• বাড়ির লোকজনকে কাছে পেলে সব কাজ ভুলে যেতেন। ‘নাইনটিন ফটির্র্ টু...’র রেকর্ডিং। তারদেও স্টুডিয়ো। এ দিকে কলকাতা থেকে এক আত্মীয় হঠাৎ হাজির। তাঁকে পেয়ে রেকডির্র্ংই বাতিল করে গাড়ি নিয়ে এলোপাথাড়ি মুম্বই টহল দিতে বেরিয়ে পড়েন। |
• ছোট্ট থেকে প্রচণ্ড সাহস। তখন দশ-বারো বছর বয়েস। গিয়েছেন গোপালপুর-অন-সি। সমুদ্রে স্নান করতে গিয়ে একটা সাপ জড়িয়ে গেল পায়ে। অন্যদের তো ভয়ে কাঠ হবার জোগাড়। রাহুল কিন্তু ওই জ্যান্ত সাপটাকে হাতে নিয়ে মাথার উপর ঘোরাতে ঘোরাতে হইহই করতে করতে ছুটলেন হোটেলে। |
• গোমড়া মুখ একেবারেই অপছন্দ ছিল শচীনকর্তার। একবার স্কুলে রেজাল্ট খুব খারাপ হয়েছে রাহুলের। তাই কাঁচুমাচু হয়ে বসে। সব শুনেও একেবারেই পাত্তা দিলেন না রেজাল্টকে। বরং ছেলের মুখে হাসি ফেরাতে কিনে দিয়েছিলেন একটা সবুজ রঙের র্যালে সাইকেল আর ম্যাক্সপ্লাইয়ের দামি র্যাকেট। |
• তখন স্কুলে এইট কী নাইন। দারা সিং-কিংকং কুস্তি দেখে ফেরার পথে রেড রোডে গাড়ি গেল বিগড়ে। সারা রাত ধরে গান গাইতে গাইতে গাড়ি ঠেলে বাড়ি ফিরেছিলেন রাহুল। |
• এইচএমভি-তে শচীনদেবের রেকর্ডিং। এদিকে পারকাসান বাজানোর শিল্পী আসেননি। ছোট্ট রাহুলই বাজিয়ে দিলেন। ওটাই ওঁর প্রথম রেকর্ডিং। |
• দুর্ধর্ষ তুবড়ি বানাতে পারতেন। কালীপুজোয় দুশো-তিনশো তুবড়ি হত। যে বার উড়ন তুবড়ি নিষিদ্ধ হয়ে গেল, দুষ্টুমি করে আরও বেশি বানিয়ে, দু’হাতে তুবড়ি উড়িয়ে ছিলেন তিনি। |
• অসম্ভব ভাল ধুতি পরতে পারতেন। পরাতেনও দারুণ। তাই ছোট থেকে এর-তার কাছ থেকে ডাক আসত, ধুতি পরানোর। |
• অ্যান্ডারসন ক্লাবে প্রথম ওয়াটার ব্যালেতে ‘হ্যামলিনের বাঁশিওয়ালা’য় হ্যামলিন হয়েছিলেন রাহুলদেব। পরের বছর ‘ডিসকভারি ইন্ডিয়া’য় সিদ্ধার্থ সেজেছিলেন। পরিচালনায় ছিলেন বিকাশ রায়। |
• দুরন্ত সাঁতার কাটতেন। প্রতিযোগিতায় পুরস্কার ছিল বাঁধা। একবার বন্ধুদের সঙ্গে দুষ্টুমি করে পুরস্কার নিয়ে ‘গটআপ’ করে ছ’মাসের জন্য সাসপেন্ড হয়ে যান। |
• পারিবারিক গুরু ছিলেন ধনঞ্জয় দাস। কাঠিয়াবাবার আশ্রম থেকে আসতেন ওঁদের বাড়ি। এক মাসের মতো থাকতেন। সন্ধেবেলা ‘রাধেশ্যাম রাধেশ্যাম’ গান হত। যে গান পরে ‘গাইড’য়ে ব্যবহার করেন তিনি। |
তথ্য: অভিজিৎ দাশগুপ্ত |