গাড়ির ধাক্কায় জখম ‘অসতর্ক’ মা-মেয়ে
চালকেরাই শুধু নন, এ শহরে ট্রাফিক আইন মেনে চলার ক্ষেত্রে পথচারীরাও যে কতটা অনিচ্ছুক, শনিবার সকালের এক দুর্ঘটনা সেটাই ফের চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিল। স্কুলপড়ুয়া মেয়েকে নিয়ে খোলা সিগন্যাল উপেক্ষা করেই রাস্তা পেরোচ্ছিলেন এক মহিলা। গাড়ির ধাক্কায় জখম হয়ে দু’জনেই এখন আশঙ্কাজনক অবস্থায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। এ দিন প্রিন্স আনোয়ার শাহ রোড ও লেক গার্ডেন্স উড়ালপুলের সংযোগস্থলে ঘটেছে এই দুর্ঘটনা।
পুলিশ জানায়, ওই ঘটনার পরেই স্থানীয় লোকজন গাড়িটি ধাওয়া করে ধরে ফেলেন এবং চালককে মারধর করে পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়। পীযূষ কল্যাণ নামে ওই ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ক্ষুব্ধ জনতা ভাঙচুর চালায় গাড়িটিতে। মিনিট দশেক ধরে পথ অবরোধও হয়। ব্যস্ত সময়ে ওই অবরোধের জেরে যানজট হয়। তখন পুলিশ গিয়ে অনুরোধ করলে অবরোধকারীরা উঠে যান।
হাসপাতালে চিকিৎসাধীন মা ও মেয়ে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রের খবর, প্রিন্স গোলাম মহম্মদ হোসেন শাহ রোডের বাসিন্দা লক্ষ্মী কর্মকার (৩০) তাঁর ন’বছরের মেয়ে মহুয়াকে এ দিন স্কুলে পৌঁছে দিতে যাচ্ছিলেন। মহুয়া টালিগঞ্জ গার্লস হাইস্কুলের চতুর্থ শ্রেণির ছাত্রী। ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, লেক গার্ডেন্স উড়ালপুলের সামনে ট্রাফিক সিগন্যাল খোলা রয়েছে দেখেও ওই মহিলা মেয়ের হাত ধরে দ্রুত রাস্তা পার হওয়ার চেষ্টা করছিলেন। উড়ালপুলমুখী একটি গাড়ির সামনে তাঁরা পড়ে যান। গতি বেশি থাকায় চালক চেষ্টা করেও গাড়িটি থামাতে পারেননি। গাড়ির ধাক্কায় মা ও মেয়ে রাস্তায় বেশ কিছুটা দূরে ছিটকে পড়েন। গুরুতর চোট লাগে দু’জনের মাথায়।
হাসপাতালে চিকিৎসাধীন মা ও মেয়ে।
ট্রাফিক পুলিশ সূত্রের খবর, দুর্ঘটনার সময়ে যাদবপুর ট্রাফিক গার্ডের ওসি পার্থসারথি নাগ ঘটনাস্থলে ছিলেন। তিনি অন্য ট্রাফিককর্মীদের সাহায্য নিয়ে লক্ষ্মীদেবী ও মহুয়াকে রাস্তা থেকে তোলেন এবং পুলিশের গাড়িতে চাপিয়ে টালিগঞ্জের বাঙুর হাসপাতালে পাঠান। প্রাথমিক চিকিৎসার পরেও সংজ্ঞা না ফেরায় দু’জনকে এর পরে নিয়ে যাওয়া হয় এসএসকেএম হাসপাতালে। সেখানেই এখন তাঁদের চিকিৎসা চলছে।
চারু মার্কেট থানার পুলিশ জানায়, গাড়ির চালক পীযূষ তথ্যপ্রযুক্তি সংস্থার কর্মী। তিনিই ওই গাড়ির মালিক। থানায় পীযূষ এ দিন দাবি করেন, সিগন্যাল খোলা রয়েছে দেখে তিনি সাবধানেই উড়ালপুলে উঠছিলেন। ওই মহিলা ও তাঁর মেয়েকে গাড়ির সামনে চলে আসতে দেখে তিনি জোরে হর্নও বাজান। কিন্তু ওই দু’জনকে থামানো যায়নি।

—নিজস্ব চিত্র।
 
 
 


First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.