জনবহুল এলাকায় ফ্ল্যাটে ঢুকে কয়েক লক্ষ টাকা মূল্যের সোনার গয়না লুঠ করে চম্পট দিল দুই দুষ্কৃতী। শনিবার বিকেলে বেনিয়াপুকুর থানা এলাকায় এই ঘটনা ঘটে। তদন্তে নেমে রাত পর্যন্ত বিশেষ কোনও সূত্র পায়নি পুলিশ। কলকাতা পুলিশের যুগ্ম কমিশনার (অপরাধ দমন) পল্লবকান্তি ঘোষ বলেন, “এই ঘটনায় পরিচিত কারও হাত থাকার সম্ভাবনা উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না।” |
ডাকাতির পরে ফ্ল্যাটে পুলিশি তদন্ত। শনিবার সন্ধ্যায়।—নিজস্ব চিত্র। |
ঠিক কী ঘটেছে? পুলিশ জানায়, ৫৪ নম্বর শেক্সপিয়র সরণিতে চারতলা একটি ফ্ল্যাটবাড়ির দোতলার ফ্ল্যাটে স্ত্রী-মেয়েকে নিয়ে থাকেন মনসুর সফি। তিনি হরিরাম গোয়েন্কা স্ট্রিটে একটি সোনার দোকানে চাকরি করেন। এ দিন সকালে তিনি কাজে চলে যান। মেয়ে দুপুরে পড়তে গিয়েছিল। মনসুর জানান, বিকেল সাড়ে তিনটে নাগাদ তাঁর স্ত্রী রুবিনা মনসুর কলিং বেলের শব্দ পান। দরজা খুলতেই কাপড়ে মুখ ঢাকা দুই যুবক ঘরে ঢুকে পড়ে। অভিযোগ, দুষ্কৃতীরা ছুরি দেখিয়ে রুবিনাকে ধাক্কা মেরে একটি ঘরে ঢুকিয়ে দেয়। তার পরে শোয়ার ঘরের আলমারি খুলে সোনার গয়না ভর্তি বাক্স হাতিয়ে নিয়ে চম্পট দেয় তারা।
মনসুর জানান, স্ত্রীর ফোন পেয়ে তিনি সঙ্গে সঙ্গে থানায় খবর দেন। বাড়ি ফিরে দেখেন, যে আলমারিতে তাঁর পরিবারের সব গয়না ছিল, সেই আলমারিতে চাবি ঝুলছে। চাবি দিয়ে আলমারি খুলেই দুষ্কৃতীরা গয়না হাতিয়ে নিয়ে গিয়েছে। মনসুর এ দিন বলেন, “স্ত্রী যে ঘরে দুপুরে বিশ্রাম নেন, সেই ঘরে পাশাপাশি দু’টি আলমারি রয়েছে। কোন আলমারিতে গয়না রয়েছে, তা দুষ্কৃতীরা কী করে জানতে পারল, সেটাই বুঝতে পারছি না।”
এ দিন সন্ধ্যায় মনসুরের ফ্ল্যাটে গিয়ে দেখা যায়, বেনিয়াপুকুর থানার পাশাপাশি লালবাজারের গোয়েন্দারাও হাজির। মনসুর যে দোকানে কাজ করেন, তার মালিক বাবলু সোনিও খবর পেয়ে এসেছেন। ঘরে আতঙ্কিত রুবিনা। এসেছেন তাঁর আত্মীয়েরাও।
এলাকাবাসীর অভিযোগ, ওই পাড়ায় নিরাপত্তার অভাব রয়েছে। প্রয়োজনীয় টহলদারিও নেই। যদিও পুলিশকর্তারা অভিযোগ মানতে চাননি। পুলিশ জানায়, দুষ্কৃতীদের বিবরণ মহিলার কাছে জানতে চাওয়া হয়েছে। কথা বলা হয়েছে বহুতলের অন্য বাসিন্দাদের সঙ্গেও। তবে তা থেকে এখনও তেমন কোনও সূত্র মেলেনি। |