ আছে। ওই গ্রামে তো সবাই তৃণমূলের লোক নয়। সিপিএমের লোকও আছে। তারা যে রাজনীতি করার জন্যই এ সব করছে, এ দিনের ঘটনায় তা প্রমাণিত হয়ে গেল।”
রাজনৈতিক উদ্দেশ্য নিয়েই ১৭ জুন পরিকল্পিত ভাবে মুখ্যমন্ত্রীর সামনে বিক্ষোভ দেখানো হয়েছিল বলে যে অভিযোগ তৃণমূল করেছে, তা অবশ্য এ দিনও জোর গলায় অস্বীকার করেছে কামদুনি। মৌসুমী বলেন, “সে দিন মুখ্যমন্ত্রীর আসার কথা গোড়ায় আমরা জানতামই না। উনি পৌঁছনোর দশ মিনিট আগে জানতে পেরে নিজেদের দাবি জানাতে, অসুবিধের কথা বলতে ছুটে গিয়েছিলাম। কোনও রাজনীতিতে জড়াতে চাই না। অথচ কখনও আমাদের মাওবাদী, কখনও সিপিএম বলে দাগিয়ে দেওয়া হচ্ছে।”
আর আইবি রিপোর্টে নাম থাকা সুচিত্রা মণ্ডলের স্বামী সনৎবাবুর কথায়, “আমার বউ সিপিএম করে, আমি জানলাম না অথচ আইবি জেনে গেল! কই, পুলিশ তো আমাদের বাড়িতে আসেনি।” নিহত ছাত্রীর দাদাও এ দিন বলেন, “ফরেন্সিক রিপোর্টের সঙ্গে চার্জশিট দেওয়া, দ্রুত দোষীদের সর্বোচ্চ সাজার ব্যবস্থা করা এই সব আসল বিষয়ে নজর দেওয়ার বদলে গ্রামবাসীদের মাওবাদী, সিপিএম তকমা দিয়ে মানুষের দৃষ্টি অন্য দিকে ঘোরানোর চেষ্টা চলছে। এটা দুঃখজনক। গ্রামবাসীদের অযথা হয়রানি করার কোনও অর্থ হয় না।”
আইবি রিপোর্ট নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন স্থানীয় তৃণমূল নেতারাও। কামদুনি যে গ্রাম পঞ্চায়েতের অন্তর্গত, সেই কীর্তিপুর-২ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের এক তৃণমূল নেতা বলেন, “আইবি রিপোর্ট কতটা ঠিক, তা নিয়ে সন্দেহ আছে। কারণ, যে-ছ’জন মহিলার কথা রিপোর্টে বলা হয়েছে, তাঁদের মধ্যে জবা হাজরা ও অপর্ণা নামে কাউকে আমরা চিনতে পারছি না।” রিপোর্টে অপর্ণার পদবি উল্লেখ নেই আর কামদুনিবাসীর দাবি, জবা হাজরা নামে কেউ সেখানে থাকেন না। এই প্রসঙ্গে আইবি-র ইনস্পেক্টর জেনারেল ওমপ্রকাশ গুপ্তর বক্তব্য, “সোমবার ফের ওই রিপোর্ট না-দেখে আমি কোনও মন্তব্য করব না।” বিরোধী দলনেতা সূর্যকান্ত মিশ্রর অভিযোগ, “আসলে সবাই ওঁর (মুখ্যমন্ত্রী) চোখ দিয়ে দেখছে। পুলিশ, সিআইডি, আইবি সবাই দেখছে।” তবে কি মুখ্যমন্ত্রীর মন্তব্যে প্রভাবিত হয়েই আইবি ওই ছয় মহিলার সঙ্গে সিপিএমের সম্পর্ক খুঁজে পেল? আইজি বলেন, “আমরা তদন্ত করে যা পেয়েছি, রিপোর্টে সেই তথ্যই উল্লেখ করা হয়েছে। কোনও তথ্য বিকৃত করা হয়নি।” আর মুকুল রায়ের প্রতিক্রিয়া, “বামফ্রন্ট সরকার চলতো আলিমুদ্দিন থেকে। এই সরকার চলে মহাকরণ থেকে। দলের দফতর থেকে নয়। সিপিএম নিজেদের সঙ্গে অন্যদের গুলিয়ে ফেলছে।”
কিন্তু তর্কের খাতিরে টুম্পা-মৌসুমীদের সিপিএমের সমর্থক বলে ধরে নিলেও তাঁরা মুখ্যমন্ত্রীকে ক্ষোভের কথা জানাতে পারবেন না কেন, এই প্রশ্ন তুলেছেন রাজ্যের বিশিষ্ট জনেদের একাংশ। অভিনেত্রী ও চিত্র পরিচালক অপর্ণা সেনের কথায়, “মুখ্যমন্ত্রী গোটা পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী। সিপিএম সমর্থক হওয়ার জন্য কেউ তাঁকে অভিযোগ জানাতে পারবে না, এটা তো হতে পারে না। তা হলে তো সেই আগের আমলের ‘আমরা-ওরা’-র ব্যাপারটাই ফিরে এলো!” নাট্যকর্মী বিভাস চক্রবর্তী বলেন, “ওই মহিলারা যদি সিপিএম হন, তা হলেও তো তাঁদের মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলার অধিকার রয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী তো তাঁদেরও মুখ্যমন্ত্রী।” সাহিত্যিক শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায়ের বক্তব্য, “প্রতিবাদ করার অধিকার যে কোনও রাজনৈতিক দলের সমর্থকের, যে কোনও মানুষেরই রয়েছে। সিপিএম বলে এই ভাবে কাউকে দাগিয়ে দেওয়াটা ঠিক নয়।” সাহিত্যিক অমিত চৌধুরীও এক মত, “সিপিএম একটি স্বীকৃত রাজনৈতিক দল। সিপিএম সমর্থক হলে কারও কথা বলার অধিকার থাকবে না, এমন ধারণা নিয়ে চলাটা অন্যায়।”
এ প্রসঙ্গে মুকুল রায়ের বক্তব্য, “কথা তো সকলেই বলতে পারেন। মুখ্যমন্ত্রী নিজেই সাধারণ মানুষের সঙ্গে কথা বলেন। কিন্তু কথা বলা আর রাজনৈতিক উদ্দেশ্য নিয়ে অশান্তি বাধানোর চেষ্টা করা, দু’টো আলাদা জিনিস।” |
প্রশাসনের শক্ত হওয়াটা জরুরি |
প্রশ্ন: পশ্চিমবঙ্গে একের পর এক ধর্ষণের ঘটনা ঘটছে। মহিলারা এ রাজ্যে কতটা নিরাপদ? |
প্রধান বিচারপতি: বড্ড কঠিন প্রশ্ন। দিল্লিতে গত ১৬ ডিসেম্বর যেটা ঘটল, তাকে আমরা প্রত্যেকেই নিন্দা করেছি। কিন্তু নিন্দা করলেই তো শুধু হবে না, এটা নিয়ে ইতিবাচক একটা সমাধানে আসতে হবে। তখন শীতের ছুটিতে সুপ্রিম কোর্ট বন্ধ হয়ে গেল। যে দিন কোর্ট খুলল, সে দিনই আমরা সাকেতে (দক্ষিণ দিল্লির একটি অঞ্চল) একটি ফাস্ট ট্র্যাক কোর্ট উদ্বোধন করি। শুধু ধর্ষণ নয়, মহিলাদের উপর সব রকম নির্যাতন ও হিংসার ঘটনার বিচার দ্রুত করতেই ফাস্ট ট্র্যাক কোর্ট। সব রাজ্যকেই এই ধরনের কোর্ট গঠনের অনুরোধ করা হয়। কারণ, অতীতে এই ধরনের কোর্টে দ্রুত বিচার পাওয়া গিয়েছে।... মূল বিষয়টা হল, মানুষের, বিশেষত মহিলাদের এটা আশ্বস্ত করা যে, এই ধরনের অপরাধের বিচার ফাস্ট ট্র্যাক ভিত্তিতে হবে এবং দ্রুত এই ধরনের কেসের সমাধান হবে। প্রতিটি রাজ্যে নতুন করে ফাস্ট ট্র্যাক কোর্ট হচ্ছে।...
এ রাজ্যে যে ঘটনা ঘটেছে বা ঘটছে, যত ক্ষণ পর্যন্ত প্রশাসন এটাকে শক্ত হাতে না-ধরছে, তত ক্ষণ তো কিছু করা সম্ভব নয়। কারণ প্রশাসন ও তদন্ত দু’টোই সরকারের হাতে। সেখানে আদালত খুব একটা নাক গলাতে পারে না। আদালত শুধু বলে তদন্ত যাতে ঠিকমতো হয় এবং এরা না-পারলে ওদেরকে দিয়ে করাও।... যাতে ঠিকমতো তদন্ত তাড়াতাড়ি ও অবাধ হয়, ভাঁওতাবাজি যাতে না-হয়। এটা খুব দরকার। কত কেস নষ্ট হয়ে গিয়েছে যে হেতু ঠিক মতো তদন্ত হয়নি, ঠিকমতো সাক্ষী-বয়ান পাওয়া যায়নি। সাক্ষী না-হলে কিছু হবে না। ক্রিমিন্যাল কেস মানেই হচ্ছে তাই।... যদি সাক্ষী না-থাকে বা সাক্ষীকে অন্য ভাবে ‘ট্যাপ’ করা যায়, তখন তো ‘কনসেপ্ট অফ ক্রিমিন্যাল জাস্টিস’ শেষ হয়ে আসে। |
প্রশ্ন: পশ্চিমবঙ্গের ক্ষেত্রে কী দেখছেন? পার্ক স্ট্রিটের পর থেকে একের পর এক এই ধরনের ঘটনা বেড়েই চলেছে। |
প্রধান বিচারপতি: সত্যি কথা বলতে, এমন একটা পরিস্থিতি যেখানে কিছু বলতে গেলে নানা রকম অন্য ধরনের কথাবার্তা উঠতে পারে। আমি যেটুকু বলতে পারি সেটা হল এই যে, পার্ক স্ট্রিটের ঘটনা যেটা হয়েছে সেটা যদি সঠিক ভাবে তদন্ত হয়ে গিয়ে থাকে, শাস্তি যার পাওয়ার সে পাবে। |
প্রশ্ন: আর কামদুনি? |
প্রধান বিচারপতি: (হালকা হেসে) সত্যি কথা বলতে, সবই তো একটা রাজনৈতিক ব্যাপার হয়ে যাচ্ছে। সুতরাং এটা নিয়ে আমাদের পক্ষে না বলাটাই ভাল। তাই না? |
প্রশ্ন: পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য ক্ষতিপূরণ দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছিলেন। সেটাকে কী ভাবে দেখছেন? |
প্রধান বিচারপতি: সেটাও সরকারের ব্যাপার। সরকার যদি দিতে চায় দেবে। কোনও ঘটনা ঘটলে একে দু’লক্ষ, ওকে দেড় লক্ষ টাকা দেওয়া এটা তো হয়ই। সেটা ইচ্ছা করলেই দিতে পারে। এটা প্রশাসনের উপর নির্ভর করে। আমাদের কিছু বলার নেই। তবে যত ক্ষণ পর্যন্ত কোনও প্রমাণ না-হচ্ছে, তত ক্ষণ আমরা কোনও জরিমানা করতে পারি না, ক্ষতিপূরণও দিতে পারি না। |
প্রশ্ন: এটা কি সদর্থক পদক্ষেপ? |
প্রধান বিচারপতি: এটা ঠিক আমার বলা উচিত হবে না। কারণ, কে কী উদ্দেশ্য নিয়ে এটা করছে সেটা যেমন বলা ঠিক নয়, তেমন প্রশাসনের হাতে এই ক্ষমতাটা আছে। |
প্রশ্ন: ধর্ষণের শাস্তি হিসেবে মৃত্যুদণ্ডের দাবি উঠছে। কিন্তু মৃত্যুদণ্ড হলে কি ধর্ষণের পরে খুন করার প্রবণতা বাড়বে না? |
প্রধান বিচারপতি: না, না। যদি পরিচিত কেউ থাকে তা হলে দ্বিতীয় ব্যাপারটি ঘটেই থাকে। যাতে কোনও সাক্ষ্যপ্রমাণ না-থাকে। এই জিনিসটা কতটা কী হবে বলা মুশকিল। কিন্তু এই ধরনের প্রতিরোধক পরিস্থিতি যদি থাকে, তা হলে আমার মনে হয় অবশ্যই বিষয়গুলি কিছুটা নিয়ন্ত্রিত হবে। |
প্রশ্ন: তা হলে কি মৃত্যুদণ্ড থাকা উচিত? |
প্রধান বিচারপতি: এখন আমরা সেটাও বলব না। এটা আপাতত বিচারাধীন ব্যাপার। বলা ঠিক নয়। |
শনিবার সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে প্রধান বিচারপতি আলতামাস কবীর |
|
পুরনো খবর: টুম্পা-মৌসুমীদের সিপিএম-যোগ পেল আইবি-ও |
|
|
|
|
|