এক যুবকের সঙ্গে স্ত্রীকে দেখে ফেলার পর তাঁকে খুনের অভিযোগ উঠেছে স্বামীর বিরুদ্ধে। বৃহস্পতিবার দক্ষিণ দিনাজপুরের তপন থানার পাতকোলা এলাকার ঘটনা। পুলিশ জানায়, নিহত মহিলার নাম মেলো মুর্মু (২৪)। দুপুর ১টা নাগাদ স্ত্রীকে কীটনাশক দিয়ে ও তার পর শ্বাসরোধ করে খুন করে প্রায় ১৬ কিমি দূরে জেলা সদর বালুরঘাট থানায় আত্মসমর্পণ করেন ওই ব্যক্তি।
পুলিশ সুপার প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, ধৃতের নাম উইলিয়াম কিস্কু। এক যুবকের সঙ্গে স্ত্রীকে আপত্তিকর অবস্থায় দেখে তিনি স্ত্রীকে খুন করেন বলে স্বীকার করেন। শুক্রবার অভিযুক্ত উইলিয়াম কিস্কুকে পুলিশ বালুরঘাট আদালতে হাজির করালে বিচারক তাঁর ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দেন। পুলিশ সূত্রে খবর, বৃহস্পতিবার বিকাল চারটা নাগাদ বালুরঘাট থানায় এসে স্ত্রীকে খুনের কথা কবুল করেন অভিযুক্ত। পুলিশ তাঁকে লক আপে রেখে তপন থানায় খবর দেয়। এর পর তপন থানার পুলিশ গিয়ে অভিযুক্তের বাড়ি থেকে ১ কিমি দূরে জমির মধ্যে মহিলার দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠায়। ৮ বছর আগে তপন ডুবাহার এলাকার মেলোর সঙ্গে পাতকোলার যুবক পেশায় চাষি উইলিয়াম কিস্কুর বিয়ে হয়। তাঁদের ছয় বছর ও আড়াই বছরের দুটি শিশুকন্যা রয়েছে।
উইলিয়াম পুলিশকে জানিয়েছেন, গত রবিবার এক আত্মীয়ের মৃত্যুর জন্য তিনি মামার বাড়ি বালুরঘাটের খরাইল গ্রামে যান। পরের দিন সোমবার গ্রামে ফিরে দেখেন বাড়িতে কেউ নেই। ঘরে তালা ঝোলানো। বাড়ির কিছু দূরে এক বাড়ির সামনে নাইঘাটি এলাকার এক যুবকের মাঝেমধ্যে তিনি স্ত্রীকে কথা বলতে দেখেছিলেন। ওই বাড়িতে গিয়ে দুই জনকে আপত্তিকর অবস্থায় দেখতে পান উইলিয়াম। ওই যুবক পালিয়ে যায়। ঘটনা চাউর হতেই গ্রামে সালিশি সভা ডাকা হয়। সেখানে ধৃত উইলিয়াম স্ত্রী’র সঙ্গে আর সংসার করবেন না বলে জানিয়ে দিয়েছিল বলে পুলিশ জানতে পারে। তদন্তকারী অফিসারেরা জানান, এর পরে মেলো মুর্মুকে নিয়ে তাঁর বাপের বাড়ির লোকজন নিয়ে চলে যান। দুটি সন্তান ধৃতের মা’র কাছে থাকে। বৃহস্পতিবার সকালে মেলো ফের শ্বশুরবাড়িতে আসেন। অভিযুক্ত তাঁকে জোর করে কীটনাশক খাইয়ে খুন করেন বলে দাবি করেছেন। পুলিশ গোটা বিষয়টি খতিয়ে দেখছে। |