পঞ্চায়েত ভোট ঘিরে রাজনৈতিক সংঘর্ষ থামার লক্ষণ নেই। উত্তর হোক বা দক্ষিণবঙ্গ, শাসক দল হোক বা বিরোধীমারপিটে জড়াচ্ছে সব পক্ষের নামই।
শুক্রবার রাতে তৃণমূল এবং সিপিএমের মধ্যে দু’টি সংঘর্ষ হয়েছে উত্তর ২৪ পরগনার হিঙ্গলগঞ্জে। সন্ধ্যায় স্থানীয় কালীতলাবাজারে ছিল তৃণমূলের সভা। তৃণমূলের অভিযোগ, সভায় যাওয়ার পথে সামশেরনগরের কাছে সিপিএমের হামলায় তাদের আট জন আহত। সিপিএমের দাবি, তৃণমূলের মিছিল থেকেই হামলা করা হয়। আহত তাদের দুই কর্মী। হিঙ্গলগঞ্জের সাহেবখালিতে ওই দিনই তৃণমূলের আর একটি সভা থেকে ফেরার পথে রমাপুর গ্রামে তৃণমূল কর্মীদের সঙ্গে সংঘর্ষ বাধে সিপিএমের লোকজনের। দু’পক্ষের ন’জন হাসপাতালে। হিঙ্গলগঞ্জ পঞ্চায়েত সমিতির তৃণমূল সভাপতি আবু বক্কর গাজির অভিযোগ, “বিনা প্ররোচনায় হামলা করেছে সিপিএম।” সিপিএমের অভিযোগ, তৃণমূলই হামলা করেছিল। মানুষ প্রতিবাদ করেছেন।
শুক্রবার রাতে একটি সভা থেকে ফেরার পথে সিউড়ির কুখুডিহি গ্রামে এক সিপিএম কর্মীকে ছুরি মারার অভিযোগ উঠেছে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। শেখ কুদ্দুস নামে ওই ব্যক্তি সিউড়ি হাসপাতালে ভর্তি। তৃণমূলের সিউড়ি ১ ব্লক সভাপতি স্বর্ণশঙ্কর সিংহ বলেন, “তৃণমূলকে দোষারোপ বিরোধীদের অভ্যাসে দাঁড়িয়েছে।” বীরভূমে কংগ্রেস-তৃণমূলের সংঘর্ষ হয় শনিবার দুপুরে মুরারইয়ের বর্ষাপুকুর গ্রামে। খায়েরজান শেখ নামে এক তৃণমূল কর্মীর কানে ধারালো অস্ত্রের চোট লাগে। শুক্রবার রাতে পূর্ব মেদিনীপুরে কোলাঘাটের যদুপুর গ্রামে কংগ্রেসের সভায় হামলার অভিযোগ উঠেছে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। চার জন আহত। অভিযোগ উড়িয়েছে তৃণমূল । শনিবার পশ্চিম মেদিনীপুরে কেশিয়াড়ির বাঘাস্তি গ্রামে সিপিএম নেতা সিদ্ধার্থশঙ্কর পণ্ডার বাড়িতে তৃণমূল হামলা চালায় বলে অভিযোগ। অভিযোগ মানেনি তারা।
শুক্রবার রাতে উত্তরবঙ্গে দিনহাটার কালমাটিতে মিছিল করছিলেন ফব কর্মীরা। পথে মিছিলে ঢিল ছোড়ার অভিযোগকে ঘিরে তৃণমূল সমর্থকদের সঙ্গে তাঁদের মারপিট বাধে। পুলিশ আট জনকে গ্রেফতার করে। |