বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে গিয়ে এক সিপিএম কর্মীকে কুপিয়ে খুন করার অভিযোগ উঠেছে মালদহের হরিশ্চন্দ্রপুরে। শুক্রবার সকালে বিরুয়া গ্রামে আকবর খান (২৩) নামে ওই সিপিএম কর্মীর দেহ তাঁর বাড়ি থেকে প্রায় ৫০০ মিটার দূরে দেখতে পাওয়া যায়। তাঁর মুখ, গলা, পেটে একাধিক হাঁসুয়ার কোপের আঘাত রয়েছে।
এই নিয়ে চলতি জুন মাসে পঞ্চায়েত ভোটের মুখে মালদহ জেলায় ৯টি খুনের ঘটনা ঘটেছে। এই ঘটনাতেও তৃণমূলকেই দায়ী করেছে সিপিএম। তবে মালদহের জেলা পুলিশ সুপার কল্যাণ মুখোপাধ্যায় বলেন, “খুনের পিছনে সম্ভবত কোনও রাজনীতি নেই। নিহতের পরিবারের তরফেও কোনও ব্যক্তি বা দলের নামে অভিযোগ করা হয়নি। তদন্ত শুরু হয়েছে।”
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৭টা নাগাদ দলের স্থানীয় এক প্রার্থীর সমর্থনে প্রচার সেরে বাড়ি ফিরে গিয়েছিলেন আকবর। রাত ৮টা নাগাদ একটি ফোন পেয়ে বাড়ি থেকে বাইক নিয়ে বেরোন। রাতে আর না ফেরায় বাড়ির লোকজন খোঁজাখুজি শুরু করেন। কিন্তু মোবাইলেও তাঁকে পাওয়া যায়নি। এদিন সকালে এলাকার কয়েকজন বাসিন্দা বিরুয়া গোরস্থানের কাছে তাঁর ক্ষতবিক্ষত দেহটি দেখতে পান। একটু দূরেই তাঁর বাইকটিও পড়ে ছিল। তবে আকবরের মোবাইলটি পাওয়া যায়নি।
আকবরের দিদি আশাবিবি বলেন, “সপ্তাহ খানেক আগে গ্রামের এক চায়ের দোকানে ভাইয়ের সঙ্গে পাঁচ-ছ’জন গ্রামবাসীর বচসা হয়েছিল। সেই সময় তারা ভাইকে মেরে ফেলার হুমকি দিয়েছিলেন বলে শুনেছি। আমাদের আশঙ্কা, ওরাই কালকে রাতে ভাইকে ডেকে নিয়ে গিয়ে খুন করেছে।”
হরিশ্চন্দ্রপুরের দায়িত্বে থাকা সিপিএমের জেলা সম্পাদকমন্ডলীর সদস্য জামিল ফিরদৌসের অবশ্য দাবি, “সাত দিন আগে তৃণমূলের স্থানীয় কয়েকজন কর্মী আকবরকে মারতে গিয়েছিল। সে দিন আকবর কোনও মতে বেঁচে গিয়েছিলেন। আমাদের আশঙ্কা, যাঁরা সেই দিন আকবরের উপর হামলা করেছিল, কালকে তারাই ওকে খুন করেছে।” অভিযোগ অস্বীকার করেছেন তৃণমূলের জেলা সভানেত্রী তথা মন্ত্রী সাবিত্রী মিত্র বলেন, “মৃত্যু নিয়ে সিপিএম রাজনীতি করছে। মৃত যুবকের পরিবার কারও বিরুদ্ধে অভিযোগ করল না, অথচ সিপিএম নেতারা জেনে গেলেন, তৃণমূল কর্মীরা খুন করেছে। আমরাও পুলিশকে দোষীদের গ্রেফতার করতে বলেছি।” |