ভুলে মুক্তি, ফের আত্মসমর্পণ বন্দির |
নিজস্ব সংবাদদাতা • শিলিগুড়ি |
আইএসআই সন্দেহে ধৃত এক ব্যক্তিকে জেলে থাকাকালীনই ভুলবশত ছেড়ে দিলেন জেল সুপার। যাঁকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছিল সেই মগন বাহাদুর সিংহ ২৪ ঘণ্টা কাটার আগেই নিজের মুক্তি আইনসঙ্গত ছিল না বুঝতে পেরে পুলিশ ডেকে নিজেই ফের আত্মসমর্পণ করলেন। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ঘটনাটি ঘটেছে দার্জিলিং জেলে। শুক্রবার শিলিগুড়িতে এসে নিজের দাদাকে সঙ্গে নিয়ে সাংবাদিকদের উপস্থিতিতে নাটকীয়ভাবে জেলা পুলিশের দুর্নীতি দমন শাখার হাতে আত্মসমর্পণ করেন তিনি। আর জেল সুপার টি আর ভুটিয়ার ভুলের খবর প্রকাশ্যে আসতেই তাঁকে শোকজ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন পুলিশ কর্তারা।
দার্জিলিঙের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সুদীপ সরকার বলেন,“আমরা ঘটনার তদন্ত শুরু করেছি। আসামী নিজেই ধরা দেওয়ায় আপাতত সুপারকে শুধু শোকজ করা হয়েছে।” অন্যদিকে মগনবাবুর আইনজীবী ভাস্কর দাস বলেন,“আইএসআই সন্দেহে তাঁর বিরুদ্ধে যে মামলা চলছে সেটার সুনানির তারিখ রয়েছে ৩ জুলাই। ওই দিন তাঁর বিরুদ্ধে থাকা অন্য একটি মামলার শুনানি ছিল। তাঁতে তিনি খালাস হয়েছেন।”
১৮ মে শিমুলবাড়ির ছোটা আদমপুর থেকে মগন বাহাদুরকে আরও পাঁচজনের সঙ্গে ধরা হয় আইএসআইয়ের চর সন্দেহে। তাঁর জেল হেফাজতের নির্দেশ হলে তারপর থেকেই দার্জিলিং জেলে ছিলেন মগন। শুনানির তারিখ পড়লে তাঁকে কার্শিয়াং আদালতে নিয়ে যাওয়া হত। শুনানি শেষে দার্জিলিং জেলে ফিরিয়ে নিয়ে যাওয়া হত। মগনের বিরুদ্ধে আরও একটি খুনের মামলা চলছে। ২০০৮ এ প্রতিবেশিকে খুনে জড়িয়ে পড়েন তিনি। সেই দফায় ৬৬ দিন জেল খাটার পর জামিনে মুক্ত ছিলেন তিনি। নির্দিষ্ট ব্যবধানে শুনানি চলছিল। বৃহস্পতিবার কার্শিয়াং আদালতে সেই খুনের মামলারই শুনানি ছিল। ওইদিনই তাঁর জামিন হয়। এরপরে তাঁকে দার্জিলিং জেলে নিয়ে আসাও হয়। মগন বাহাদুরবাবু বলেন,“জেলে একজন কারারক্ষী আমাকে বলে,‘আপনাকে সুপার ডাকছেন।’ আমি গেলে আমাকে একটা কাগজে সই করিয়ে ছেড়ে দেয়া হয়। পরে তিনি বুঝতে পারেন তাঁর অন্য মামলার শুনানি ছিল। আইনজীবী ভাস্কর দাসের সঙ্গে যোগাযোগ করে বিষয়টি জানালে তাঁকে আত্মসমর্পণের পরামর্শ দেন তিনি। জেল সুপার টি আর ভুটিয়ার সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেও সম্ভব হয়নি। |