|
|
|
|
ভোট পাঁচ দফায়, কেন্দ্রের বাহিনীও
প্রেমাংশু চৌধুরী • নয়াদিল্লি |
তিন মাসের লম্বা যুদ্ধ তখন সবে শেষ হয়েছে। এত দিনের চাপানউতোর মাত্র ঘণ্টাখানেকের মধ্যেই ফয়সালা করে দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট।
আদালতের সিঁড়ির দিকে এগোচ্ছিলেন রাজ্য নির্বাচন কমিশনার মীরা পাণ্ডে। মুখ দেখে বোঝার উপায় নেই, বিচারপতিরা ঠিক কী বলেছেন। কমিশনের আইনজীবী মীনাক্ষি অরোরা তাঁর দু’হাত ধরে অভিনন্দন জানালেন, “আপনি যা যা চেয়েছিলেন, সব পেয়েছেন!” এ বার সামান্য হলেও হাসি ফুটল মীরার মুখে।
আর একটু এগিয়ে অন্য দৃশ্য। তৃণমূল সাংসদ তথা রাজ্যের আইনজীবী কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় বলছেন, “মীরা পাণ্ডে কংগ্রেস, বিজেপি আর সিপিএমের প্রোডাক্ট। কমিশন ওদের সঙ্গে মিলে ভোটটাই ভেস্তে দিতে চেয়েছিল। সেই ষড়যন্ত্র ব্যর্থ হল।”
দুই পক্ষের এই দুই ছবিই বুঝিয়ে দিল, আইনি লড়াইয়ে সুপ্রিম কোর্টে কার্যত আত্মসমর্পণ করেছে মমতা
বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার। শেষ হাসি হাসলেন রাজ্য নির্বাচন কমিশনার মীরা পাণ্ডেই। রাজ্যের পঞ্চায়েত নির্বাচন নিয়ে গত তিন মাস ধরে কলকাতা হাইকোর্টে যে টালবাহানা চলছিল, আজ এক দিনেই সুপ্রিম কোর্টে তার সমাধান হয়ে গেল।
কী নির্দেশ দিল বিচারপতি এ কে পট্টনায়ক ও বিচারপতি রঞ্জন গগৈয়ের ডিভিশন বেঞ্চ? তারা ১১ থেকে ২৫ জুলাইয়ে পাঁচ দফায় পঞ্চায়েত ভোটের নির্ঘণ্ট ঘোষণা করল। জানিয়ে দিল কবে কোন জেলায় ভোট হবে। এই সব ব্যাপারে কমিশনের সুপারিশই মেনে নিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। রাজ্যের কোনও বক্তব্যই শোনা হয়নি। যে নিরাপত্তা বাহিনী নিয়ে এত দিন বিতর্ক চলছে, তা এক কথায় উড়িয়ে দিয়ে সুপ্রিম কোর্ট আজ স্পষ্ট করে দিয়েছে, কমিশন যখন চেয়েছে তখন কেন্দ্রকে বাহিনী দিতেই হবে। কত? রাজ্য জানিয়েছে, তারা দিতে পারবে ৩৫ হাজার নিরাপত্তারক্ষী। কমিশনের চাহিদা অনুযায়ী এর ফলে প্রথম দু’দফায় ঘাটতি ১৫ হাজার করে, পরের দু’দফায় ২৫ হাজার করে এবং শেষ দফায় দু’হাজার। কেন্দ্রকে এই বাহিনী দিতেই হবে, এ কথা এ দিন সরাসরি বলে দেন দুই বিচারপতি।
মীরা পাণ্ডে ভোট অবাধ ও সুষ্ঠু করার জন্য ৮০০ কোম্পানি বাহিনী চেয়েছিলেন। দেখা গেল, পেলেন কার্যত ৮২০ কোম্পানি (পাঁচ দফা মিলিয়ে মোট ৮২ হাজার নিরাপত্তারক্ষী দিতে বলা হয়েছে। এক কোম্পানিতে ১০০ জন রক্ষী থাকলে এখানে মোট ৮২০ কোম্পানির হিসেব দেওয়া হয়েছে)। তবে প্রথম দফার ভোট হয়ে যাওয়ার পরে ওই বাহিনীই আবার দ্বিতীয় দফার জন্য অন্য জেলায় মোতায়েন হবে। সে জন্য কমিশনের পরামর্শ মেনে দুই দফার মধ্যে তিন দিনের ব্যবধান রেখেছে সুপ্রিম কোর্ট। কিন্তু কেন্দ্রের অতিরিক্ত সলিসিটার জেনারেল রাকেশ খন্না ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের ডিরেক্টর (পার্সোনেল) দীনেশ মাথুর, দু’জনকেই শুনানির শেষে চিন্তিত দেখিয়েছে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের কর্তাদের বক্তব্য, এক দফাতেই লাগছে ২৫ হাজার জওয়ান (মানে ২৫০ কোম্পানি)। এত বাহিনী আসবে কোথা থেকে! কিন্তু কেন্দ্র বা রাজ্য, দুই শিবিরই মনে করছে, এই মুহূর্তে সুপ্রিম কোর্টের এই রায় মেনে নেওয়া ছাড়া আর কোনও উপায় নেই।
ভোট পিছিয়ে দেওয়া হল কেন? সুপ্রিম কোর্টের বক্তব্য, ২ জুলাই থেকে ভোট হলে এত দ্রুত বাহিনী মোতায়েন করা হয়তো সম্ভব হবে না। তাই নতুন নির্ঘণ্ট ঘোষণা। তবে একই সঙ্গে বিনা ভোটে জয়ী বা ইতিমধ্যেই মনোনয়ন পেশ হয়ে যাওয়া প্রার্থীদের নিয়ে যাতে সমস্যা না তৈরি হয়, তার জন্য সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ, ওগুলো নিয়ে আর কিছু করা হবে না।
আর ভোটগণনা? সেটা ঠিক করার দায়িত্বও এখন নির্বাচন কমিশনের। কমিশন সূত্রের খবর, সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশের পরে তারা নতুন করে বিজ্ঞপ্তি জারি করবে। সেটা সম্ভবত সোমবার হতে পারে। তখনই গণনা এবং ফল ঘোষণার দিন জানিয়ে দেওয়া হবে। অন্য দিকে, রাজ্যের আইজি (আইনশৃঙ্খলা)-ও জানিয়েছেন, এই ব্যাপারে সোমবার তাঁদের তথ্য দেওয়া হবে বলে কমিশন সূত্রে জানানো হয়েছে।
কমিশনের মামলার মূলত দু’টি দিক ছিল বলে আইন বিশেষজ্ঞদের বক্তব্য। একটি অবশ্যই কার্যকরী দিক। তার রায় দিতে গিয়েই সুপ্রিম কোর্ট ভোটের নতুন নির্ঘণ্ট থেকে শুরু করে কেন্দ্রীয় বাহিনী, সব বিষয় স্পষ্ট করে দিয়েছে। আইন বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই রায়ের অন্য একটি দিকও রয়েছে। সাংবিধানিক দিক। সংবিধানের ২৪৩কে ধারায় পঞ্চায়েত ভোট পরিচালনার ক্ষেত্রে রাজ্য নির্বাচন কমিশনকেই যে চূড়ান্ত ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে, নতুন করে সেটাই প্রতিষ্ঠা করল সুপ্রিম কোর্ট। কমিশনের আইনজীবী সমরাদিত্য পালও সে
কথা বলেছেন।
মামলার রায় জানার পরে রাজ্য সরকার কিন্তু সরাসরি হার স্বীকার করতে নারাজ। বরং পঞ্চায়েতমন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায় কলকাতায় জানিয়েছেন, “আমরা তো চার দিনে ভোট করাতে রাজিই ছিলাম। তা হলে পাঁচ দিনে কী অসুবিধা আছে?” বাহিনীর প্রশ্নেও তাঁর বক্তব্য, “আমরা তো আদালতে দাঁড়িয়েই বলেছিলাম, কেন্দ্র বাহিনী দিতে পারছে না। আমরা কখনও বলিনি যে, কেন্দ্রীয় বাহিনী নেব না।” উল্টে তাঁর বক্তব্য, “আমরা যে নির্ঘণ্টে ভোট-প্রক্রিয়া শুরু করেছিলাম, যে নির্ঘণ্ট মেনে মনোনয়ন, স্ক্রুটিনি, বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয় হয়েছে, তাকেই কিন্তু মান্যতা দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট।”
তবে সুব্রতবাবু স্বীকার করছেন, একটা জায়গায় তাঁরা হেরে গিয়েছেন। তাঁর মতে, “আমরা রমজান মাসে ভোট চাইনি। কিন্তু সেটাই হল।” এই নিয়ে আদালতেও আপত্তি তোলা হয়েছিল রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে। সম্ভবত মুখ্যমন্ত্রীর দফতর থেকেই সেই বার্তা যায় রাজ্য সরকারের আইনজীবীদের কাছ থেকে। আপত্তি তোলা হয় ১০ জুলাই রথযাত্রার দিন ভোট নিয়েও। ১০ তারিখের বিষয়টি মানলেও রমজানের কথা মানেনি সুপ্রিম কোর্ট। তাদের বক্তব্য, সব পঞ্চায়েতের মেয়াদ শেষ হওয়ার আগে ভোট শেষ করতে হলে আর পিছনোর উপায় নেই। কিন্তু সুপ্রিম কোর্টের এই রায়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। তাঁর বক্তব্য, রমজানের মাসে সংখ্যালঘুরা অসুবিধায় পড়বেন। তিনি শীতে ভোট চেয়েছিলেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত ভোট হচ্ছে বন্যার সময়।
গত তিন মাস ধরে রাজ্য প্রশাসনে কান পাতলেই শোনা যেত, এটা রাজ্যের দুই মহিলার ব্যক্তিত্ব ও মর্যাদার লড়াই হয়ে দাঁড়িয়েছে। সুপ্রিম কোর্টের শুনানির আগে তাই মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে আইনমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য নিজে দিল্লিতে চলে এসেছিলেন। কেন্দ্রের প্রাক্তন সলিসিটর জেনারেল গোপাল সুব্রহ্মণ্যমের মতো দুঁদে আইনজীবীকে নিয়োগ করেছিল রাজ্য। ঘণ্টার পর ঘণ্টা তাঁর সঙ্গে বৈঠক করেছেন রাজ্যের মন্ত্রী-আমলারা। সুব্রহ্মণ্যমকে সাহায্য করতে হাজির হন তৃণমূল সাংসদ তথা আইনজীবী কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ও। উল্টো দিকে, মীরা পাণ্ডে নিজে গত সপ্তাহে এসে আইনজীবীদের সঙ্গে কথা বলে যান। আজ শুনানির সময় সুপ্রিম কোর্টে ছিলেন তিনি। প্রথমে দর্শকাসনে। তার পরে সওয়াল-জবাব ক্লাইম্যাক্সের দিকে পৌঁছতে শুরু করায় একেবারে আইনজীবী সমরাদিত্য পাল ও মীনাক্ষি অরোরার সঙ্গে পাশে গিয়ে বসেন।
আজ সুপ্রিম কোর্টে প্রথম থেকেই পাল্লা ভারী ছিল নির্বাচন কমিশনের দিকেই। দুই বিচারপতি যেন সঙ্কল্প করে এসেছিলেন, আজকেই এই মামলার চূড়ান্ত রায় ঘোষণা করবেন। তাই সব মামলার শুনানি হয়ে যাওয়ার পর একেবারে শেষে রাজ্যের মামলাটি তাঁরা হাতে নেন। রাজ্যের তরফে প্রথমেই হাইকোর্টের মামলা চলার মধ্যেই সুপ্রিম কোর্টে মামলা তোলা নিয়ে প্রশ্ন তোলা হয়। বিচারপতিরা পাল্টা প্রশ্ন তোলেন, সুপ্রিম কোর্টের কি মামলা শোনার অধিকার নেই? পাল্টা প্রশ্নের মুখে পিছু হঠতে হয় রাজ্যের আইনজীবী সুব্রহ্মণ্যমকে।
ওঠে বাহিনীর প্রসঙ্গও। রাজ্য জানায়, নির্বাচন কমিশন বিরাট পরিমাণ বাহিনী চাইছে। রাজ্যের হাতে এত বাহিনী নেই। তা ছাড়া, কেন্দ্র অন্ধ্র, তামিলনাড়ু, পুদুচেরির স্থানীয় নির্বাচনে বাহিনী দিলেও পশ্চিমবঙ্গের পঞ্চায়েত ভোটে বাহিনী দিতে চাইছে না। অথচ পঞ্চায়েত নির্বাচনে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের নজির রয়েছে। কেন্দ্রের যুক্তি ছিল, উত্তরাখণ্ড, হিমাচলের উদ্ধারকার্যে, অন্ধ্রে তেলেঙ্গানা আন্দোলন সামলাতে, জম্মু-কাশ্মীরে অমরনাথ যাত্রার জন্য, ছত্তীসগঢ়ে মাওবাদী দমন অভিযানে কেন্দ্রীয় বাহিনী নিয়োগ করতে হয়েছে। তাই হাতে বাহিনী বিশেষ নেই।
গোটা বিষয়টি শোনার পরে তিন পক্ষকে নিজেদের মধ্যেই আলোচনা করে বাহিনীর বিষয়টি মিটমাট করতে বলেন সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতিরা। রাজ্যের আইনজীবীদের হয়ে মহাকরণে মুখ্যমন্ত্রীর দফতরে যোগাযোগ করা হয়। কমিশনের হয়ে ছিলেন খোদ মীরা পাণ্ডে ও আইনজীবীরা। মুখ্যসচিব, স্বরাষ্ট্রসচিবের মতামতও নেওয়া হয়। সব পক্ষের কথা শুনে শেষে রায় দেয় সুপ্রিম কোর্ট।
|
পঞ্চায়েত ভোটে বাহিনী মোতায়েন বিষয়ে কলকাতা হাইকোর্ট চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে পারবে না
এই আশঙ্কায় রাজ্য নির্বাচন কমিশন সুপ্রিম কোর্টে এসেছিল। সীমিত সময়ের কথা বিবেচনা করে
মনে হচ্ছে, ২ জুলাইয়ের মধ্যে বাহিনী মোতায়েন করা হয়তো সম্ভব হবে না। আমরা তাই
নির্বাচনের
নির্ঘণ্ট বদলে দিচ্ছি। এর মধ্যে যে সব মনোনয়ন, স্ক্রুটিনি ইত্যাদি এবং ফল
ঘোষণার কাজ
শেষ হয়ে গিয়েছে, সেগুলির আর কোনও রদবদল হবে না। সুপ্রিম কোর্ট |
|
|
|
সেই যদি মল
খসালি,
তবে কেন
লোক হাসালি।
সূর্যকান্ত মিশ্র,
বিরোধী দলনেতা |
আমরা খুশি। পাঁচ দফায়
নির্বাচন
চেয়েছিলাম, তা
পেয়েছি। কেন্দ্রীয়
বাহিনী
চেয়েছিলাম,
তা-ও পেয়েছি।
মীরা পাণ্ডে,
রাজ্য নির্বাচন কমিশনার |
পাঁচ বারে হোক বা পঞ্চাশ বারে,
ভোট তোদের করাতেই হবে।
আর
জিতব আমরাই। কেউ
দাঁড়াতে
পারবে না।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়,
মুখ্যমন্ত্রী |
|
(পঞ্চায়েত ভোট ঘিরে
রাজ্য জুড়ে হিংসার পরিবেশ
তৈরি হয়েছে। আপনার কী মত?) |
|
আমাদেরই তো জয়।
কমিশন ভোট
চায়নি।
আমরাই ভোট চেয়েছিলাম।
সুব্রত মুখোপাধ্যায়,
পঞ্চায়েতমন্ত্রী |
এই কারণেই সুপ্রিম
কোর্ট
কেন্দ্রীয়
বাহিনী
দিতে বলেছে।
আপনি কি
বুঝতে পারছেন না?
এম কে নারায়ণন, রাজ্যপাল |
|
দফা রফা |
২১ জুলাই ’১২: মমতার ঘোষণা, পঞ্চায়েত ভোট পুজোর পরে
০৯ সেপ্টেম্বর: চার দফায় ভোট চেয়ে কমিশনের চিঠি রাজ্যকে
১২ ফেব্রুয়ারি ’১৩: কমিশনকে রাজ্য জানাল, ভোট হোক দু’দফায়
২২ মার্চ: রাজ্য একতরফা বিজ্ঞপ্তি দিয়ে জানাল, দু’দফায় ভোট
১ এপ্রিল: রাজ্যের ঘোষণার বিরুদ্ধে হাইকোর্টে গেল কমিশন
১০ মে: হাইকোর্ট জানাল তিন দফায় ভোট
১৩ মে: রায়ের বিরুদ্ধে ডিভিশন বেঞ্চে গেল রাজ্য
১৪ মে: তিন দফায় ভোট হবে বলে জানাল ডিভিশন বেঞ্চও
১৭ মে: তিন দফার ভোটের বিজ্ঞপ্তি জারি রাজ্যের
২৭ মে: প্রথম দফার নির্বাচনের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করল কমিশন
১৮ জুন: পর্যাপ্ত বাহিনী না পেয়ে কমিশন ফের ডিভিশন বেঞ্চে
২৫ জুন: হাইকোর্ট বলল পাঁচ দফায় ভোট। রাজ্য বলল চার দফা
২৬ জুন: সুপ্রিম কোর্টে মামলা করল কমিশন
২৮ জুন: সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ, ভোট হবে পাঁচ দফায় |
|
বাহিনী কথা |
সশস্ত্ররক্ষী কোন দফায় কত |
দফা |
রাজ্য দেবে |
কেন্দ্র দেবে |
প্রথম |
৩৫,০০০ |
১৫,০০০ |
দ্বিতীয় |
৩৫,০০০ |
১৫,০০০ |
তৃতীয় |
৩৫,০০০ |
২৫,০০০ |
চতুর্থ |
৩৫,০০০ |
২৫,০০০ |
পঞ্চম |
৩৫,০০০ |
২,০০০ |
এক কোম্পানি= ১০০ নিরাপত্তা রক্ষী |
|
পুরনো খবর: কমিশন সুপ্রিম কোর্টে, ভোটের ভাগ্য অনিশ্চিতই |
|
|
|
|
|