বছর খানেক আগেই তৈরি হয়ে গিয়েছে শৌচাগার। কিন্তু তা সত্ত্বেও হুড়া গ্রামীণ স্বাস্থ্যকেন্দ্রের শৌচাগারের দরজার তালা খোলা হয়নি। রোদ-বৃষ্টি মাথায় নিয়ে তাই হাসপাতালের বাইরে শৌচকর্ম করতে যেতে হচ্ছে রোগী ও তাঁদের আত্মীয়দের। স্বাস্থ্যকেন্দ্রের বিএমওএইচ দেবশঙ্কর হাঁসদা বলেন, “প্রশাসন এখনও শৌচাগার হস্তান্তর করেনি। তাই ব্যবহার করা যাচ্ছে না।” |
এই গ্রামীণ হাসপাতালে এলাকা ও সংলগ্ন বাঁকুড়া জেলার রোগীরাও চিকিৎসার জন্য আসেন। বাসিন্দারা জানান, ২০১১ সালে শৌচাগার গড়ার কাজ শুরু হয়। প্রায় ২ লক্ষ ২০ হাজার টাকায় গত বছরের জুন মাসে নির্মাণ কাজও শেষ হয়ে যায়। বাঁকুড়ার হিড়বাঁধ ব্লকের নদা গ্রামের আশা সিং সর্দার বা স্থানীয় চাটানিগোড়া গ্রামের প্রথমি মুর্মুর কথায়, “এই বর্ষায় আমাদের প্রাকৃতিক প্রয়োজনে বাইরে পুকুরে যেতে হচ্ছে। লজ্জা লাগে।” মাগুড়িয়া গ্রামের বাসিন্দা নেপুরা মাহাতো বলেন, “স্বাস্থ্যকেন্দ্রে শৌচাগার রয়েছে, অথচ আমাদের বাইরে যেতে হচ্ছে, এর কোনও অর্থ নেই।” হুড়ার বিডিও সুব্রত পালিত বলেন, “এখনও কেন শৌচাগারটি ব্যবহার করা যাচ্ছে না তা জানা নেই। শীঘ্রই ওই শৌচাগারটি চালু করার চেষ্টা করা হবে।” |